পলাশীর যুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মিরনের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল
পলাশির যুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মিরনের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল |
পলাশির যুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মিরনের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল
- অথবা, পলাশির যুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মিরনের শেষ পরিণতি সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : নিউটনের তৃতীয় সূত্রে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটা বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে।” এটা শুধু মাত্র বস্তু ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এমনটি নয়, রাজনীতিতে বা অর্থনীতিতেও এটি প্রযোজ্য।
সিরাজ-উদ-দৌলাকে উৎখাত করতে পলাশিতে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে তাদেরও হয়েছিল মর্মান্তিক পরিণতি।
কাউকে পাগল হতে হয়েছিল, কারো হয়েছিল অপঘাতে মৃত্যু। নিম্নে কুচক্রী মিরনের শেষ পরিণতি তুলে ধরা হলো :
→ ষড়যন্ত্রকারী মিরনের শেষ পরিণতি : মিরন ছিলেন- পলাশির যুদ্ধের অন্যতম নায়ক। তিনি ছিলেন বিশ্বাসঘাতক মীর জাফরের পুত্র। তার পুরো নাম মীর মোহাম্মদ সাদেক আলী খান।
তিনি মীর জাফরের জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন। আলীবর্দী খানের ভগ্নী শাহ খানমের গর্ভে তার জন্ম হয়েছিল। এই সূত্রে মিরন ছিল আলীবর্দী খানের বোনপো।
অত্যন্ত দুর্বৃত্ত, নৃশংস ও হীনচেতা এবং সিরাজ হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক মিরন। আমিনা বেগম ও ঘষেটি বেগম হত্যার নায়কও তিনি। লুৎফুন্নেসার লাঞ্ছনার কারণও মিরন।
মীর্জা মেহেদীকেও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিলেন তিনি। ইংরেজদের নির্দেশে এই মিরনকে হত্যা করে মেজর ওয়ালস। তবে তার এই মৃত্যু ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ইংরেজরা মিথ্যা গল্প বানিয়েছিল।
তারা বলেছে, মিরন বিহারে শাহজাদা আলী গওহরের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে পথের মধ্যে বজ্রাঘাতে নিহত হন।ইংরেজরা বলেছে, রাজ্রপাতের ফলে তাঁবুতে আগুন ধরে যায় এবং তাতেই তিনি নিহত হন।
ফরাসি সেনাপতি লরিস্টনের Jean যদিও ঘটনাকে অস্বীকার করেছেন। বরং এই মত পোষণ করেন যে, মিরনকে আততায়ীর দ্বারা হত্যা করা হয়েছিল ।
উপসংহার : পরিশেষে বাংলায় ব্যবহৃত ওই কথাটিই বলতে হয়, “পাপ কখনো বাপকেও ছাড়ে না”। সত্যিকার অর্থে তাই যে যেমন কর্ম করবে সে তেমন ফল পাবে।
অত্যাচারী মিরন যেভাবে সিরাজকে হত্যা করেছিল। সেই ইংরেজদের কাছে তাকে সেভাবেই হত্যা হতে হয়েছিল।