বাংলার সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের কৃতিত্ব ও চরিত্র আলোচনা কর

বাংলার সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের কৃতিত্ব ও চরিত্র আলোচনা কর
বাংলার সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের কৃতিত্ব ও চরিত্র আলোচনা কর

বাংলার সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের কৃতিত্ব ও চরিত্র আলোচনা কর

  • অথবা, শাসক ও বিজেতা হিসেবে সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের কৃতিত্ব বিবেচনা কর । 
  • অথবা, বাংলার স্বাধীন সুলতান হিসেবে শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহের কৃতিত্ব বর্ণনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : বাংলার মধ্যযুগের ইতিহাসে যে সকল ভাগ্যবান ব্যক্তি নিজ বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব ও সাহায্যের মাধ্যমে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে ছিলেন শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ তাদের মধ্যে অন্যতম। 

তিনি ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠা করে বাংলায় মুসলিম প্রাধান্য প্রতিষ্ঠায় নবযুগের সূচনা করেন। তিনি ছিলেন একজন তুখোড় রাজনীতিবিদ। 

তিনি অসাধারণ কৃতিত্ব এবং দক্ষতার সাথে একটি স্বাধীন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে বাংলার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন ।

শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের সিংহাসনে আরোহণ : শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের পূর্ব নাম ছিল হাজী ইলিয়াস। তিনি ছিলেন পূর্ব ইরানের সিজিস্তানের অধিবাসী। 

প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন ফিরোজ শাহের এক নগণ্য কর্মচারী এবং পরবর্তীতে সুলতান আলাউদ্দিন আলী শাহের উচ্চপদস্থ কর্মচারী। 

চতুর হাজী ইলিয়াস সেনাবাহিনীকে বশীভূত করে খোজাদের সাথে যড়যন্ত্র করে প্রভু আলাউদ্দিন আলী শাহকে হত্যা করেন এবং 'শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ' উপাধি ধারণ করে স্বাধীন সুলতান রূপে বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন। 

তিনি স্বীয় দক্ষতাবলে ১৫ বছর স্বাধীন সুলতানরূপে অধিষ্ঠিত থেকে ১৩৫৮ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন ইলিয়াসশাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা।

→ সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের কৃতিত্ব/অবদান : সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ ছিলেন বাংলার প্রথম মুঘলমান সুলতান যিনি সমগ্র 'বাংলাকে একত্রীভূত করেছিলেন। বাংলার ইতিহাসে নিঃসন্দেহে তিনি এক কীর্তিমান পুরুষ। 

নিম্নে তার কৃতিত্ব/অবদান আলোচনা করা হলো :

১. রাজ্যজয় : সুলতান ইলিয়াস শাহ শুধু বাংলায় সিংহাসন লাভ করেই ক্ষান্ত হননি; বরং সিংহাসনে আরোহণ করেই তিনি রাজ্যবিস্তারে মনোনিবেশ করেন।

২. ত্রিহুত জয় : শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ প্ৰথমেই ত্রিহুত জয় করেন। এ সময় বঙ্গের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত ত্রিহুত রাজ্যে গৃহযুদ্ধ চলছিল। 

শক্তিসিংহ ও কামেশ্বর নামক দুজন শাসকের মধ্যে সমগ্র নিহত রাজ্য বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৩৪৪ খ্রিষ্টাব্দে এ দুই প্রতিদ্বন্দীর আত্মকলহের সুযোগে ইলিয়াস শাহ ত্রিহুত জয় করেন।

৩. নেপাল জয় : ত্রিহুত জয়ের পর শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দে নেপাল আক্রমণ করেন। সম্ভবত নেপালের ধন- সম্পদের কথা শুনেই তিনি নেপালের রাজা জয় রাজনেরে বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন। 

জয় রাজদের ইলিয়াস শাহের সেনাবাহিনীর গতিরোধ করতে কোনোরূপ কষ্ট করেননি বলে ইলিয়াস শাহ বিনা বাধায় নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডু প্রবেশ করেন। 

তবে ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে জানা যায়, নেপাল অভিযান তার রাজ্য বিস্তারের উদ্দেশ্য ছিল না, সেখানকার ব্যাপক ধন-সম্পদ লুন্ঠন করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য।

৪. উড়িষ্যা বিজয় : ত্রিহুত ও নেপাল অভিযান সাফল্য লাভ করে ইলিয়াস শাহ উড়িষ্যার দিকে দৃষ্টিনিবদ্ধ করেন। উড়িষ্যা ছিল ঐশ্বর্য ও প্রাচুর্যের দেশ। 

তাই তিনি উড়িষ্যা আক্রমণ করেন এবং চিন্তাগ হ্রদের সীমা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৪৪টি হাতিসহ অনেক ধন-সম্পদ হস্তগত করেন ।

৫. চম্পারণ ও গোরক্ষপুর বিজয় : উড়িষ্যা বিজয়ের পর ইলিয়াস শাহ চম্পারণ ও গোরক্ষপুরে অভিযান পরিচালনা করেন এবং তৎকালীন হিন্দু রাজাদের অতিসহজেই বশ্যতা স্বীকার করান।

