দেব রাজবংশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও
দেব রাজবংশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও |
দেব রাজবংশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও
উত্তর : ভূমিকা : এক সময় দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজবংশের অস্তিত্ব ছিল। সেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজবংশের মধ্য অন্যতম একটি রাজবংশ হলো দেববংশ।
দেববংশের ইতিহাস তেমন বিশাল আকৃতির নয় যতটুকু জানা যায় যে আনুমানিক ৬ষ্ঠ শতকে যে কয়েকটি রাজবংশ প্রভাব বিস্তার করেছিল তার একটি দেব রাজবংশ।
→ দেববংশের ইতিহাস : দেববংশের ইতিহাস তেমন নেই। যতটুকুই জানা যায় তার উপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছে দেববংশের ইতিহাস নিচে তা তুলে ধরা হলো-
১. প্রথামিক ধারণা : ধারণা করা হয় ৬ষ্ঠ শতকের প্রথম ভাগ থেকে শুরু করে বার শতকের ক্ষুদ্র রাজবংশের অস্তিত্ব পাওয়া যায় তার মধ্যে গ্রহণযোগ্য ইতিহাস প্রসিদ্ধ একটি রাজবংশের নাম দেববংশ।
৬ষ্ঠ শতকে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় বেশ কয়েকটি রাজবংশের উদ্ভাব হয়েছিল। দেব রাজারা তাদের মধ্যে ছিল যোগ্য ও সার্বভৌম রাজ ৷
২. দেববংশের উদ্ভব : অনেকের মতে, গ্রহণ যোগ্য ধারণা হলো যে খরগ বংশ নাম দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় একটি বংশ ছিল । আর সেই খড়গ বংশের পতনের পর প্রতিষ্ঠিত হয় দেববংশ। যা আনুমানিক নবম শতকের প্রথম দিকে।
৩. দেববংশের শাসকগণ : দেববংশের চারজন রাজার নাম পাওয়া যায়। এ চারজন রাজা পর্যায়ক্রমে আনুমানিক ৫০ বছর দেববংশ শাসন করে ।
দেববংশের প্রথম রাজা শ্রী শান্তিদেব যিনি পরমসৌত্র উপাধি ধারণা করে দেববংশের শাসনভার গ্রহণ করেন। তিনি একজন সার্বভৌম রাজা ছিলেন।
শ্রী শান্তি দেবের পর শ্রী বীরদেব পরমভট্টারক উপাধি ধারণ করে। তারপর শ্রী আনন্দদেব পরমেশ্বর উপাধি ধারণ করে শ্রী ভবদেব তিনি মহারাজাধিকার উপাধি ধারণ করে দেববংশ শাসন করেন।
দেববংশের রাজারা ৭৫০-৮০০ খ্রিষ্টাব্দ যাবৎ অষ্টম শতর্কের দ্বিতীয়ার্ধে দেববংশীয় রাজারা বংশানুক্রমিকভাবে রাজত্ব করেন বলে বিভিন্ন প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়।
তবে ধারণা করা হয় যে খরগ বংশের পতনের পর অথবা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় ৬ষ্ঠ শতক থেকে বার শতক পর্যন্ত যে কটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল তার মধ্য দেববংশীয় রাজারা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় কিছুটা স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেছিল তা ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় ৬ষ্ঠ শতকে যে কটি রাজবংশ ছিল তার মধ্যে অন্যতম একটি রাজবংশ দেববংশ।
আর দেববংশের রাজারা ছিল স্বাধীন সার্বভৌম রাজা তারা নিজ বিচার বিশ্লেষণ করে ক্ষমতায় ছিল বলে দীর্ঘ ৫০ বছর শাসন কার্য পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে।