কায়রোর আল আজহার মসজিদ সম্পর্কে একটি টীকা লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কায়রোর আল আজহার মসজিদ সম্পর্কে একটি টীকা লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কায়রোর আল আজহার মসজিদ সম্পর্কে একটি টীকা লিখ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
কায়রোর আল আজহার মসজিদ সম্পর্কে একটি টীকা লিখ |
কায়রোর আল আজহার মসজিদ সম্পর্কে একটি টীকা লিখ
- অথবা, কায়রোর আল আজহার মসজিদ সম্পর্কে যা জান লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : হযরত ফাতেমা (রা.) এর স্মৃতি স্মরণে খলিফা আল মুইজের প্রধান সেনাপতি জওহর আল সিকিল্পির নির্দেশনায় মিশরের কায়রোতে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এই মসজিদটির নাম ছিল আল আজহার মসজিদ ।
আল আজহার মসজিদ : ফাতেমীয় খলিফা আল মুইজের সেনাপতি জওহর আল সিকিল্লি ৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে মিশর জয় করে মিশরের ফুস্তাভ নগরীর পাশে কায়রোতে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন।
এটিই ইতিহাসে আল আজহার মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটির নির্মাণ কাজ ১৭০ খ্রিস্টাব্দে আরম্ভ হয়ে ৯৭২ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়। এটি ছিল কায়রোর প্রথম মসজিদ,
নির্মাণ উপকরণ : আল আজহার মসজিদ নির্মাণে বিভিন্ন নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ইট, পাথর, মর্মর স্তম্ভ, কাঠ প্রভৃতি প্রধান উপকরণ ছিল।
স্থাপত্যিক বর্ণনা : আল আজহার মসজিদের স্থাপত্য কায়রোর ইতিহাসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। প্রাচীন মিশর থেকে শুরু করে গ্রিক ও রোমান শাসনসহ নানা সময়ের উপাদান এতে ব্যবহৃত হয়েছে। এতে বিভিন্ন স্থাপত্যিক উপকরণ জুল্লাহ, সাহন, মিহরাব, জিয়াস, গম্বুজ, খিলান ও ট্রানসেস্ট বিদ্যমান ছিল।
আয়তন : আল আজহার মসজিদটি উসমানীয়দের নির্মিত সুদৃশ্য গম্বুজ আর মামলুকদের নির্মিত ৪টি মিনার নিয়ে নির্মিত। এর আয়তন ৮৪ হাজার বর্গফুট। এই মসজিদটিতে এক সাথে ২০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ফাতেমীয় খলিফা আল মুইজের অন্যতম কৃতিত্ব হলো আল আজহার মসজিদ নির্মাণ।
৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে আল আজহার মসজিদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের সর্বোচ্চ শরিয়া শিক্ষাকেন্দ্র। বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কায়রোর আল আজহার মসজিদ সম্পর্কে একটি টীকা লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কায়রোর আল আজহার মসজিদ সম্পর্কে একটি টীকা লিখ । যদি তোমাদের আজকের কায়রোর আল আজহার মসজিদ সম্পর্কে একটি টীকা লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।