নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে সংঘটিত ষড়যন্ত্রে বিভিন্ন পক্ষের পরিচয় দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে সংঘটিত ষড়যন্ত্রে বিভিন্ন পক্ষের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে সংঘটিত ষড়যন্ত্রে বিভিন্ন পক্ষের পরিচয় দাও। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে সংঘটিত ষড়যন্ত্রে বিভিন্ন পক্ষের পরিচয় দাও |
নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে সংঘটিত ষড়যন্ত্রে বিভিন্ন পক্ষের পরিচয় দাও
- অথবা, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে সংঘটিত ষড়যন্ত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : নবাব আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পর তাঁর প্রিয় দৌহিত্র সিরাজ-উদ-দৌলা ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল বাংলার মসনদে আরোহণ করেন।
সিংহাসনে আরোহণের পর দিন থেকেই বিভিন্ন অঞ্চলের শাসনকর্তা, দরবারের অমাত্যবর্গ, হিন্দু স্বার্থান্বেষী বেনিয়া ও সর্বোপরি ইংরেজদের কুটিল ষড়যন্ত্রের শিকার হন।
এরা সম্মিলিতভাবে নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হন। নবাব সিরাজ এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সফলতা লাভ করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির প্রান্তরে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের নিকট পরাজিত ও বন্দি হয়ে নিহত হন। এভাবে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য দুইশত বছরের জন্য অস্তমিত হয়ে যায়।
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা বিরোধী চক্রের পরিচয় : নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে সংঘটিত ষড়যন্ত্রে যোগদানকারী বিরোধী শক্তিগুলোর পরিচয় নিম্নে তুলে ধরা হলো :
১. ঘষেটি বেগম ও শওকত জঙ্গ : নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে যারা প্রথম ষড়যন্ত্রের সূচনা করেন তারা হলেন নবাব সিরাজের খালা ঘষেটি বেগম ও খালাত ভাই শওকত জঙ্গ।
এদের ষড়যন্ত্রের মূল কারণ ছিল অপুত্রক আলীবর্দীর মৃত্যুর পর সিংহাসন নিয়ে দ্বন্দ্ব । নবাব আলীবর্দীর কোন পুত্র সন্তান ছিল না।
তার তিন কন্যা সন্তান ছিল। তিনি তাঁর তিন কন্যাকে তারই ভ্রাতা হাজি আহম্মদ খানের তিন পুত্রের সাথে বিয়ে দেন।
অতঃপর নবাব আলীবর্দী তার জ্যেষ্ঠকন্যা মেহের উন-নেসা তথা ঘষেটি বেগমের জামাতা নওয়াজিশ মুহাম্মদকে ঢাকার, মেজ মেয়ের জামাতাকে পুর্নিয়ার এবং কনিষ্ঠ কন্যা আমেনা বেগমের জামাতা জয়নুদ্দিনকে বিহারের শাসনকর্তার পদ প্রদান করেন।
ঘটনাক্রমে আলীবর্দীর মৃত্যুর পূর্বেই তার জামাতাদের মৃত্যু ঘটে।| নবাব আলীবর্দী খান সিরাজ-উদ-দৌলাকে বেশি ভালোবাসতেন।
কাজেই নবাব আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পর সিরাজ নবাবের প্রকৃত উত্তরাধিকারী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। এমনকি ১৭৫২ সালে নবাব স্বীয় জীবদ্দশাতেই সিরাজকে তার উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করেন।
কিন্তু আলীবর্দী খান যখন অন্তিম শায়িত ঠিক সেই মুহূর্তে সিরাজের চাচাত ভাই ও খালাত ভাই পূর্ণিয়ার নবাব শওকত তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে আত্মপ্রকাশ করেন।
