চন্দ্রবংশের রাজাদের রাজ্যের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর

চন্দ্রবংশের রাজাদের রাজ্যের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর
চন্দ্রবংশের রাজাদের রাজ্যের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর

চন্দ্রবংশের রাজাদের রাজ্যের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা কর

  • অথবা, চন্দ্রবংশের রাজাদের রাজ্যের অবস্থান উল্লেখ কর।

উত্তর : ভূমিকা : পাল শাসনের অবসান ঘটলে প্রাচীন বাংলায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বতন্ত্র রাজবংশের উত্থান হয়। সে সময়ে দক্ষিণ- পূর্ব বাংলায় একটি রাজবংশ গুরুত্বপূর্ণ তা হলো চন্দ্রবংশ। 

এ বংশটি প্রায় একশ বছর স্বাধীনভাবে স্থায়ী হয়েছিল। চন্দ্রবংশ প্রতিষ্ঠা করেন ত্রৈলোক্য চন্দ্র। পাল শাসনের অবসানের সুযোগে বাংলার বুকে চন্দ্রবংশ আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম।

→ চন্দ্রবংশের রাজাদের রাজ্যের অবস্থা : প্রাচীনকালের ইতিহাস পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি তথ্যের অভাবে। চন্দ্র রাজবংশের ইতিহাস জানা যায় তাম্রশাসনের মাধ্যমে ত্রৈলোক্য চন্দ্র দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় চন্দ্রবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। 

এ বংশের প্রথম দিকের দু'জন রাজা পূর্ণচন্দ্র ও তার পুত্র সুবর্ণচন্দ্র রোহিতগিরিতে শাসন করেন। যা বর্তমানে বিহারের অন্তর্গত। 

আর প্রতিষ্ঠাতা ত্রৈলোক্য চন্দ্র চন্দ্রদ্বীপ শাসন করেছিলেন। যার বর্তমান নাম বরিশাল। এছাড়াও সমতট ও বঙ্গদেশে ও তৈলোক্যচন্দ্র রাজত্ব করেছেন। 

শ্রীচন্দ্র ছিলেন চন্দ্রবংশের একজন শ্রেষ্ঠ নরপতি। তার রাজধানী ছিল বিক্রমপুরে। লড়হচন্দ্র কুমিল্লায় শাসন করেছিলেন। 

গোবিন্দ্রচন্দ্রও কুমিল্লার ময়নামতিতে রাজত্ব করেছিলেন। তিনিই হলেন চন্দ্রবংশের শেষ রাজা। তাহলে বোঝা যায় প্রাচীন বাংলার অনেক অঞ্চলে চন্দ্র বংশ শাসন করেছিল।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে চন্দ্রবংশ এটি গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশ এ বংশ দক্ষিণ পূর্ব বাংলায় পাল শাসনের শেষের দিকে আধিপত্য বিস্তার করে এবং প্রায় একশ বছর স্থায়ী থাকে।

চন্দ্রবংশের রাজাদের স্বীয় কৃতিত্বের কারণে বাংলাতে তাদের নাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে আবার সেন রাজত্বের সূচনায়, চন্দ্রবংশের অবস্থান ঘটে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