৬. সোনারগাঁও অধিকার : ১৩৫২ খ্রিষ্টাব্দে ইলিয়াস শাহ পূর্ববঙ্গের রাজধানী সোনারগাও অধিকার করেন। এ সময় পূর্ববঙ্গের শাসনকর্তা ছিলেন ফখরুদ্দিনের পুত্র ইখতিয়ার উদ্দিন গাজী। 

তিনি যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হন। এভাবে তিনি সমগ্র বাংলায় নিজেকে একচ্ছত্র শাসক রূপে প্রতিষ্ঠিত করেন।

৭. স্বাধীন সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা : স্বাধীন সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস শাহ বাংলার ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তিনি সমগ্র বাংলার একচ্ছত্র অধিপতি। বাংলায় মুসলিম সালতানাত প্রতিষ্ঠা সর্বপ্রথম তারই অবদান।

৮. অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো : ইলিয়াস শাহের সুশৃঙ্গ শাসনব্যবস্থা এবং অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোর ভিত্তিমূল মজবুত হওয়ার কারণে তিনি শাসক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। তার শাসনামলে রাজ্যে সম্পূর্ণভাবে শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজিত ছিল। 

এই শান্তি-শৃঙ্খলা তাকে স্বাধীন সালতানাতের অবকাঠামো সুদৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। ইলিয়াস শাহের শাসনব্যবস্থা মধ্যযুগীয় বাংলায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের স্বাক্ষর বহন করে।

৯. সুযোগ্য শাসক : সুলতান ইলিয়াস শাহ শুধু বিক্রেতাই ছিলেন না; বরং একজন সুযোগ্য শাসক হিসেবেও তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। 

তিনি কঠোরহস্তে দুষ্টের দমন করে শিষ্টের পালন করেছিলেন। তার শাসনামলে দেশের সর্বত্র সুখ-শান্তি বিরাজ করতো। 

প্রজাবৎসল সুলতান সর্বদা হিন্দু-মুঘলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টা করতেন। সুখ-শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য তার শাসনকাল স্মরণীয় হয়ে আছে।

১০. গৌরবময় বিজয়ের অধিকারী : ইলিয়াস শাহ ছিলেন গৌরবময় বিজয়ের অধিকারী এক বীর্যবান পুরুষ। সিংহাসনে বসে তিনি বাংলার গৌরব বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালান। তিনি ত্রিহুত, নেপাল, উড়িষ্যা, চম্পারণ, গৌরক্ষপুর, সোনারগাঁও ও কামরূপ অধিকার করেন। 

পর পর এ অঞ্চলগুলোর বিজয়ের মধ্যে তার দূরদর্শিতা, দক্ষতা ও দুর্ধর্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়। দিল্লির আক্রমণ প্রতিহত করার ব্যাপারে ইলিয়াস শাহ নিপুণ সমরকুশলীর পরিচয় দেন।

১১. দুঃসাহসী সৈনিক ও দক্ষ সেনানায়ক : ইলিয়াস শাহ ছিলেন একজন দুঃসাহসী সৈনিক ও দক্ষ সেনানায়ক। সেনাবাহিনীর উপর তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল এবং সৈন্যরাও তাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল। 

এমনকি তারা তার জন্য সবকিছুর বিসর্জন দিতে প্রস্তুত ছিল। একের পর এক রাজা বিজয়ে সাফল্য তার দক্ষতা ও প্রতিভারই পরিচায়ক। 

ইলিয়াস শাহ একজন কুশলী সমরবিদও ছিলেন। ফিরোজ শাহ তুঘলকের বিরুদ্ধে দুর্ভেদ্য একডালা দুর্গে আত্মরক্ষার ব্যবস্থা তার দূরদর্শিতারই সাক্ষ্য বহন করে।

১২. অভিজ্ঞ কূটনীতিবিদ : সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শহ একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিবিনও ছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, সময় বাংলা একসাথে জয় করা যাবে না। 

তাই তিনি সময় ও সুযোগ নিজের অনুকূলে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন। লখনৌতির জলী মুবারক যখন সোনারগারে ফখরুদ্দিনের সাথে কলহে লিখ, ঠিক তখনই ইলিয়াস শাহ আলী মুবারককে আক্রমণ করেন এবং তাকে পরাজিত ও নিহত করে লখনৌতির সিংহাসন দখল করেন। 

তাছার পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অভিযান চালিয়ে নিজেকে শক্তিশালী করার পরই তিনি ইখতিয়ার উদ্দিন গাজী শাহকে আক্রমণ করেন এবং তাকে পরাভূত করে সোনারগাও দখল করেন।

১৩. ধর্মনিষ্ঠ : ইলিয়াস শাহ একজন ধর্মনিষ্ঠ শাসক ছিলেন। তিনি সুফি-দরবেশ ও দ্বীন প্রচারক মুসন্ধিদের খুব সম্মান করতেন। 

তার সময়ে বাংলায় তিনজন সুফির নাম পাওয়া যায়। যথা- শায়খ আলী সিরাজউদ্দিন, তার শিষ্য আলাউল হক এবং শায়খ বিয়াবাণী। 

