বাংলায় হাবশী শাসন সম্পর্কে যা জান লিখ
বাংলায় হাবশী শাসন সম্পর্কে যা জান লিখ |
বাংলায় হাবশী শাসন সম্পর্কে যা জান লিখ
উত্তর : ভূমিকা : সুলতান ফতেহ শাহকে হত্যা করে বরবক শাহাজাদা গৌড়ের সিংহাসনে আরোহণ করেন। এ সময় হতেই বাংলায় হাবশি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। মোট ৪ জন হাবশি সুলতান ১৪৮৭ থেকে ১৪৯৩ সাল পর্যন্ত ৬ বছর বাংলাদেশে রাজত্ব করেন ।
→ হাবশি রাজত্বকাল : বাংলার ইতিহাসে হাবশি রাজত্বকাল একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। হাবশিরা ইলিয়াস শাহী বংশের পতন ঘটিয়ে বাংলার সিংহাসনে বসেন।
ইলিয়াস শাহী আমলে বাংলার আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আরম্ভ হয়েছিল তা হাবশি আমলে সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত হয় ।
বাংলায় হাবশি শাসনামলে তেমন উল্লেখযোগ্য বা ইতিবাচক ঘটনা ঘটেনি। কারণ ৪ জন হাবশি শাসকই প্রত্যেকেই ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিলেন।
এ কারণে তারা প্রত্যেকেই নিহত হয়েছিলেন । হাবশিরা অত্যাচারী শাসন ছিলেন। প্রথম হাবশি সুলতান শাহজাদা থেকে শুরু করে প্রত্যেক সুলতানই রাজস্ব আদায়ের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর নীতি অবলম্বন করতেন।
যার ফলে প্রজাদের মনে সর্বদা অসন্তোষ ও অশান্তি লেগে থাকতো। সর্বশেষ হাবশি সুলতান মুজাফফর শাহ অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও অত্যাচারী শাসক ছিলেন ।
তারিখ-ফিরিশতা, তবাজত নাসিবী রিয়াজ-উস সালাতীন এর বিবরণ থেকে জানা যায় মুজাফফর শাহ সিংহাসনে আরোহণ করেই বহু শিক্ষিত ও ধার্মিক মানুষকে হত্যা করেন।
তবে হাবশি সুলতানদের মধ্যে আব্দুল মালিক অন্ধকার যুগে আলোকবর্তিকা ছিলেন । তিনি সাম্রাজ্য মসজিদ মাদ্রাসা নিমার্ণ করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলায় হাবশি শাসন ছিল এক অরাজকতাপূর্ণ ও অন্ধকার যুগ। নৈ-রাজ্যের কারণে এ সময় কোনো সুলতানই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। সুলতান মালিক আন্দিল যদিও সামান্য অবদান রেখেছিলেন।