বখতিয়ার খলজি কে ছিলেন । বখতিয়ার খলজির পরিচয় দাও
বখতিয়ার খলজি কে ছিলেন । বখতিয়ার খলজির পরিচয় দাও |
বখতিয়ার খলজি কে ছিলেন । বখতিয়ার খলজির পরিচয় দাও
- অথবা, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।
উত্তর : ভূমিকা : যুগে যুগে পৃথিবীতে বহু বীরের আবির্ভাব ঘটেছে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বীর হলেন বখতিয়ার খলজি। বাংলার ইতিহাসের সাথে যার নাম বিশেষভাবে জড়িত।
বাংলায় মুসলিম শাসনের সূত্রপাত এবং বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠায় বখতিয়ার খলজির অবদান অপরিসীম। তাই বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই বখতিয়ার খলজি সম্পর্কে জানতে হবে।
→ বখতিয়ার খলজি : বখতিয়ার খলজি ছিলেন একজন বিখ্যাত মুসলিম বীর যোদ্ধা। তার পুরো নাম ছিল মালিক ইজ- উদ-দিন-মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি। তিনি ছিলেন ভারমপীরের অধিবাসী।
তিনি চেহারার ছিলেন বঙ্গাকার এবং মনের দিক থেকে ছিলেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী। প্রাথমিক জীবনে তিনি বিভিন্ন জায়গায় সৈনিকের পদে চাকরি করেন এসব স্থানের মধ্যে গজনি, দিল্লি, বদাউন ইত্যাদি উল্লেখ্য।
এরপর তিনি অযোধ্যার শাসনকর্তার অধীনে ইক্তাদার পদে যোগ দেন। এখান থেকেই তিনি বিহারে অভিযান চালিয়ে অসংখ্য ধন-রত্ন লুট করেন।
এরপর তিনি নিজে একটি সৈন্য দল গঠন করেন। ১২০৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দিল্লির সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের সাথে দেখা করেন এবং বাংলা অভিযানের জন্য অনুমতি লাভ করেন।
এ সময় বাংলার শাসক ছিল লক্ষ্মণ সেন। বখতিয়ার খলজির অতর্কিত আক্রমণে লক্ষ্মণ সেন প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যায় এবং বাংলায় মুসলমান আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বখতিয়ার খলজি প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে তার আপন কৃতিত্বের জন্য। তিনি সামান্য একজন সৈনিক হয়ে জীবন শুরু করেন।
তার সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে কুতুবউদ্দিন আইবেক তাকে বাংলা অভিযানের অনুমতি দেন। এ থেকে অনুমান করা যায় যে, বখতিয়ার খলজি কত বড় বীর ছিলেন।