গহড়বালের বিরুদ্ধে অভিযান ও অন্যান্য অভিযানগুলো আলোচনা কর
গহড়বালের বিরুদ্ধে অভিযান ও অন্যান্য অভিযানগুলো আলোচনা কর |
গহড়বালের বিরুদ্ধে অভিযান ও অন্যান্য অভিযানগুলো আলোচনা কর
- অথবা, গহড়বালের বিরুদ্ধে অভিযান ও অন্যান্য বিজয়াভিযানগুলো লিখ ।
উত্তর : ভূমিকা : পাল শাসনের অবসানের যুগে যদিও বাংলার কোনো কোনো অঞ্চলে স্বাধীন রাজত্বের উত্থান ঘটেছিল, পাশাপাশি বাংলায় একটি বড় রকমের পরিবর্তনও ঘটেছিল।
বাংলার ব্যাপক অংশ নিয়ে একাদশ শতকের মাঝপর্বে প্রতিষ্ঠিত হয় শক্তিশালী সেন বংশের শাসন। হেমন্ত সেনের মৃত্যুর পর বিজয় সেন উত্তরাধিকারীসূত্রে বাংলার সেন বংশের প্রথম সার্বভৌম স্বাধীন ও পরাক্রমশালী রাজারূপে সিংহাসনে আসীন হন ।
→ গহড়বালের বিরুদ্ধে অভিযান : দেওপাড়া শিল্পলিপিতে উল্লেখ আছে যে, বিজয় সেন পাশ্চাত্য শক্তির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। তিনি তার নৌ-বাহিনী গঙ্গানদী দিয়ে পাঠিয়েছিলেন।
এ অভিযান যদিও পাশ্চাত্য শক্তির বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল । তবে এ সম্পর্কে কোনো উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না।
যতটুকু পাওয়া যায় এ অভিযান পাশ্চাত্য রাজা গহড়বালের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল। এ অভিযানে বিজয় সেন সফল হয়েছিলেন কি-না সে সম্পর্কে কিছু জানা যায় না।
→ অন্যান্য অভিযানসমূহ : দেওপাড়া শিল্পলিপিতে উল্লেখ আছে যে, বিজয় সেন গৌড়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সফল হয়েছিলেন।
তিনি কামরূপের রাজা, কলিঙ্গ রাজা ও গৌড়ের রাজাকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি গৌড়াধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেন।
দেওপাড়া শিল্পলিপিতে আরও উল্লেখ আছে যে রাজশাহীতে পদ্যুম্মশ্বরের এক মন্দির ছিল। এতে অনুমান করা যায় যে, উত্তর, উত্তর-পশ্চিম বাংলা ও বরেন্দ্র অঞ্চলে বিজয় সেনের প্রভুত্ব কায়েম হয়েছিল।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুদীর্ঘ ৬২ বছরের শাসনামলে বিজয় সেন বাংলায় সেন বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করার পর বাংলার বাইরে সফল যুদ্ধভিযানের মাধ্যমে তার রাজ্য সীমা বর্ধিত করেন।
বিজয় সেনের রাজষিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রাচীন বাংলায় এক নব জাগ্রত জাতি ও রাজশক্তির আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে।