ইতিহাসের উৎস হিসেবে তাকাত ই আকবরীর অবদান লিখ
ইতিহাসের উৎস হিসেবে তাকাত ই আকবরীর অবদান লিখ |
ইতিহাসের উৎস হিসেবে তাকাত ই আকবরীর অবদান লিখ
- অথবা, ইতিহাসের উৎস হিসেবে 'তবাকাত-ই- আকবরী'র অবদান কি ছিল? সংক্ষেপে লিখ ।
- অথবা, ইতিহাসের উৎস হিসেবে 'তবাকাত-ই- আকবরী'র উল্লেখ কর।
উত্তর : ভূমিকা : তৎকালীন বাংলায় রাজদরবারকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা ছিল ভালো। তবে সেটা মুঘল আমলে। আর যেসব ইতিহাস লেখা হতো তা ছিল দিল্লিকেন্দ্রিক। সুলতানি আমলে বাংলা নিয়ে তোন উল্লেখযোগ্য রচনা পাওয়া যায় না।
তবাকাত-ই-আকবরী : নিম্নে “তবাকাত-ই-আকবরী'-তে বাংলার সম্পর্কে যা লেখা আছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো :
নিযামউদ্দীন আহমদ তার রচনায় এমন কতগুলো বিষয় উল্লেখ করে গিয়েছেন যা ইতিহাসের সকল শাখায় সমতালে গুরুত্ব বহন করে।
বাংলার ইতিহাস রচনায় তৎকালীন উৎস সম্পর্কে প্রকৃত সত্য তথ্য জানার জন্য তবাকাত-ই-আকবরী অন্যতম একটি গ্রন্থ।
ইতিহাস গবেষকরা আজ যে ইতিহাস রচনা করেছেন তা তবাকাত-ই-আকবরীর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল ।
নিযামউদ্দীন আহমদ 'তবাকাত-ই-আকবরী' রচনা করেন। এ গ্রন্থে বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়।
তিনি মধ্যযুগীয় বাংলার ঘটনাবলির উপর একটি বিস্তারিত ইতিহাস লিখেছেন। ‘তবাকাত-ই-আকবরী' বাংলার এই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস লেখার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মধ্যযুগে বাংলার ইতিহাস রচনার জন্য ছোট বড় সব উৎসের নিকটই সমানভাবে নির্ভর করতে হয়। বাংলার যথাযথ ইতিহাস জানার জন্য এছাড়া অন্য কোনো পন্থা নেই।