কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র কি । কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র সম্পর্কে লিখ
কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র কি । কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র সম্পর্কে লিখ |
কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র কি । কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র সম্পর্কে লিখ
- অথবা, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের পরিচয় উল্লেখ কর।
- অথবা, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের পরিচয় দাও ।
- অথবা, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের উপর টীকা লেখ ।
উত্তর : ভূমিকা : কৌটিল্য এমন একজন ব্যক্তি যিনি সর্বপ্রথম ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা স্থান দেওয়ার চিন্তা করেন। তার অমর সৃষ্টি অর্থশাস্ত্র।
কারণ এ অর্থশাস্ত্রে তিনি সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম, দর্শন ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তাকে প্রাচীন ভারতের জনক বলা হয়।
[] কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র : কৌটিল্য রচিত অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি ১৬টি খণ্ডে বিভক্ত। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এটি ছিল একাধারে রাজনৈতিক তত্ত্ব এবং প্রশাসনের একটি ব্যতিক্রমী গ্রন্থ।
শাব্দিক অর্থে এ গ্রন্থ অর্থনীতির তাৎপর্য নির্দেশ করলেও প্রকৃত অর্থে এ গ্রন্থে রাষ্ট্র ও সরকারের কৌশল সম্পর্কিত আলোচনাকেই বেশি তাৎপর্যমণ্ডিত করেছে।
কৌটিল্যের এ অর্থশাস্ত্রে রাষ্ট্র পরিচালনার সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে। তাই অর্থশাস্ত্রকে রাষ্ট্র পরিচালনার সংবিধান বলা হতো।
রাষ্ট্রের প্রশাসন থেকে শুরু করে সকল কাজকর্ম কিভাবে চলবে তা এ অর্থশাস্ত্রে লিপিবদ্ধ ছিল। মূলত এটি ছিল তখনকার সময়ে ধর্ম, সমাজ ও রাষ্ট্র দর্শনের গ্রন্থ।
রাজা কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে তার পূর্ণ বিবরণ ও রাজার অনুসারীদের কাজ কি হবে এবং জনগণ রাজার সাথে কি রকম আচরণ করবে তার বিবরণ আছে।
কৌটিল্যের এ অর্থশাস্ত্র ছিল আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন ও অত্যাধুনিক। কূটনীতি ও অর্থনীতি কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে স্থান পেয়েছে।
কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র ১৯০৯ সালে ভারতের মহিশুরের পণ্ডিত আর শ্যামশাস্ত্রী কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র প্রথম সংস্করণ করেন। একটি সফল রাষ্ট্র গঠন করতে যেসব জিনিস দরকার তার সবকিছুই কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে বিদ্যমান রয়েছে।
উপসংহার : উপরের আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র ছিল তৎকালীন ভারতের সংবিধান। কেননা রাষ্ট্র, সমাজ, ধর্ম সবকিছুই এর নিয়মানুসারে পালিত হতো।
তাই প্রাচীন ভারতের জন্য কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র ছিল এক অভিনব গ্রন্থ। কৌটিল্য এমন একজন ব্যক্তি যিনি ধর্মকে সর্বপ্রথম রাজনীতি হতে পৃথক করার চেষ্টা করেন।