ইতিহাসের উৎস হিসেবে পর্তুগিজ পর্যটকদের বিবরণী কতটা গুরুত্বপূর্ণ
ইতিহাসের উৎস হিসেবে পর্তুগিজ পর্যটকদের বিবরণী কতটা গুরুত্বপূর্ণ |
ইতিহাসের উৎস হিসেবে পর্তুগিজ পর্যটকদের বিবরণী কতটা গুরুত্বপূর্ণ
- অথবা, মধ্যযুগে বাংলায় ইতিহাসের উৎস হিসেবে পর্তুগিজ পর্যটকদের বিবরণীসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর : ভূমিকা : তৎকালীন সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশে নানা দেশ হতে পর্যটকেরা আসতো। এরা বাংলাও পরিভ্রমণ করতো।
সুলতানি ও মুঘল আমলে পর্তুগিজ পর্যটকেরা বাংলা ভ্রমণ করেছেন এমন পর্যটকের সংখ্যা অনেক আছে।
এরা দেশ ভ্রমণ করে সে দেশ সম্পর্কে লেখা লিখেন, যা পরবর্তী সময়ে ইতিহাস লেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ।
→ পর্তুগিজ পর্যটকদের বর্ণনায় বাংলা : পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা এদেশে আসেন। ষোল শতকের শুরুর দিকে দুয়ার্তে বারবোসা বাংলায় আসেন। তিনি পর্তুগিজ নাবিক ছিলেন।
তার বিবরণীতে সমকালীন বাংলার শহর, বন্দর ও বাণিজ্য সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। বাংলা সম্পর্কে পর্তুগিজ ঐতিহাসিক জোয়াও-ডি-বেরসের গ্রন্থ 'দি এশিয়া' বিশেষভাবে আলোকপাত করেছে।
এ গ্রন্থকার বাংলায় না আসলেও পর্তুগিজ বণিকদের নিকট থেকে তথ্যসংগ্রহ করে এবং রাজদরবারের গ্রন্থাগারে রক্ষিত তথ্যসূত্র অবলম্বন করে এ গ্রন্থ রচনা করেন। এ গ্রন্থে সুলতান গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহ সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পর্তুগিজ পর্যটক ও নাবিকদের বর্ণনায় বাংলা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যায় ৷ মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যিচর্চাসহ অনেক সভ্যতার বিষয়ে ছিল পিছিয়ে।
তাই সমসাময়িক সময়ের খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। এজন্য আমরা ছোট-খাটো প্রায় সব উৎসকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকি ।