রাজ্যবর্ধন কে ছিলেন । রাজ্যবর্ধন সম্পর্কে যা জান লেখ
রাজ্যবর্ধন কে ছিলেন । রাজ্যবর্ধন সম্পর্কে যা জান লেখ |
রাজ্যবর্ধন কে ছিলেন । রাজ্যবর্ধন সম্পর্কে যা জান লেখ
- অথবা, রাজ্যবর্ধন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : পাঞ্জাবের থানেশ্বর অঞ্চলের পুষ্যভূতি বংশের রাজত্বকাল বাংলার ইতিহাসে খুবই আলোচিত একটি অধ্যায়ের নাম।
রাজ্যবর্ধন ছিলেন এ বংশের অন্যতম প্রতাপশালী রাজা। তার রাজত্বকাল কম সময়ের জন্য হলেও তার কৃতিত্ব শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয়।
→ রাজ্যবর্ধনের পরিচয় : পুষ্যভূতি বংশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজা ছিলেন প্রভাকরবর্ধন। এ বংশের রাজাদের নামের শেষে বর্ধন শব্দটি যোগ করে একটি বৈশিষ্ট্য স্থাপন করা হয়।
প্রভাকরবর্ধনের পুত্র ছিলেন রাজ্যবর্ধন ও হর্ষবর্ধন এবং কন্যা ছিলেন রাজ্যশ্রী। সুতরাং হর্ষবর্ধন ছিলেন রাজ্যবর্ধনের ভ্রাতা এবং রাজ্যশ্রী ছিলেন রাজ্যবর্ধনের ভগ্নী।
১. রাজ্যবর্ধনের সিংহাসন লাভ : প্রভাকরবর্ধনের মৃত্যুর পর থানেশ্বরের সিংহাসনে আরোহণ করেন প্রভাকরবর্ধনের জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজ্যবর্ধন । তিনি (৬০৫-৬০৬) সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন ।
২. রাজ্যবর্ধনের শাসনকাল : (৬০৫-৬০৬) রাজ্যবর্ধনের শাসনকাল শুরু হয় ৬০৫ সাল থেকে এবং শেষ হয় ৬০৬ সালে তার মৃত্যুর মাধ্যমে।
রাজ্যবর্ধন যখন ক্ষমতায় আসে ঠিক তার কিছু পূর্বে মালব রাজ দেবগুপ্ত এবং গৌড় রাজ্যের রাজা শশাঙ্কের মধ্যে মালব-গৌড় চুক্তি সম্পাদিত হয়।
অপরপক্ষে থানেশ্বর এর সাথে মৌখরিরাজ গ্রহবর্মণের, থানেশ্বর-কনৌজ জোট গঠিত হয়। ফলে দু'পক্ষের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লড়াই চলতে থাকে।
প্রভাকরবর্ধনের মৃত্যুর পর মালব-গৌড় জোট থানেশ্বর রাজ্যের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনা সম্ভব মনে করে এবং এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করে।
তারা বুঝতে পেরেছিল যে, নতুন রাজা রাজ্যবর্ধন মিত্র কনৌজের গ্রহবর্মণকে খুব তৎপরতার সাথে সাহায্য করতে পারবে না।
এ সুযোগে দেবগুপ্ত ও শশাঙ্ক কনৌজ আক্রমণ করে গ্রহবর্মণকে পরাজিত ও নিহত করেন এবং রাজ্যশ্রীকে বন্দি করেন।
রাজ্যবর্ধন বোনকে উদ্ধার করতে এসেছিলেন। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তিনি পরাজিত ও নিহত হন।
উপসংহার : পরিশেষ বলা যায় যে, রাজ্যবর্ধনের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার জন্য তথ্যের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তবে আমরা যতটুকু জনতে পারি থানেশ্বরের রাজা হিসেবে রাজ্যবর্ধনের ক্ষমতা ও প্রভাব একেবারে কম ছিল না ।