বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান বর্ণনা করো
বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান বর্ণনা করো |
বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান বর্ণনা করো
- অথবা, মধ্যযুগের বাংলার ভৌগোলিক পরিসীমা কী ছিল?
উত্তর : ভূমিকা : ভারতবর্ষে বাংলা একটি প্রাচীন ভূখণ্ডের নাম। হাজার হাজার বছর পূর্বে এই অঞ্চলটি বিদ্যমান ছিল।পূর্বে বাংলা বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল।
বাংলার ভৌগোলিক পরিসীমা অত্যন্ত বৈচিত্রপূর্ণ ছিল। বর্তমান বাংলাদেশের বাইরেও বাংলা অঞ্চল বিস্তৃত ছিল। বাংলা প্রায় ৮০ হাজার বর্গমাইল বিস্তৃত বিধৌত পলি দ্বারা এক বিশাল সমভূমি ছিল ।
সেই সময় বাংলার আরও একটি নাম ছিল বঙ্গাল। প্রাচীন কাল থেকেই বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
→ মধ্যযুগে বাংলার ভৌগোলিক সীমারেখা : প্রায় ৮০ হাজার বর্গমাইল বিস্তৃত বিধৌত পলি দ্বারা গঠিত এক বিশাল সমভূমি ছিল মধ্যযুগের বাংলা।
ইতিহাসবিদগণ মনে করেন গঙ্গার দুই প্রধান স্রোত অন্তর্বর্তী এলাকা যে ত্রিভুজাকৃতি বদ্বীপ সৃষ্টি করেছে তাই বঙ্গদেশ অঞ্চল তথা বাংলা নামে পরিচিত ছিল।
অষ্টাদশ শতাব্দীর একটি সূত্রে সাগর থেকে ব্রহ্মপুত্র পর্যন্ত বিস্তৃত ভূভাগ যে বঙ্গ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এছাড়াও বঙ্গ বলে যে বিস্তীর্ণ ভূভাগকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে তাই বঙ্গাল বলে অভিহিত করা হয়েছে।
মধ্যযুগে বাংলার ভৌগোলিক সীমারেখা হলো :
উত্তরে → শিলং মালভূমি ও নেপাল তরাই অঞ্চল;
পূর্বে → ত্রিপুরা, গারো ও লুমাই পর্বতমালা;
পশ্চিমে → রাজমহল ও ছোট নাগপুর পর্বতমালার উচ্চভূমি ও দক্ষিণে → বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মধ্যযুগে বাংলা ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে স্বীকৃত ছিল। অনেক মুসলিম শাসকগণ মধ্যযুগেম বাংলা শাসন করেছেন।
তাদের সুশাসনের ফলে বাংলা সারা বিশ্বের নিকট সুপরিচিত হয়ে উঠে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলায় কৃষিকাজ হতো প্রচুর পরিমাণে । ফলে এ অঞ্চল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল।