মুঘল সঙ্গীত সম্পর্কে যা জানো লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুঘল সঙ্গীত সম্পর্কে যা জানো লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুঘল সঙ্গীত সম্পর্কে যা জানো লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
মুঘল সঙ্গীত সম্পর্কে যা জানো লিখ |
মুঘল সঙ্গীত সম্পর্কে যা জানো লিখ
উত্তর : ভূমিকা : সঙ্গীত পৃথিবীর সকল সমাজেই কোনো না কোনোভাবে মিশে আছে। সুপ্রাচীন কাল হতে সঙ্গীত কাব্য রচনা, নাচগান, সুফি সঙ্গীত, ভক্তিসঙ্গীত ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষ তার মনের খোরাক মিটিয়েছে এবং এসব সঙ্গীতের মাধ্যমেই অবসরে বিনোদনে মেতেছে। মুঘল শাসকদের বেশির ভাগ বিলাসী ছিল। তাই রাজদরবারে নামিদামি গায়ক ছিল এবং দরবারে নিয়মিত
জলসার আসর বসত : মুঘল সঙ্গীত নিয়ে মুঘল সঙ্গীত সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. ঐকতান সেন/তানসেন : তানসেন সম্রাট আকবরের রাজ্যসভার নবরত্নের মধ্যে নামকরা ও বিখ্যাত ছিলেন। তিনি সঙ্গীতে ঐ সময়ে জগৎ জোড়া খ্যাতি অর্জন করেন।
২. কোরাম সঙ্গীত : তানসেনের রাজদরবারে খ্যাতিতে অন্যান্য নবরত্নরা বিজু মাওরার নামক এক অখ্যাত গায়কের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করেন এবং জয়পুরের এক ভয়ঙ্কর মান কচুর ডালনা খাওয়ালে তার কন্ঠ রুদ্ধ হয়।
পরে তার কণ্ঠে অসংখ্য ছিদ্র দেখা দেয়। তিনি এতে হতাশ না হয়ে তাঁর সঙ্গীত সাধনা চালিয়ে যান। ফলে তাঁর কন্ঠের বহু ছিদ্র দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন আওয়াজ বের হতো। এভাবেই বর্তমান দিনের যে কোরাস সঙ্গীতের জন্ম তানসেন থেকেই।
৩. সুফি/ভক্তিমূলক সঙ্গীত : মুঘল আমলে ভারতবর্ষে সুফিবাদের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। মঈনুদ্দিন চিশতী নামকরা সুফি ছিলেন। তাদের মাধ্যমে ভারতে মুঘল সুফি বা ভক্তিসঙ্গীতের সূচনা।
তারা মূলত গজল বা স্তুতিমূলক সঙ্গীত রচনা করতেন এবং গাইতেন । মধ্যযুগে ভক্তিমূলক সঙ্গীত খুবই জনপ্রিয় ছিল।
৪. ধ্রুপদী সঙ্গীত : মধ্যযুগে হিন্দুরাজাগণ ধ্রুপদী সঙ্গীতের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ধ্রুপদী সঙ্গীত হলো দেবভক্তিমূলক সঙ্গীত। এ সঙ্গীত মূলত বৈষ্ণব মন্দিরে গাওয়া হতো।
শ্রীকৃষ্ণের স্তুতিমূলক এ ধ্রুপদী সঙ্গীত মধ্যযুগে মুঘল শাসন বা সাম্রাজ্যকে সমগ্র ভারতবর্ষে সুপরিচিত করে তোলে। মুঘল রাজদরবারেও ধ্রুপদী সঙ্গীতের চর্চা হতো।
৫. ফারসি গজল : মুঘল শাসকদের বেশির ভাগ মুসলিম এবং ধর্মভীরু হওয়ায় ফারসি ও উর্দু ভাষায় তাদের একটা বিশেষ দুর্বলতা ছিল।
ফলে মুঘল শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজদরবারে সঙ্গীতের আসর বসত এবং বিখ্যাত গায়কদের মধ্যে সঙ্গীতের প্রতিযোগিতা হতো। এসময় রাজ দরবারে ফারসি ও উর্দু সঙ্গীতের চর্চা হতো।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সঙ্গীত মুঘল শাসনামলকে পুরো ভারতবর্ষে সুপরিচিত করে তোলে। সঙ্গীতের মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্য ভারতে এক অন্যতম উচ্চতায় আসীন হয়।
মুঘল শাসকদের সঙ্গীত প্রেম এবং এর পৃষ্ঠপোষকতার কারণে সাম্রাজ্যে ও রাজদরবারে তানসেনের মতো বিখ্যাত গায়ক তৈরি হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুঘল সঙ্গীত সম্পর্কে যা জানো লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুঘল সঙ্গীত সম্পর্কে যা জানো লিখ । যদি তোমাদের আজকের মুঘল সঙ্গীত সম্পর্কে যা জানো লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।
মুঘল শাসনামলের রাজনৈতিক অবস্থা কেমন ছিলো?