সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব কি ছিল
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব কি ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব কি ছিল। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.
সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব কি ছিল |
সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব কি ছিল
- অথবা, সিপাহি বিদ্রোহের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধর।
উত্তর : ভূমিকা : সিপাহি বিদ্রোহ আধুনিক ভারতীয় ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। পরাধীনতার ১০০ বছর পর সিপাহিরা ইংরেজ কোম্পানি ও সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। স্বাধিকার, স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে তরুণ সমাজ।
→ সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব : দীর্ঘদিনের শোষণ বৈষম্যের শিকার হয়ে সিপাহিরা কোম্পানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল । নিম্নে সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব আলোচনা করা হল :
১. কোম্পানির অবসান ও সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ : ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের তাৎক্ষণিক গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এ বিদ্রোহের ফলে কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে। ব্রিটিশ সরকার ভারতের শাসনভার নিজ হাতে গ্রহণ করে নেন।
২. স্বত্ববিলোপ নীতি বাতিল : ১৮৫৭ সালের এ মহাবিদ্রোহের ফলে ১৮৫৭ সালের ১ নভেম্বর মহারানি ভিক্টোরিয়া একটি ঘোষণাপত্র জারি করেন, ঘোষণাপত্রে স্বত্ববিলোপ নীতি এবং এর সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য নিয়ম বাতিল করা হয়।
৩. চাকরি প্রদান ও স্বাধীনতা : ১৮৫৮ সালের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী। যোগ্যতা অনুযায়ী ভারতীয়দের চাকরি প্রদান এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তাসহ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ক্ষমা ঘোষণা করা হয় ।
8. দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নির্বাসন : সিপাহি বিদ্রোহের পর দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে বন্দি করা হয়। মুঘল বাদশাহদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে, বাহাদুর শাহকে বিচার করে রেঙ্গুনে (মায়ানমার) নির্বাসন দেওয়া হয়। ১৮৬২ সালে রেঙ্গুনে তার মৃত্যুর সাথে সাথে ভারতে মুঘল বংশের গৌরব চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
৫. ইংরেজ শাসনের অবসান : ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের সুদূরপ্রসারী গুরুত্ব হচ্ছে এ বিদ্রোহের ক্ষোভ থেমে যায়নি। বিদ্রোহে সিপাহিদের পরাজয় ভারতবাসীকে আরো ক্ষিপ্ত ও কৌশলী করে তোলে।
এ সংগ্রামের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ সচেতন হয়ে উঠে এবং নানা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ সালে ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ ভারতীয় উপমহাদেশের লোকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফল নিয়ে আসে। তার সুদূরপ্রসারী ফল হিসেবে আধুনিক ভারতবর্ষের মানুষ ১৯৪৭ সালে ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে এদেশের মানুষের বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটায়। তবে এ বিদ্রোহে মুসলমানদের তুলনায় হিন্দুরাই বেশি লাভবান হয়েছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব কি ছিল
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব কি ছিল । যদি তোমাদের আজকের সিপাহি বিদ্রোহের গুরুত্ব কি ছিল পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।