সিয়াসতনামা কি । সিয়াসতনামা সম্পর্কে যা জান লিখ
সিয়াসতনামা কি । সিয়াসতনামা সম্পর্কে যা জান লিখ |
সিয়াসতনামা কি । সিয়াসতনামা সম্পর্কে যা জান লিখ
- অথবা, নিজামুল মুলকের বিখ্যাত গ্রন্থের নাম কি? সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : সেলজুক রাজত্বের শাসন সংস্কার, সমৃদ্ধি এবং প্রভাব প্রতিপত্তির ক্ষেত্রে মালিক শাহের সুযোগ্য প্রধানমন্ত্রী নিজামুল মুলক এর অবদান ছিল অপরিসীম।
মালিক শাহ -এর শাসনামলে নিজামুল মুলক শুধু প্রশাসকই ছিলেন না, পাশাপাশি বিখ্যাত রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ও সাহিত্যমনাও ছিলেন।
আর নিজামুল মুলকের বিশেষ কীর্তি হলো সিয়াসতনামা গ্রন্থ। গ্রন্থাদিকে রাজ্য শাসন প্রণালির উপর লিখিত একটি গবেষণামূলক রচনা বলে মনে করা হয়।
সিয়াসতনা : নিজামুল মুলকের বিখ্যাত গ্রন্থ “সিয়াসত নাম' (Syasat Nama) রাজ্য শাসন গুণাবলির উপর লিখিত একটি গবেষণামূলক রচনা বলে মনে করা হয়।
সুলতান মালিক শাহের অনুরোধে তার প্রধানমন্ত্রী ১০৯২ খ্রিস্টাব্দে এ গ্রন্থটি রচনা করেন, এটি ইসলামি শাসন ব্যবস্থার উপরও একটি উৎকৃষ্ট সাহিত্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ গবেষণার কর্মসম্পর্কে ঐতিহাসিক আরনল্ড বলেন, “রাজনৈতিক নীতিমালা সম্বলিত একটি দার্শনিক নিবন্ধই ছিল না, বরং এটিতে শাসন প্রণালি, দরবার বিচারকার্য, সামরিক বিভাগ এবং অর্থনৈতিক ও রাজনেতিক কার্যাবলির উপর ব্যবহারিক উপদেশ প্রদান করা হয়।" এটিতে রাজতন্ত্রের ব্যাখ্যা ও প্রদান করা হয়।
সিয়াসতনা গ্রন্থ রচনার উদ্দেশ্য :
নিজামুল মুলকের সিয়াসতনামা রচনার উদ্দেশ্য ছিল নিম্নরূপ :
১. অর্থনৈতিক কার্যাবলি পরিচালনা করা।
২. শাসন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা।
৩. বিচারকার্য ও দরবার পরিচালনা করা।
৪. সামরিক পদ্ধতি ও প্রভৃতি বিষয়ে ব্যবহারিক উপদেশ প্রদান করা। উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, খ্রিস্টীয় একাদশ শতাব্দীর অন্যতম একটি সাহিত্য রচনা হলো নিজামুল মুলকের সিয়াসতনামা।
যা সেলজুক শাসনব্যবস্থার একটি গবেষণামুলক গ্রন্থ। সেলজুক সুলতান মালিক শাহের শাসনামলে এটি ছিল তার প্রধানমন্ত্রীর এক অনবদ্য অবদান।