প্রাচীন বাংলার সাথে বহিঃবিশ্বের সম্পর্ক কেমন ছিল
প্রাচীন বাংলার সাথে বহিঃবিশ্বের সম্পর্ক কেমন ছিল |
প্রাচীন বাংলার সাথে বহিঃবিশ্বের সম্পর্ক কেমন ছিল
- অথবা, বহির্বিশ্বের সাথে প্রাচীন বাংলার সম্পর্ক নিরূপণ কর।
উত্তর : ভূমিকা : এক সময় বাংলা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত ছিল। বাংলাদেশ নামে কোনো দেশ ছিল না। আজকের বাংলাদেশকে খণ্ড খণ্ড জনপদে ভাগ করে আলাদা শাসনকর্তা শাসন করতো।
এজন্য একেক অঞ্চলের সংস্কৃতি ছিল একেক ধরনের এক অঞ্চলের সাথে অন্য অঞ্চলের মিল অমিল ছিল ।
তবে খণ্ডিত অংশের সাথে অন্য বৃহৎ কোনো শক্তিধর দেশের তেমন মিল ছিল না। সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না।
→ বহির্বিশ্বের সাথে প্রাচীন বাংলার সম্পর্ক : একটা দেশের সাথে অন্য একটা দেশের সম্পর্ক হয় বাণিজ্যিক কারণে যুদ্ধের কারণে, ধর্মপ্রচারের কারণে, ভ্রমণ, পর্যটন ইত্যাদি কারণে ।
তবে সে সময় যেহেতু দেশটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত ছিল সেজন্য বাণিজ্যিক প্রসার দেখা যায়নি। ধর্মপ্রচার তেমন ছিল না। ভ্রমণ ও পর্যটন সম্বন্ধে তাদের ধারণার অভাব ছিল।
তাছাড়া আজকের যুগের মত তখন প্রযুক্তির উন্নতি ছিল না। ছিল না সু-সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কুটনৈতিক তৎপরতা। বহির্বিশ্বের সাথে কেন সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়নি। তার যুক্তিযুক্ত কতগুলো কারণ প্রদান করা যেতে পারে ।
১. প্রাচীন বাংলার সাথে অনান্য দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত ছিল না। যার জন্য বহির্বিশ্বের সাথে সুসম্পর্ক হয়নি।
২. সে সময় কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার মতো সামর্থ্য বা ধারণা তাদের ছিল না।
৩. বাণিজ্যিক সুবিধা আদায় এবং বহির্বিশ্বের সাথে বাণিজ্যিক চিন্তাধারা তাদের ছিল না যার জন্য সম্পর্ক ভালো ছিল না ৷
৪. যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম ছিল নদীপথ যার দরুন সুসম্পর্ক তৈরি করা কঠিন ছিল।
৫. কুটনৈতিকভাবে বহিঃসম্পর্কের জন্য শিক্ষা ও ভাষাগত জ্ঞান না থাকার কারণে সম্পর্ক সীমিত ছিল।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রাচীন বাংলার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের সাথে বহির্দেশগুলো সম্পর্ক স্থাপনে এগিয়ে আসেনি।
প্রাচীন বাংলার রাজ্যের হর্তাকর্তারাও সম্পর্ক স্থাপনে তেমন আগ্রহ ও পদক্ষেপ নেয়নি যার দরুন সম্পর্ক ছিল মোটামুটি।