সেলজুক কারা । সেলজুকদের পরিচয় দাও
সেলজুক কারা । সেলজুকদের পরিচয় দাও |
সেলজুক কারা । সেলজুকদের পরিচয় দাও
উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় শাসনামলের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজবংশের উত্থান ঘটেছিল। তার মধ্যে অন্যতম একটি রাজবংশ হলো সেলজুক।
ইসলামি আন্দোলন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও সেলজুকদের অবদান ছিল অপরিসীম। এশিয়া মাইনরে আব্বাসীয় সাম্রাজ্যে তারাই সর্বপ্রথম স্থায়ী মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন ।
সেলজুকদের পরিচয় : সেলজুকদের উত্থান ইসলামের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রত্যেক বংশের নামের পাশ্চাত্যে পূর্বপুরুষদের কারও বিখ্যাত নাম সংযুক্ত থাকে।
তেমনি পূর্ব পুরুষ সেলজুক বিন বাকায়িকের নামানুসারে উক্ত বংশের নামকরণ করা হয়েছে সেলজুক বংশ। মধ্য এশিয়ায় সেলজুকের আদি বাসস্থান ছিল।
মূলত তারা কিরগিজ অঞ্চলের তুর্কি গোত্রীয়, ঘুজ (Ghuz) বংশোদ্ভূত তুর্কিস্তানের উপজাতি। তারা ৯৫৬ সালে সেলজুক-বিন-বাকায়িক নামে এক সেনাপতির নেতৃত্বে তুর্কিস্তানের কিরগিজ মালভূমি থেকে সাইহুন নদী অতিক্রম করে দক্ষিণে ট্রান্সঅক্সিয়ানার বুখারায় এসে বসতি স্থাপন করেন।
কালক্রমে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং সুন্নি মতবাদে বিশ্বাসী হন। সেলজুক বিন বাকায়িকের নামানুসারে এ বংশের নামকরণ করা হয় সেলজুক বংশ। ১১৯৪ খ্রিস্টব্দে পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বের সেবা করেছিল সেলজুক। এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তুলি ।
উপসংহার : উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি, আব্বাসীয় শাসনামলে সেলজুকদের উত্থান তাদের নিকট আশীর্বাদ স্বরূপ।
এর মূল কারণ হলো আব্বাসীয়দের আসন্ন বিপদের হাত থেকে সেলজুকরাই তাদের মুক্ত করেছিল এবং পরবর্তীকালে এ বংশটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে প্রায় ৪০ বছর শাসন ক্ষমতায় ছিল ।