গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সাথে কবি হাফিজের সম্পর্ক উল্লেখ কর
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সাথে কবি হাফিজের সম্পর্ক উল্লেখ কর |
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সাথে কবি হাফিজের সম্পর্ক উল্লেখ কর
উত্তর : ভূমিকা : বাংলার স্বাধীন সুলতানদের মধ্যে ইলিয়াস শাহী সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৩৯৩ সালে সিকান্দার শাহের মৃত্যুর পর তিনি বাংলার মসনদে আরোহণ করেন।
শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনিই একমাত্র মুসলিম শাসক যিনি পারস্যের কবি হাফিজের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন ।
• বাংলার সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের সাথে ফারসি কবি হাফিজের সম্পর্ক : বিদ্বান ও সুশাসক গিয়াসউদ্দিন "আযম শাহ ফারসি কবি হাফিজের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।
কবি হাফিজের সাথে সুলতান অসম শাহের পত্র বিনিময় হয়েছিল। তিনি কবি হাফিজকে বাংলায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
রিয়াজ- উস-সালাতিনে পারস্যের কবি হাফিজের সাথে গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের যোগাযোগের কাহিনী পাওয়া যায়।
এ বর্ণনা মতে, গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ তার তিনজন প্রিয় ক্রীতদাসকে উপলক্ষ করে একটি কবিতার একটি চরণ রচনা করেন।
কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কবিতার দ্বিতীয় চরণ করতে পারলেন না। তাই তিনি দ্বিতীয় চরণ রচনার জন্য পারস্যের কবি হাফিজের নিকট পাঠালেন এবং চরণটি পূর্ণ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেন।
তিনি কবি হাফিজকে বাংলার দরবারে আমন্ত্রণও জানালেন। কবি বাংলায় আগমনে অপারগতা প্রকাশ করলেও কবিতাটি পূর্ণ করে পাঠালেন। এভাবেই হাফিজের সাথে বাংলার সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শুধুমাত্র দক্ষ, বিদ্বান, রসিক, রুচিবান ও ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবেই নয়, একজন কবিমনা ব্যক্তি হিসেবে ফারসি কবি হাফিজের সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা তার অন্যতম কৃতিত্ব।