সিরাজের খালা ও চাচা নওয়াজিশ মুহাম্মদের বিধবা স্ত্রী ঘষেটি বেগম ও তার প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে আত্মপ্রকাশ করেন। সিরাজের খালা ও চাচা নওয়াজিশ মুহাম্মদের বিধবা স্ত্রী ঘষেটি বেগমও তার প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে আবির্ভূত হন।
ঘষেটি বেগম বহু ধনরত্নের মালিক ছিলেন। মুর্শিদাবাদ থেকে কয়েক মাইল উত্তরে তাঁর মতিঝিল প্রাসাদে একদল সশস্ত্র বাহিনীর প্রহরাধীনে বাস করতেন।
সিরাজের ছোট ভাই ইকরামুদ্দৌলাকে ঘষেটি বেগম প্রতিপালন করেছিলেন এবং তাকে নবাবের আসনে বসাবার জন্য ষড়যন্ত্র করছিলেন।
কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে ইকরামুদ্দৌলা হঠাৎ মারা গেলেন। এতে নিরুপায় হয়ে ঘরেটি বেগম শওকত জঙ্গকে বাংলার মসনদ দখল করার জন্য উত্তেজিত করতে থাকেন।
শওকত জঙ্গ নিজেও বাংলার মসনদের দাবিদার ছিলেন। ঘষেটি বেগম শওকত জঙ্গকে মুর্শিদাবাদে অভিমুখে সৈন্য প্রেরণ করার আহ্বান জানান। এভাবে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা নিজ পরিবারের লোকজনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন।
→ রাজপ্রাসাদের ষড়যন্ত্রকারীদের বর্ণনা : রাজপ্রাসাদের বয়স্ক ওমরাহগণ তরুণ নবাবের শক্তি ও প্রতাপ মেনে নিতে রাজি হলেন না। মুর্শিদাবাদের রাজপ্রাসাদে যারা সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তারা দুই দলে বিভক্ত ছিল।
প্রথম দলে রাজদরবারের কয়েকজন আমাত্যবর্গ ছিল। যেমন- মীর জাফর, জগৎশেঠ, উমিচাদ, ইয়ার লতিফ, রাজবাড, রায়দুর্লভ প্রমুখ। দ্বিতীয় দলে ছিল ইংরেজ বেনিয়ারা।
প্রথমোক্ত দলের ষড়যন্ত্রকারীদের পরিচয় নিম্নে দেওয়া হলো-
১. মীর জাফর : নবাবে বিশ্বাসঘাতক ষড়যন্ত্রকারীদের নেতা, ছিলেন মীর জাফর আলী খান। তাঁকে কেন্দ্র করেই ষড়যন্ত্রের শাখা-প্রশাখা বিস্তার লাভ করে। বৃদ্ধ নবাব আলীবর্দী খানের সময় থেকে (১৭৪০-৫৬) রাজ পরিবারের আত্মীয় হিসেবে মীর জাফরের খুব সমাদর ছিল।
আলীবর্দী খানের বৈমাত্রেয় ভগ্নি শাহ খানমের সাথে তাঁর বিবাহ হয়েছিল এবং সে সূত্রে মীর জাফর প্রধান সেনাপতির পদ লাভ করেছিলেন।
কাজেই রাজসভায় অন্যতম আমলা হিসেবে প্রভুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়া তার পক্ষে সুবিধাজনক ছিল। প্রধান অমাত্যদের অসন্তোষ ও প্রতিহিংসার সুযোগ তিনি পুরোপুরিভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন।
মীর জাফর বিশ্বাসঘাতক হিসেবে ইতিহাসে পরিচিত হয়ে রয়েছেন। নবাব সিরাজ তাকে বিশ্বাস করেছিলেন। তিনি সেই বিশ্বাসের মূল্য দেয়নি।
এ সমস্ত স্বার্থান্বেষী, দেশদ্রোহী, কুচক্রী ও ক্ষমতা লোভী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী দল সিরাজের বিরুদ্ধে দিনরাত কাজ করেছিল।
মুখে বন্ধুসুলভ ভাব দেখিয়ে এরা গোপনে রাষ্ট্রের সর্বনাশ সাধনে লিপ্ত ছিল। তরুণ ও সরলমতি নবাব এসব ব্যক্তিদের হীন ষড়যন্ত্রের কথা জেনেও তাদের বিরুদ্ধে কোন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি ।
২. জগৎশেঠ : জগৎশেঠ ছিলেন মুর্শিদাবাদের শেঠ বংশের সদস্য। অর্থশালী বেনিয়া হিসেবে রাজধানীতে তার প্রভাব ছিল। নবাব সিরাজ যখনই অর্থ সংকটে পড়তেন তখনই তার নিকট ছুটে যেতেন।
