গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজি কে ছিলেন | গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজির পরিচয় দাও
গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজি কে ছিলেন । গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজির পরিচয় দাও |
গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজি কে ছিলেন । গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজির পরিচয় দাও
উত্তর : ভূমিকা : এয়োদশ শতকের প্রথমদিকে খলজি মালিকদের অধীনে বাংলার মুসলিম শাসন অন্তকলহে লিপ্ত হয়েছিল ঠিক তখনই গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজি সিংহাসনে আরোহণ করেন।
তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেই বাংলার শাসনব্যবস্থাকে অত্যন্ত স্থিতিশীল করে গড়ে তোলেন। গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজি বাংলায় মুসলিম স্বাধীন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছেন ।
→ গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজির পরিচয় : গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজির প্রকৃত নাম ছিল হুসামউদ্দিন ইওজ খলজি। তবে তিনি গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজি নামে অধিক পরিচিত ছিলেন।
তার পিতার' নাম ছিল হোসেন। ইওজ খলজি আফগানিস্তানের গরমশির বা আধুনিক দশত-ই মার্গের অধিবাসী ছিলেন। তিনি প্রথম জীবনে একজন গাধা চালক ছিলেন।
বখতিয়ার খলজির মতোই ইওজ খলজি ভাগ্যান্বেষণের জন্য ভারতবর্ষে আগমন করেন। তিনি বখতিয়ার খলজির সহচর ছিলেন।
কথিত আছে যে তিনি দুইজন দরবেশের পরামর্শ অনুযায়ী ভারতবর্ষে আগমন করে বখতিয়ার খলজির সৈন্য বাহিনীতে যোগদান করেন।
স্বীয় কর্মদক্ষতা, যোগ্যতা ও দক্ষতাবলে অতি অল্পদিনের মধ্যেই ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজির বিশ্বস্ত ও প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেন। ধীরে ধীরে তিনি উচ্চপদ লাভ করেন।
ক্ষমতা লাভ : ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার ইন্তেকালের পর বাংলার খলজি মালিকদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ সময় শিরান খলজি বাংলার শাসনকর্তা ছিলেন।
তিনি শিরান খলজি পরাজিত করে বাংলার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। অতঃপর আলী মর্দান খলজির দূরশাসনের কারণে ইওজ খলজি তাকে হত্যা করে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
তিনি ১২১৩ সাল থেকে ১২২৭ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৪ বছর অত্যন্ত সফলতার সাথে শাসনকার্য পরিচালনা করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজি স্বীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা বলে বাংলার এক চরম দুর্দিনে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
তিনি মুসলিম বাংলা রাজ্যের সম্প্রসারণ ও সাম্রাজ্যের ভিত্তি সুদৃঢ়করণ করেন। ইওজ খলজি মুসলিম বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন ।