ধর্মীয় কীর্তিতে প্রথম মহীপালের ভূমিকা লিখ
ধর্মীয় কীর্তিতে প্রথম মহীপালের ভূমিকা লিখ |
ধর্মীয় কীর্তিতে প্রথম মহীপালের ভূমিকা লিখ
- অথবা, ধর্মীয় কীর্তি রক্ষার্থে প্রথম মহীপাল কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে পাল সাম্রাজ্যের শাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। দশম শতাব্দীতে যখন পাল সাম্রাজ্য তাদের গৌরব হারিয়ে ফেলে তখনই পাল সাম্রাজ্যের সিংহাসন আরোহণ করেন দ্বিতীয় বিগ্রহপালের পুত্র প্রথম মহীপাল।
প্রথম মহীপাল তার শাসনামলে কতকগুলো বৌদ্ধ মঠ নির্মাণ করেন। ধর্মীয় কীর্তিতে তার মূল্যায়ন অসামান্য ।
→ ধর্মীয় কীর্তি রক্ষার্থে প্রথম মহীপালের ভূমিকা : প্রথম মহীপাল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিলেন। পাল রাজশক্তির পূরক অভ্যুদয়ের চিত্তরস্বরূপ মহীপাল প্রাচীন কীর্তি সংরক্ষণে অত্যন্ত যত্নবান ছিলেন।
সারনাথ লিপিতে শত শত কীর্তি রত্ন নির্মাণ এবং “অশোকস্তূপ” সাহস ধর্মচক্র অঙ্গ মহাস্থান, কোলগন্ধ কুচী প্রভৃতি প্রসিদ্ধ প্রাচীন বৌদ্ধ কীর্তির সংস্কার সাধনের নালন্দা মহাবিহারের জীনোদ্বার ও বুদ্ধ গয়ায় দুটি মন্দির নির্মাণ করেন।
কাশীধামে নব-দুর্গার প্রাচীন মন্দির ও অন্যান্য হিন্দু দেবদেবীর মন্দিরও নির্মাণ করেন। জনহিতকর কার্যাবলি ও ধর্মীয় কীর্তির সংস্কার ও সংরক্ষণ বাংলার মানুষের কাছে প্রথম মহীপাল অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এ কারণে প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে প্রথম মহীপালের নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রথম মহীপাল শুধুমাত্র হৃত সাম্রাজ্য রক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন না তিনি সাম্রাজ্যের সকল পর্যায় | তার অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছেন পাল সাম্রাজ্যকে তিনি নবজীবন দান করেছেন।