হর্ষবর্ধন কে ছিলেন । হর্ষবর্ধন সম্পর্কে আলোচনা করো
হর্ষবর্ধন কে ছিলেন । হর্ষবর্ধন সম্পর্কে আলোচনা করো |
হর্ষবর্ধন কে ছিলেন । হর্ষবর্ধন সম্পর্কে আলোচনা করো
- অথবা, হর্ষবর্ধনের পরিচয় দাও ৷
- অথবা, হর্ষবর্ধনের উপর একটি সংক্ষিপ্ত টাকা লিখ ।
উত্তর : ভূমিকা : থানেশ্বরের সিংহাসনের অন্যতম প্রভাবশালী শাসক হচ্ছেন হর্ষবর্ধন। সমসাময়িককালের ইতিহাসে যে ক'জন প্রভাবশালী ও প্রতিভাবান শাসকের নাম পাওয়া যায় তার মধ্যে হর্ষবর্ধন ছিলেন অন্যতম একজন শাসক।
তিনি তার পূর্ববর্তী শাসক রাজ্যবর্ধনের মৃত্যুর পর থানেশ্বরের সিংহাসনে বসেন। তিনি শুধুমাত্র একজন শ্রেষ্ঠ শাসকই ছিলেন না সাথে সাথে তিনি ছিলেন একজন যোগ্য প্রশাসকও ৷
→ হর্ষবর্ধনের পরিচয় : হর্ষবর্ধন সম্পর্কে জানার জন্য আমরা যে সমস্থ উৎস পাই তার মধ্যে দুটি উৎস গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে তার সভাকবি বনভট্ট রচিত 'হর্ষচরিত' এবং অপরটি হচ্ছে চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এর বর্ণনায়।
হর্ষবর্ধন ছিলেন পাঞ্জাবের থানেশ্বরের পুষ্যভূতি রাজা প্রভাকরবর্ধনের পুত্র। প্রভাকরবর্ধনের দুই পুত্র হচ্ছেন রাজ্যবর্ধন ও হর্ষবর্ধন এবং একটি কন্যা হচ্ছে রাজ্যশ্রী সুতরাং রাজ্যশ্রী হচ্ছে হর্ষবর্ধনের ভগ্নী রাজ্যবর্ধন হচ্ছে হর্ষবর্ধনের বড় ভাই।
রাজ্য বর্ধনের মৃত্যুর পর হর্ষবর্ধন থানেশ্বরের পুষ্যভূতি রাজবংশের রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসেন। সিংহাসনে বসেই তিনি রাজ্যের শাসন শৃঙ্খলা সুদৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসনে তার শাসনব্যবস্থা কায়মে করেন ।
উপসংহার : পরিশেষে এ কথা বলা যায় যে, হর্ষবর্ধন ছিলেন একজন প্রজারঞ্জনক শাসক। তিনি প্রজাদের কল্যাণের নিমিত্তে তার রাজ্যে শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। ফলে দেখা যায় যে হর্ষের বিরাট সাম্রাজে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
থানেশ্বরের মতো রাজ্যে হর্যের মতো যোগ্যতম শাসক ছিল সময়ের দাবি কারণ হর্ষবর্ধন তার কূটনৈতিক মেধা দ্বারা থানেশ্বরকে সমসাময়িককালের উৎকর্ষে নিয়ে যান তাঁর শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে ।