দেব রাজবংশের রাজ্যসীমার বিস্তৃতি সংক্ষেপে আলোচনা কর
দেব রাজবংশের রাজ্যসীমার বিস্তৃতি সংক্ষেপে আলোচনা কর |
দেব রাজবংশের রাজ্যসীমার বিস্তৃতি সংক্ষেপে আলোচনা কর
- অথবা, দেব রাজবংশের শাসকদের রাজ্য বিস্তৃতির চিত্র তুলে ধর।
উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীনকাল, মধ্যযুগ ও আধুনিক কালের সকল সময়ের শাসকদের মধ্যে একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায় আর তা হলো তাদের সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি।
দেববংশের রাজারা প্রত্যেকেই পরমসৌগত, পরমভট্টারক, পরমেশ্বর এবং মহারাজাধিরাজ উপাধি থেকে মনে হয় এরা স্বাধীন রাজা ছিলেন।
তাম্রশাসনগুলিতে যে সকল স্থানের নাম উল্লেখ আছে তা থেকে বুঝা যায় যে, এ বংশ সমতটে রাজত্ব করতো।
→ দেব রাজবংশের রাজ্যসীমা : আধুনিক ঐতিহাসিকগণের ধারণা যে, দেব রাজবংশের রাজারা দেবপর্বত নামক স্থানে তাদের রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
এ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি রাজার শ্রীভবদেবের একটি তাম্রশাসনেও এর উল্লেখ রয়েছে। তবে দেব রাজাদের রাজ্যসীমা নির্ধারণ করা সহজ নয়।
তবে প্রাপ্ত কিছু লিপি প্রমাণের দ্বারা এ কথা বলা যায় যে, দেব রাজাগণ সমতট অঞ্চলেই তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ সমতট অঞ্চল বিস্তৃত ছিল নোয়াখালী থেকে ত্রিপুরা পর্যন্ত।
দেব রাজাদের রাজ্যসীমা সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা না গেলেও এটি প্রতীয়মান হয় যে, তাঁরা প্রাচীন বাংলার সমতট অঞ্চলে প্রভুত্ব স্থাপন করেছিল।
পরমসৌগত, পরমেশ্বর, মহারাজধিরাজ, কান্তিদেব হারিকেলে রাজত্ব করতেন। ডঃ মজুমদারের মতে, 'তার রাজধানীর অথবা প্রধান নগরীর নাম ছিল বর্ধমানপুরী।
কান্তিদেবের রাজ্য কোথায় ও কতদূর বিস্তৃত ছিল তা সঠিকভাবে বলা যায় না। কারণ হরিকেল এর সঠিক সীমানা নির্দিষ্ট করা কঠিন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উৎস প্রমাণ বিচারে এতটুকু নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছে যে, দেব রাজবংশ বাংলার সমতট অঞ্চলে তাদের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল। দেব রাজবংশের চারজন রাজার নাম জানা যায়। তারা প্রত্যেক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা ছিলেন।