শশাঙ্কের দরবারের বিভিন্ন কর্মচারীর নাম লিখ
শশাঙ্কের দরবারের বিভিন্ন কর্মচারীর নাম লিখ |
শশাঙ্কের দরবারের বিভিন্ন কর্মচারীর নাম লিখ
- অথবা, শশাঙ্কের শাসনামলের রাজকর্মচারীদের পরিচয় দাও।
উত্তর : ভূমিকা : বাংলার ইতিহাসে শশাঙ্ক একটি বিশিষ্ট নাম। তিনি বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন। সুতরাং তার শাসনব্যবস্থা বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আছে। তার দরবারের বিভিন্ন রাজকর্মচারীর উল্লেখ পাওয়া যায়।
→ শশাঙ্কের রাজদরবারের বিভিন্ন কর্মচারী : শশাঙ্কের সময়ে মহারাজাধিরাজের অধীনে অনেক কর্মচারী নিযুক্ত থাকতেন। মল্লসারুল পটলিতে শশাঙ্কের সময় নতুন নতুন রাজকর্মচারীর নাম পাওয়া যায়।
এগুলোর মধ্যে দূতক, মহাপ্রতীহার, মহাপিলুপতি, পঞ্চাধিকরনোপরিক, পুরকালোপরিক এবং পাট পরিষ্ক ছিল উল্লেখযোগ্য।
১. মহাপ্রতীহার : কোনো বিশেষ রাষ্ট্রীয় এবং যুদ্ধ বিগ্রহ ব্যাপারে নিযুক্ত উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারীর নাম মহাপ্রতীহার ।
২. মহাপিলুপতি : রাজকীয় হস্তী বাহিনীর প্রধান শিক্ষাদান কর্তাকে বলা হয় মহাপিলুপতি। এগুলো ছাড়াও রাজাকে শাসন সংক্রান্ত কাজে সাহায্য করার জন্য মন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ ছিল ।
গুপ্ত শাসনব্যবস্থার মতো শশাঙ্কের শাসনব্যবস্থায়ও কয়েকজন মন্ত্রীর উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজস্বমন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী। শাসন বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মচারী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
শশাঙ্কের সময় বহু উচ্চপদস্থ বেসামরিক কর্মচারী তিনি নিযুক্ত করতেন প্রসাশনিক কার্যের সুষ্ঠ পরিচালনার জন্য। এদের মধ্যে রাজঅমাত্য, মহাসামন্ত, মহাপ্রতীহার প্রমুখ কর্মচারী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শশাঙ্কের শাসনব্যবস্থা ছিল গুপ্তশাসনের অনুরূপ। এখানে তেমন কোনো পরিবর্তন সাধিত হয়নি।
তবে শশাঙ্কের শাসনব্যবস্থা থেকে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে সামন্ততন্ত্রের সূত্রপাত হয় এ সামন্ততন্ত্রের পূর্ণরূপ দেখা যায় পাল আমলে।