তার পৃষ্ঠপোষকতায় মুসল্লিগণ বাংলায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান। এসব নিবেদিত প্রাণ মুসল্লিগণ বাংলায় দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। 

নিজে একনিষ্ঠ মুসলমান হয়েও অন্য ধর্মের প্রতি তার সহিষ্ণুতা ছিল। ফলে সাম্প্রদায়িকতার পরিবর্তে হিন্দু-মুঘলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠে।

১৪. স্থাপত্যশিল্পের পৃষ্ঠপোষক : স্থাপত্যশিল্পের একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও সুলতান ইলিয়াস শাহ বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তৎকালীন স্থাপত্যশিল্পে তার অবদান ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ তিনি হাজীপুর নামক একটি শহর নির্মাণ করেন। 

তিনি শায়খ আলাউল হকের সম্মানে একটি মসজিদ তৈরি করেন। এছাড়াও ফিরোজাবাসে একটি বিরাট হাম্মামখানাও নির্মাণ করে তিনি অপূর্ব কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

১৫. বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভাবক : শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের আমলেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভব ঘটে। শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ-ই মধ্যযুগীয় বাংলায় সমগ্র বাংলাকে এক এক করে মুসলিম বাংলায় সর্বপ্রথম জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটান। এই জাতীয়তাবাদী চেতনা পরবর্তীতে মুসলিম বাংলায় স্বকীয়ভাবে বিকাশ লাভ করে।

১৬. স্বদেশী শাসন প্রতিষ্ঠা : ইলিয়াস শাহ এমন এক রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা যে বংশের সুলতানরা দেশীয় লোকদের সাথে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করে তাদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

এ সহযোগিতার ফলেই নিষ্ক্রির আক্রমণ প্রতিহত করার মতো শক্তিও তারা পেয়েছিলেন। তাছাড়া ইলিয়াস শাহী বংশের শাসনামলে বাংলার মুসলিম রাজ্য বিদেশি শাসনের প্রকৃতি ত্যাগ করে দেশীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে এ দেশীয় রাজ্যে পরিণত হয়।

১৭. রাজনৈতিক দূরদর্শিতা : ইলিয়াস শাহ ছিলেন দূরদর্শী রাজনীতিবিদ। ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং ফিরোজ শাহ তুঘলকের সাথে সন্ধি স্থাপন করে তার অপরিসীম রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করে।

১৮. যোগ্য সংগঠক : সুলতান ইলিয়াস শাহ একজন যোগ্য সংগঠক ছিলেন। যোগ্য সংগঠক ছিলেন বলেই তিনি রাজদরবারে অবস্থানকালে নিজের সমর্থন তৈরি করতে পেরেছিলেন এবং যথাসময়ে তাদের সহায়তার সিংহাসন দখল করেন।

১৯. ভৌগোলিক পূর্ণতা দান : তিনি তিন খণ্ডে বিভক্ত বাংলাকে সাতগাও, সোনারগাঁও এবং লখনৌতি একত্রিত করে বৃহত্তর বাংলার একক ভৌগোলিক রূপদান করেছিলেন। এজন্যই তাকে ন্যয়সঙ্গতভাবে জাতীয় ঐক্যের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।

২০, জনহিতকর কার্যাবলি : ইলিয়াস শাহ বিশেষ স্মরণীয় হয়ে আছেন জনহিতকর কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে। তিনি প্রজাদের উন্নতিকল্পে বহু সড়ক, রাস্তাঘাট, সেতু ও সারাইখানা এবং সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বহু খাল খনন করেন। ইলিয়াস শাহ বহু জনহিতকর কার্যাবলি সম্পাদিত করে ছিলেন।

→ শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের চরিত্র : সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ একজন নিষ্ঠাবান মুঘলমান ছিলেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক এক বাক্যে একথা স্বীকার করে গেছেন যে, তিনি একজন চরিত্রবান ও সুদক্ষ শাসক ছিলেন। 

সমাজের প্রায় সকল স্তরের মানুষই ইলিয়াস শাহের শাসনকালে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতো। ইলিয়াস শাহ যে নিষ্ঠাবান মুঘলমান ছিলেন একথা অনস্বীকার্য। 

তিনি সুফিদেরকে অত্যন্ত ভক্তি ও শ্রদ্ধা করতেন ৷ শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের হৃদয় ছিল অত্যন্ত কোমল এবং মহৎ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, স্বাধীন সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস শাহ সমগ্র বাংলার একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে বাংলার ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করেন। 

শুধু তাই নয়, তিনি বাংলার ইতিহাসে এমন এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূত্রপাত করেন যা বাংলায় প্রায় দু'শ বছর টিকে ছিল। 

সামান্য ধাত্রীপুত্র হয়েও তিনি সৌভাগ্যক্রমে বাংলার সিংহাসন লাভ করে স্বীয় যোগ্যতা এবং প্রতিভাবলে একজন গৌরবময় পুরুষ হিসেবে বাংলার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন । 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