বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়ের বিবরণ দাও

বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়ের বিবরণ দাও
বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়ের বিবরণ দাও

বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়ের বিবরণ দাও

উত্তর : ভূমিকা : এয়োদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে তুর্কি বীর বখতিয়ার খলজি বাংলায় সেন শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুসলিম শাসনের সূচনা করেন। 

স্বীয় যোগ্যতা ও মেধাবলে যেসব ব্যক্তিত্ব ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন বখতিয়ার খলজি তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা। নদীয়া বিজয় তার রাজত্বকালের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

নদীয়া বিজয় : নদীয়া বিজয় বখতিয়ার খলজির জীবনে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি বিহার জয়ের পর নদীয়া আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণসেনের রাজধানী নদীয়া ছিল।

বখতিয়ার খলজি ১২০৪ সালে নদীয়া অভিযানকালে ঝরখণ্ড অরণ্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে এক দ্রুত গতিতে অগ্রসর হয়েছিলেন যে, যখন তিনি নদীয়া পৌঁছেন তখন মাত্র ১৭/১৮ জন অশ্বারোহী বাহিনী অর সঙ্গে আসতে পেরেছিল, মূল বাহিনী পশ্চাতে ছিল। 

বখতিয়ার খলজি লক্ষ্মণসেনের প্রাসাদ আক্রমণ করে প্রাসাদ রক্ষীদের হত্যা করেন। এ সময় লক্ষ্মণসেন মধ্যাহ্ন ভোজনে ব্যস্ত ছিলেন। 

বখতিয়ার খলজির আক্রমণের খবর পেয়ে রাজা লক্ষ্মণসেন পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন। এরপর তিনি বিক্রমপুরে আশ্রয় নেন। এভাবে বখতিয়ার খলজি অতি সহজেই বিহার জয় করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয় ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার নাম ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