ফলে রাজপ্রাসাদে তার প্রভাব ছিল অসীম। তিনিও তরুণ নবাবের শাসন সহ্য করতে না পেরে সেনাপতি মীর জাফরকে বারবার নবাবের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহ ঘোষণা করার জন্য প্ররোচিত করেছিলেন।
কিন্তু মীর জাফর কোনক্রমেই এতে সম্মতি দেননি। কারণ তিনি মনে করতেন তৃতীয় কোন শক্তির সাহায্য ব্যতীত তাঁরা কিছুতেই নবাবকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সক্ষম হবেন না। এ কারণে তারা সুযোগের সন্ধানে ছিলেন।
৩. রায়দুর্লভ : রায়দুর্লভ ছিলেন আরেকজন পুরনো সেনাপত্তি, যিনি মীর জাফরের ছত্রছায়ায় থাকতেন এবং তাঁর নির্দেশমতো কাজ করতেন। পলাশির যুদ্ধকালে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে মীর জাফরের সাথে স্বীয় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
পক্ষান্তরে মীরমদন ও মোহনলালের মতো দেশপ্রেমিক সৈন্যরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্রেই নবাব বাংলার স্বাধীনতা হারান।
৪. ইয়ার লতিফ নবাব : সিরাজ-উদ-দৌলার অন্যতম আরেকজন সেনাপতি ছিলেন ইয়ার লতিফ। তিনিই প্রথম, নবাবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন এবং তিনিই প্রথম ষড়যন্ত্রকারী যিনি এ প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে ইংরেজ বেনিয়াদের যোগদানের জন্য আহ্বান জানান।
ইংরেজরা এ সুযোগের পুরো সদ্ব্যবহার করলেন। তারা ষড়যন্ত্রকারীদের নানাভাবে উৎসাহ দিতে লাগলেন। ইংরেজদের পরিপূর্ণ সহায়তার আশ্বাস পেয়ে মীর জাফর এক্ষণে যড়যন্ত্রকারীদের পুরোভাবে এসে দাঁড়ালেন এবং নিজেই বাংলার মসনদ দখল করার জন্য তৎপর হলেন।
৫. রাজা রায়বল্লভ : সিরাজ যখন বাংলার মসনদে আরোহণ করেন তখন ঢাকার নবাব নওয়াজিশ মুহাম্মদ খানের সহকারী ছিলেন রাজা রায়বল্পত। নওয়াজিশ খানের মৃত্যুর পর তার কোষাগারের সমস্ত ধন-সম্পত্তি ঘষেটি বেগম ও রায়বরত হস্তগত করেন।
নবাব সিরাজের ভয়ে রায়বল্লভ এসব আত্মসংগৃহীত সমুদয় অর্থ তার ছেলে কৃষ্ণদাসের মাধ্যমে কলকাতায় পাঠিয়ে সেন। কলকাতাস্থ ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের ইংরেজ কর্মকর্তারা কৃষ্ণদাসকে সাদরে গ্রহণ করেন।
৬. শেখ উর্মি চাল : শেখ ঊর্মি টান ছিলেন একজন শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত বেনিয়া। নবাব সিরাজকে সিংহাসনচ্যুত করার জন্য ক্লাইভ ও মীর জাফর যে গোপন সন্ধিপত্র সম্পাদন করেন উমিচান তা জেনে যান এবং গুপ্ত ষড়যন্ত্রের কথা প্রকাশ করার ভয় দেখালে ক্লাইভ তাকে প্রচুর অর্থ দানের প্রলোভনে এক মিথ্যা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করলেন।
ওয়াটসন মিথ্যা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করলে ক্লাইভ নিজেই তাঁর নাম জাল করলে দ্বিধাবোধ করলেন না।
৭. ইংরেজ বেনিয়াদের পরিচয় : নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী দেশীয় বিশ্বাসঘাতকদেরকে যারা বিভিন্নভাবে উস্কানী দিয়েছিল তারা হলো ইংরেজ বেনিয়া।
১৬০০ সালে তারা ব্রিটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠন করে ভারতবর্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আসে। ১৬৩২ সালে তারা সম্রাট শাহজাহানের নিকট থেকে বাংলায় একচেটিয়া বাণিজ্য করার ফরমান লাভ করে।
এ সময় থেকে তারা বাংলার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে। নবাব আলীবর্দী খান তাদের কঠোরহস্তে দমন করতে সক্ষম হলে ও তরুণ নবাব সিরাজের সাথে তাদের স্বপ্ন দেখা দেয়।
