মুঘল শাসনে মাল জামিনী ব্যবস্থার বর্ণনা দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুঘল শাসনে মাল জামিনী ব্যবস্থার বর্ণনা দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুঘল শাসনে মাল জামিনী ব্যবস্থার বর্ণনা দাও। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
মুঘল শাসনে মাল জামিনী ব্যবস্থার বর্ণনা দাও |
মুঘল শাসনে মাল জামিনী ব্যবস্থার বর্ণনা দাও
- অথবা, “মাল জামিনী” ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি টিকা লিখ।
- অথবা, মাল জামিনী ব্যবস্থা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভূমিকা : মুঘল সাম্রাজ্য বিশালাকার ধারণ করলে এক এক এলাকায় রাজস্ব আদায় ও শাসন পরিচালনার জন্য সুবাদার নিয়োগ করা হতো।
সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় সাম্রাজ্যে গোলযোগ সৃষ্টি হলে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার একজন সৎ ও দক্ষ শাসক দরকার ছিল।
আওরঙ্গজেব এই এলাকায় তরুণ মুর্শিদকুলি খানকে ১৭০০ সালে নিয়োগ দেন। মুর্শিদকুলি খান রাজস্ব সঠিকভাবে আদায়ের লক্ষ্যে মাল জামিনী ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন ।
মালজামিনী ব্যবস্থা : মাল জামিনী ফারসি শব্দ। মাল অর্থ সম্পদ বা রাজস্ব আর জামিনী অর্থ হলো পরিশোধ করার নিশ্চয়তা বা জামিনদারী। অর্থাৎ মাল জামিনী অর্থ হলো রাজস্ব পরিশোধ করার নিশ্চয়তা প্রদানকারী বা জামিনদারী ।
নবাব মুর্শিদকুলি খান ১৭০০ থেকে ১৭২৭ সাল পর্যন্ত এই এলাকায় নবাবী করেন। তিনি যখন সুবাদার হন তখন এখানে রাজস্ব ব্যবস্থায় অনিয়ম ছিল।
জামিনদার বা জমিদাররা তাদের উপর নির্ধারিত রাজস্ব সময়মতো পরিশোধ করতো না। ফলে বছরের পর বছর রাজস্ব আদায় বকেয়া থাকতো এবং কোনোভাবে তা আদায় করা সম্ভব হচ্ছিল না।
তাই এই সমস্যার সমাধানকল্পে মুর্শিদকুলি খান মাল জামিনী ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। যেখানে তিনি উড়িষ্যার অনুর্বর জমি জামিনদারিতে দেন।
এ ব্যবস্থায় প্রত্যেক জামিন সঠিক সময়ে নির্ধারিত রাজস্ব পরিশোধ করার ব্যাপারে একটি দলিল বা মুচলেকা পত্রে সাক্ষর করতেন।
মুঘল সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক দুরবস্থা দূর করার জন্য তরুণ মুর্শিদকুলি খানের এটা একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল।
যার মাধ্যমে দীর্ঘ দিনের বংশানুক্রমিক জমিদারদের এবং নতুনভাবে জমি পত্তনি দেন এই শর্তে যে বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ পূণ্যাহ অনুষ্ঠানে সকল রাজস্ব পরিশোধ করতে হবে। এটাই ছিল মুর্শিদকুলি খান তথা মুঘল মালজামিনী ব্যবস্থা ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মুঘল রাজস্ব সংস্কারে সম্রাট আওরঙ্গজেবের সুবাদার মুর্শিদকুলি খান প্রবর্তিত মাল জামিনী ব্যবস্থা একটা যুগান্তকারী ঘটনা।
এর মাধ্যমে সঠিকভাবে রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়। মুর্শিদকুলি খান তরুণ ও শাসন পরিচালনায় দক্ষ হওয়ায় মালজামিনী ব্যবস্থার মতো উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুঘল শাসনে মাল জামিনী ব্যবস্থার বর্ণনা দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুঘল শাসনে মাল জামিনী ব্যবস্থার বর্ণনা দাও। যদি তোমাদের আজকের মুঘল শাসনে মাল জামিনী ব্যবস্থার বর্ণনা দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।