মিশরের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে যা জান লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মিশরের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে যা জান লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মিশরের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে যা জান লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
মিশরের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে যা জান লিখ |
মিশরের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে যা জান লিখ
- অথবা, মিশরের ভৌগোলিক বিবরণ দাও।
উত্তর : ভূমিকা : ভৌগোলিকভাবে মিশর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এটি এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা এ তিনটি মহাদেশের সঙ্গম স্থলে অবস্থিত।
নীল নদের অববাহিকায় হওয়ায় মাটিতে পলির পরিমাণ বেশি তাই এখানে কৃষি ফলন আফ্রিকার অন্যদেশ থেকে অনেক বেশি।
আর মিশর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিগণিত। প্রাচীনকাল থেকেই মিশর এর ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য গুরুত্ব লাভ করে আসছে।
তা নিয়ে আলোচনা করা হলো-
১. ভৌগোলিকভাবে মিশরের অবস্থান : ভৌগোলিকভাবে মিশর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অবস্থিত। উত্তরে ভূমধ্যসাগর, উত্তর- পূর্বে গাজা উপত্যকা ও ইসরাইল, পূর্বে আকাবা উপসাগর, পূর্ব-দক্ষিণে লোহিত সাগর এবং দক্ষিণে সুদান অবস্থিত।
২. ভৌগোলিক অবস্থা : ভৌগোলিকভাবে মিশরকে ৪টি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
(ক) সিনাই উপত্যকা;
(খ) নীলনদ উপত্যকা
(গ) পূর্বাঞ্চলের উচ্চভূমি ও
(ঘ) পশ্চিমাঞ্চলের মরুভূমি।
৩. সিনাই উপত্যকা : মিশরের দক্ষিণাংশে সমুদ্রতল হতে ২৫০০ হতে ৫০০০ ফুট উঁচুতে সিনাই উপত্যকার অবস্থান। সিনাই উপত্যকার আবহাওয়া শুষ্ক। উত্তরে ৬ ইঞ্চি দক্ষিণাংশে ২-৩ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়।
মাঝে মাঝে শুষ্ক নদী গর্ভ ওয়াদি দেখা যায়। উত্তরে বালিপূর্ণ হওয়ায় লোকালয় কম। এছাড়া উত্তর পশ্চিমাঞ্চল নিম্নভূমি। উত্তরদিকে ভূমধ্যসাগরের দিকেও ভূমি তুলনামূলক সমতল।
৪. নীলনদ উপত্যকা : মিশর নীলনদের অববাহিকায় অবস্থিত। ঐতিহাসিক হেরাডোটাস মিশরকে নীল নদের দান বলেছেন। এ নদীর দুধারে মিশর উচ্চতরও জনবহুল এলাকা অবস্থিত।
এখানে সর্বপ্রথম কৃষিকাজের উদ্ভবকে কেন্দ্র করেই প্রাচীন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। নীল নদের উভয় পাশে দক্ষিণ সীমান্তের শৈল বিপত্তি থেকে কায়রো পর্যন্ত ২-১০ মাইল পর্যন্ত উর্বর ও সবুজ এলাকা দৃশ্যমান ।
৫. পূর্বাঞ্চলীয় উচ্চভূমি : পূর্বাঞ্চলীয় উচ্চভূমির সাধারণ উচ্চতা সিনাই উপত্যকা থেকে কম। সিনাই উপদ্বীপ থেকে এখানে কম বৃষ্টিপাত হয় এজন্য এ অঞ্চল কৃষিকাজের জন্য বেশ উপযোগী। পূর্বাঞ্চলীয় উচ্চভূমি লোহিত সাগর ও নীল উপদ্বীপের মাঝে অবস্থিত। এ অঞ্চলে বহু ওয়াদি দেখা যায় ।
৬. পশ্চিমাঞ্চলে মরুভূমি : নীল উপত্যকার পশ্চিমে পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল মরুভূমি অবস্থিত। আলেকজান্দ্রিয়ার দক্ষিণ পশ্চিমে কাতার অবস্থিত। এ অঞ্চল নিম্নভূমির, নিম্নভূমি আয়তন কয়েক সহস্র বর্গমাইল ।
দাখলা, গারভা, বাহারিয়া ফাইয়ূম উল্লেখযোগ্য মরুভূমি । মরু অঞ্চলে অশক্ত ও সঞ্চয়শীলা বালুরাশি ছাড়াও এ এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে নিম্ন কতগুলো মরুদ্যান ও ভূভাগের সমন্বয়ে গঠিত।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নীল নদের অববাহিকায় ভৌগোলিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত হওয়ায় এখানে পূর্বাঞ্চলীয় প্রাচীন সভ্যতা মিশরীয় সভ্যতা গড়ে উঠে।
নীলনদের উভয় তীর যেমন পলি দ্বারা সমৃদ্ধ তেমনি পশ্চিমাঞ্চল বিস্তৃত মরুভূমি দ্বারা বেষ্টিত। ফলে দেশে ভৌগোলিক বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়।
এছাড়া তিন মহাদেশের সঙ্গমস্থলে অবস্থিত হওয়ার কারণে সবসময় মিশর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। অপরূপ ভৌগোলিক তারতম্য আর নীলনদের পলির কারণে সমৃদ্ধ মিশরকে হেরাডোটাস আখ্যায়িত করেছেন নীল নদের দান বলে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মিশরের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে যা জান লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মিশরের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে যা জান লিখ। যদি তোমাদের আজকের মিশরের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে যা জান লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।