রাঢ় জনপদ কি । রাঢ় জনপদ সম্পর্কে কি জান
রাঢ় জনপদ কি । রাঢ় জনপদ সম্পর্কে কি জান |
রাঢ় জনপদ কি । রাঢ় জনপদ সম্পর্কে কি জান
- অথবা, রাঢ় জনপদের উপর টীকা লিখ ।
উত্তর : ভূমিকা : বর্তমানকালের ন্যায় বাংলা একক কোনো ভূখণ্ড ছিল না। আজকের যে বাংলা পূর্বে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনপদে বিভক্ত ছিল। আর এ জনপদগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জনপদ হল রাঢ় জনপদ ।
→ রাঢ় জনপদ : ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত অঞ্চলকে রাঢ় বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা, বর্ধমান জেলার মধ্যভাগ, বাঁকুড়া জেলার পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব ভাগ ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমভাগ রাঢ়ের অন্তর্গত।
এছাড়া প্রেসিডেন্সি বিভাগের মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার অংশবিশেষ ও হুগলি জেলার সামান্য অংশ রাঢ়ের অন্তর্গত।
এর সীমানা পশ্চিমে ছোটনাগপুর মালভূমির প্রান্তভাগ থেকে পূর্বে গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলের পশ্চিম সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অঞ্চল ঈষৎ ঢেউ খেলানো ও এর ঢাল পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ।
সাঁওতালি ভাষার “রাঢ়ো' (পাথুরে জমি) শব্দটি থেকে রাঢ় শব্দটি গৃহীত হয়েছে। অন্যমতে, গঙ্গারিডই রাজ্যের নাম থেকে এই শব্দটি উৎপন্ন।
উত্তর ও দক্ষিণের বিচারে এই জনপদ উত্তর রাঢ় এবং দক্ষিণ রাঢ় নামে পরিচিত ছিল। অজয় নদ এই রাঢ় অঞ্চলের সীমানা ছিল।
বর্তমান পশ্চিম বঙ্গের হওড়া, হুগলি ও বর্ধমান জেলার কিছু অংশ নিয়ে দক্ষিণ-রাঢ়দেশ গঠিত ছিল। দক্ষিণ রাঢ়ের উত্তরদিকের পুরো অংশটুকু উত্তর রাঢ় বলা হয় ৷
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রাঢ় প্রাচীন বাংলার জনপদগুলোর মধ্যে অন্যতম সামাজিক অর্থনৈতিক সকল দিক থেকেই রাঢ় জনপদের গুরুত্ব ছিল। এই জনপদ বাংলার ঐতিহ্য ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে।