সেলজুক শাসক আলপ আরসালানের শাসনকাল আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সেলজুক শাসক আলপ আরসালানের শাসনকাল আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সেলজুক শাসক আলপ আরসালানের শাসনকাল আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

সেলজুক শাসক আলপ আরসালানের শাসনকাল আলোচনা কর
সেলজুক শাসক আলপ আরসালানের শাসনকাল আলোচনা কর

সেলজুক শাসক আলপ আরসালানের শাসনকাল আলোচনা কর

  • অথবা, সেলজুক শাসক আলপ আরসালানের শাসনকাল সম্পর্কে লিখ।

উত্তর : ভূমিকা : বিভিন্ন বিদ্রোহ-বিশৃঙ্খলায় পরিপূর্ণ ছিল সেলজুক সুলতান আলপ আরসালানের শাসনকাল। আর সেলজুক সুলতান আলপ আরসালান অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে এসব রাজ্যের বিশৃঙ্খলা দমন করেন। 

তিনি ছিলেন সমকালীন শাসকদের মধ্যে যোগ্য সমরবিদ ও শ্রেষ্ঠ রাজ্যবিজেতা। আর তার শাসনামলে রাজ্যের ব্যাপক বিস্তার ঘটে।

আলপ আরসালানের পরিচয় : আলপ আরসালান ছিলেন সেলজুক বংশের ২য় শাসক। তিনি ১০০০ খ্রিস্টাব্দের ২০ জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। তার মূল নাম ছিল মুহাম্মদ বেগ বিন দাউদ চাঘরাই। 

১০৫৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি খোরাসানের শাসন কর্তা হন এবং ১০৬৪ খ্রিস্টাব্দে সেলজুক বংশের সুলতানের পদ দখল করেন। 

মূলত আলপ আরসালানের শাসনামল থেকেই সেলজুক বংশ রাজবংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে আব্বাসীয় খলিফা কাইয়ুম কর্তৃক তিনি সুলতান উপাধি পান এবং পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা ও সুযোগ সুবিধা লাভ করেন। খলিফা তাকে আজাদ- উদ-দৌলা উপাধি প্রদান করেছিলেন।

→ আলপ আরসালানের শাসনকাল : আলপ আরসালান ছিলেন সেলজুক সালতানাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাসক। নিয়ে তার শাসনামল সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :

১. কেন্দ্রীয় রাজধানীর পরিবর্তন : বিদ্রোহ দমন এবং বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের মোকাবিলা করার জন্য দুরদর্শী শাসক আলপ আরসালান মার্চ থেকে রাজধানী ইস্পাহানে পরিবর্তন করেন।

২. আব্বাসীয় খলিফাদের সাথে গভীর সম্পর্ক : আব্বাসীয় শাসনামলে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের উত্থান ঘটে। ফলে দুর্বল খলিফাগণ আব্বাসীয় সাম্রাজ্যকে আরো পতনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। তবুও আলপ আরসালান আব্বাসীয় খলিফাদের সম্মানার্থে তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন।

৩. বাইজান্টাইনদের সাথে সংঘর্ষ : পূর্ববর্তী শাসকগণ | বাইজান্টাইনদের সাথে সংঘর্ষের সূত্রপাত করে কিছু অঞ্চল দখল করলেও আলপ আরসালান এর সময় তা স্থায়ী জয় হয়।

৪. মালাজগার্টের যুদ্ধ : আলপ আরসালানের সময় বাইজান্টাইনদের সাথে একটি যুদ্ধ হয় যা মালাজগার্টের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এ | যুদ্ধে কৃতিত্বের সাথে বাইজান্টাইনেদেরকে পরাজিত করেন।

৫. সাম্রাজ্য সুসংহতকরণ : আলপ আরসালানের সময়ে তুর্কি উপজাতিগণ দলে দলে মুসলিম বাহিনীতে যোগদান করে তাদের | কারণে মুসলিম বাহিন আরো শক্তিশালী এবং অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার অধিকারী হয়। ফলে সুসংহত রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়।

৬. গৌরবোজ্জ্বল শাসনের সূচনা : ঐতিহাসিক পি. কে. হিটি, সৈয়দ আমীর আলী সেলজুক লেনপুলসহ অধিকাংশরা মনে করেন সুলতান আলপ আরসালান মুসলিম সাম্রাজ্য সুদৃঢ় এবং সুসংহত | করে একটি গৌরবোজ্জ্বল মুসলিম শাসনের সূচনা করেছিল।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সেলজুক বংশের দ্বিতীয় শাসক হিসাবে আলপ আরসালান কৃতিত্বময় শাসনামল এ রাজবংশের স্থায়িত্ব ও খ্যাতি বহুগুণে বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে গ্রিকদের সাথে যুদ্ধ তাকে সেলজুক শাসকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শাসকের মর্যাদা দান করেছেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সেলজুক শাসক আলপ আরসালানের শাসনকাল আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সেলজুক শাসক আলপ আরসালানের শাসনকাল আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের সেলজুক শাসক আলপ আরসালানের শাসনকাল আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