দ্বিতীয় মহীপালের চরিত্র লিখ । দ্বিতীয় মহীপালের গুণাবলি লিখ
দ্বিতীয় মহীপালের চরিত্র লিখ । দ্বিতীয় মহীপালের গুণাবলি লিখ |
দ্বিতীয় মহীপালের চরিত্র লিখ । দ্বিতীয় মহীপালের গুণাবলি লিখ
উত্তর : ভূমিকা : পাল সাম্রাজ্য যে কয়জন রাজার হাতে পরিচালিত হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম নাম হচ্ছে দ্বিতীয় মহীপাল। পিতা তৃতীয় বিগ্রহপালের মৃত্যুর পর ১০৭০ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় মহীপাল পাল সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসেন।
অদক্ষতা ও চারিত্রিক ত্রুটির কারণে তিনি সফলতা পাননি এবং মাত্র পাঁচ বছর তিনি পাল সাম্রাজ্য শাসন করেন।
→ দ্বিতীয় মহীপালের চারিত্রিক গুণাবলি : দ্বিতীয় মহীপালের চারিত্রিক গুণাবলি নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. অত্যাচারী শাসক : অধিকাংশ ঐতিহাসিক এর মতে, দ্বিতীয় মহীপাল ছিলেন একজন অত্যাচারী শাসক। তিনি তার রাজ্যে প্রজা ও সাধারণের জন্য ছিলেন অত্যন্ত কঠোর।
তার অত্যাচারে জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল । সন্ধ্যাকর নন্দীর মতে, দ্বিতীয় মহীপাল ছিলেন শঠ, নির্দয়, অত্যাচারী এবং দুর্নীতিপরায়ণ শাসক।
২. অদূরদর্শী শাসক : দ্বিতীয় মহীপাল তার রাজকার্যে পূর্বের এবং পরের অবস্থা বিবেচনা না করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। এজন্য ঐতিহাসিকগণ তাকে অদূরদর্শী শাসক বলেছেন।
৩. স্বেচ্ছাচারী শাসক : তৃতীয় বিগ্রহপালের পুত্র দ্বিতীয় মহীপাল ছিলেন শাসক হিসেবে স্বেচ্ছাচারী। তিনি তার রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে মন্ত্রীবর্গ বা প্রজাসাধারণের মতামতের মোটেও প্রাধান্য দিতেন না ।
৪. অদক্ষ শাসক : দ্বিতীয় মহীপাল ছিলেন শাসক হিসেবে খুবই অদক্ষ। শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এজন্য বরেন্দ্র বিদ্রোহে তিনি পরাজিত ও নিহত হন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পাল সাম্রাজ্য পতনের জন্য দ্বিতীয় মহীপালের শাসনকে দায়ী করা হয়। কারণ তার সাম্রাজ্য পরিচালনা করার মতো বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতা ছিল না। তাই ঐতিহাসিক মজুমদার বলেন, "He was more sinned against than sinning."