এ দ্বন্দ্বের কারণগুলো ছিল নিম্নরূপ-
(ক) ইংরেজগণ কর্তৃক শওকত জঙ্গকে সাহায্য নেন।
(খ) ঘষেটি বেগমের সাথে শলাপরামর্শ।
(গ) নবাবকে করদানে অস্বীকৃতি।
(খ) কলকাতায় কৃষ্ণদাসকে আশ্রয় দান।
(ও) ফোর্ট উইলিয়ামের সংস্কার।
(চ) বিনা অনুমতিতে কলকাতায় দুর্গ নির্মাণ
(ছ) মীর জাফরের সাথে গোপন চুক্তি।
(জ) নবাবকে অসহযোগিতা করা বিভিন্ন কাজে।
(ঝ) গুরুত্বপূর্ণ কাজে নবাবের অনুমতি না গ্রহণ করা।
(৩৫৪) ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি করা। এ সকল কারণে ইংরেজদের সাথে নবাবের মতের মিল না হলে যুদ্ধ বেঁধে যায় ।
৮. ষড়যন্ত্রের চরম পর্যায় : ১৭৫৭ সালের মে মাসে ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভ ও মীর জাফর এ মর্মে এক গোপন চুক্তি করেন যে, ইংরেজরা সিরাজের পরিবর্তে মীর জাফরকে বাংলার মসনদে বসাবে এবং সে জন্য তাদেরকে বাণিজ্যিক ও নগদ আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
এ সন্ধির পর ক্লাইভ নবাবের বিরুদ্ধে সন্ধিভঙ্গের মিথ্যা অজুহাতে সসৈন্যে মুর্শিদাবাদের দিকে অগ্রসর হলেন। সিরাজ নিরুপায় হয়ে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির প্রান্তরে ইংরেজ বাহিনীর মোকাবিলা করেন।
এক্ষণে বাংলার বিয়োগান্তক নাটকের শেষ অঙ্ক শুরু হলো। নবাবের বিশ্বাসঘাতক সেনাপতি মীর জাফর, ইয়ার লতিফ, রায়দুর্লভ প্রমুখ যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যয় দাঁড়িয়ে থাকেন।
দেশপ্রেমিক সেনাপতি মীরমদন তার বামপাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রধান সেনাপতি মীর জাফরকে বারবার সাহায্যের আহ্বান জানানো সত্ত্বেও তিনি একবারও ভ্রূক্ষেপ করলেন না।
বরং অসময়ে নবাবকে যুদ্ধ বন্ধের পরামর্শ দিয়ে তার সর্বনাশ করলেন। নবাব সিরাজ বন্দি হলেন। ১৭৫৭ সালের ২ জুলাই মীর জাফরের পুত্র মীরনের আদেশে মোহাম্মদী বেগের হাতে তিনি নিহত হলেন। এভাবে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার জীবনের অবসান ঘটল।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নবাব সিরাজ তাঁর স্বল্পকালীন রাজত্বে কখনোই ষড়যন্ত্রমুক্ত ছিলেন না। ১৭৫২ সালের মসনদের উত্তরাধিকারী মনোনীত হওয়ার পর থেকেই ঘষেটি বেগম, শওকত জঙ্গ, মীর জাফর, জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ, রাজবল্লত, ইয়ার লতিফ, উমিটাস প্রমুখ চক্রান্তকারীর ষড়যন্ত্রের শিকার হন।
এ অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে ইংরেজ বেনিয়ারা হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্রকে গভীর থেকে গভীরতর করে তোলে। যার ফলে নবাবের সাথে তারা পলাশির প্রান্তরে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পরাজিত করে। এভাবে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়ে যায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে সংঘটিত ষড়যন্ত্রে বিভিন্ন পক্ষের পরিচয় দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে সংঘটিত ষড়যন্ত্রে বিভিন্ন পক্ষের পরিচয় দাও। যদি তোমাদের আজকের নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে সংঘটিত ষড়যন্ত্রে বিভিন্ন পক্ষের পরিচয় দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।