সালাহউদ্দিন আইয়ুবী কে ছিলেন । সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর পরিচয় দাও
সালাহউদ্দিন আইয়ুবী কে ছিলেন । সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর পরিচয় দাও |
সালাহউদ্দিন আইয়ুবী কে ছিলেন । সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর পরিচয় দাও
ভূমিকা : সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি ইসলামের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন।
দ্বাদশ শতাব্দীতে বিভিন্ন অভিযান প্রেরণ করে ক্রুসেডারদের পরাজিত করেন। ক্রুসেডারদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সালাহউদ্দিন আইয়ুবী ইসলামের গৌরব ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন।
→ সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর পরিচয় : নিম্নে সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর পরিচয় আলোচনা করা হলো :
জন্মগ্রহণ : সালাহউদ্দিন আইয়ুবী ১১৩৮ খ্রিস্টাব্দে টাইগ্রিস নদীর তীরে অবস্থিত। ইরাকের ভিকরিত নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।
নাম ও বংশ পরিচয় : তার আসল নাম সালাহউদ্দিন ইউসুফ। পিতার নাম নাজিমুদ্দিন আইয়ুব। পিতার নামানুসারেই তার প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ ইতিহাসে আইয়ুবী বংশ নামে পরিচিত। সালাহউদ্দিন আইয়ুব একজন কুর্দি ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন : ১১৬৭ খ্রিস্টাব্দে তুর্কি সুলতান নুরুদ্দিন জঙ্গি কর্তৃক মিশরীয় ফাতেমীয় খলিফা আল আনিদের সাহায্যে প্রেরিত আসাদুদ্দিন শিরকুহের নেতৃত্বাধীন মিশরীয় সংগ্রামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।
খলিফা আল আজিজ নুরুদ্দীনের নিকট সাহায্য কামনা করেন। নুরুদ্দিন খলিফা আল আজিজকে সাহায্য করার জন্য সালাহউদ্দিনের চাচা শিরকুজের নেতৃত্বে একদল সৈন্য মিশরে প্রেরণ করেন।
শিরকুহ ছিলেন নুরুদ্দিনের বিশ্বস্ত সেনাপতি। সালাহউদ্দিন শিরকুহের সঙ্গে মিশর গমন করেন এবং একটি সামরিক অভিযানে অংশ নেন।
শিরকুহ সুষ্ঠুভাবে অভিযান প্রেরণ করে মিশর থেকে ক্রুসেডারদের বিতাড়িত করতে সক্ষম হন। ফাতেমীয় খলিফা আল আজিজ খুশি হয়ে ১১৬৯ খ্রিস্টাব্দে শিরকুহকে মিশরের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করেন।
শিরকুহের মৃত্যুর পর সালাহউদ্দিন আইয়ুবী তার স্থলাভিষিক্ত হন। ১১৭৪ খ্রিস্টাব্দের নুরুদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন।
নুরুদ্দিন জঙ্গীর মৃত্যুর পর সালাহউদ্দিন নিজেকে স্বাধীন সুলতান বলে ঘোষণা দেন এবং রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি রাজধানী কায়রোতে রাজধানী স্থাপন করেন।
মৃত্যুবরণ : ১১৭৪-১১৯৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আইয়ুবী বংশের সুলতান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীনই ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে সিরিয়ার দামেস্কে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীনই ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে সিরিয়ার দামেস্কে মৃত্যুবরণ করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মিশরে নিজেকে প্রতিষ্ঠার পর সালাহউদ্দিন স্বীয় আধিপত্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেন। নিজের একক প্রচেষ্টার ফলে একটি বৃহৎ রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।
তিনি আইয়ুবী বংশ প্রতিষ্ঠা করে। সিরিয়া ও ইরাকে আধিপত্য স্থাপন করেন। মিশরের সঙ্গে সঙ্গে হিজাজ প্রদেশ ও নিজের অধিকারভুক্ত করতে সক্ষম হন।