ফাতেমীয়দের ইতিহাস আলোচনার উৎস সম্পর্কে ধারণা দও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ফাতেমীয়দের ইতিহাস আলোচনার উৎস সম্পর্কে ধারণা দও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ফাতেমীয়দের ইতিহাস আলোচনার উৎস সম্পর্কে ধারণা দও। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
ফাতেমীয়দের ইতিহাস আলোচনার উৎস সম্পর্কে ধারণা দও |
ফাতেমীয়দের ইতিহাস আলোচনার উৎস সম্পর্কে ধারণা দও
উত্তর : ভূমিকা : উত্তর আফ্রিকা ও মিশরে ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও চমকপ্রদ ঘটনা। উত্তর আফ্রিকায় ও মিশরে ফাতেমীয়গণ দীর্ঘ সময় শাসন ক্ষমতায় ছিলেন।
তাদের ইতিহাস পুনর্গঠনে তৎকালীন ইতিহাস গ্রন্থ, সাহিত্য গ্রন্থ, স্থাপত্য মুদ্রা ও পাণ্ডুলিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এসব উৎস পরীক্ষা নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে ফাতেমীয় ইতিহাস রচনা করা হয়েছে। কেননা বস্তুনিষ্ঠ উৎস ছাড়া ইতিহাস পুনর্গঠন করা যায় না ।
→ ফাতেমীয়দের ইতিহাস আলোচনার উৎস : নিয়ে ফাতেমীয়দের ইতিহাস আলোচনার উৎসসমূহ আলোচনা করা হলো।
১. ইতিহাস গ্রন্থ : ইতিহাস গ্রন্থ রচনায় ফাতেমীয়গণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কাজি নোমান ফাতেমীয়দের ইতিহাস রচনার জন্য সরকারিভাবে নিযুক্ত ছিলেন।
কাজি নোমান ফাতেমীয় খলিফা ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী, আল কাইম ও আল মনসুরের আমলের সকল ঘটনা একসাথে করে ইফতিতা আদ দাওয়া' নামক বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করেন।
এছাড়া তিনি ফাতেমীয় মতাদর্শের আইন সংকলন করে 'দাইম আল ইসলাম' গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। এসব গ্রন্থগুলো থেকে ফাতেমীয়দের ইতিহাস সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়।
২. সাহিত্য : ফাতেমীয় খলিফাগণ শিল্প সাহিত্যের উদার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। খলিফাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সেইসময় সাহিত্য বিশারদগণ বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। কাজী অর রশিদ, ইবনুজ জোবায়ের কবি ও পণ্ডিত ছিলেন।
তাদের কবিতা কাব্য ও সাহিত্যে ফাতেমীয় শাসকদের রাজত্বকাল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করা হতো। এসব সাহিত্যে ফাতেমীয় শাসকদের শাসনকাল সম্পর্কে জানা যায়।
৩. মুদ্রা : মুদ্রা ইতিহাস চর্চার একটি অন্যতম উৎস। সেই সময় মিশরে আব্বাসীয় আরবি মুদ্রার প্রচলন ছিল। আল মুইজের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক ইয়াকুব ইবনে কিরিস সর্বপ্রথম ফাতেমীয় মুদ্রা চালু করেন। আর এই মুদ্রার সাহায্যে ফাতেমীয়দের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়।
৪. পণ্ডুলিপি : ইতিহাস আলোচনার উৎস হিসেবে পাণ্ডুলিপিও বিশেষ ভূমিকা রাখে। ফাতেমীয় খলিফাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন সময়ে পত্র ও পাণ্ডুলিপি লিখনের চরম উৎকর্ষ সাধিত হয়। এ সময় অতিযত্নসহকারে পত্র ও পাণ্ডুলিপি লিখনের চর্চা করা হতো।
৫. স্থাপত্য : ইতিহাস আলোচনার উৎস হিসেবে স্থাপত্যের ভূমিকা অত্যধিক। ফাতেমীয় খিলাফতের স্থাপত্য কীর্তির মধ্যে আল আজহার মসজিদ ও আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। এসব স্থাপত্যে শিল্পের নির্মাণ কৌশল ও স্থাপত্য রীতি উপকরণ থেকে ফাতেমীয় ইতিহাস জানা যায়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ফাতেমীয় আমলে বিভিন্ন বই পুস্তক সাহিত্যে পাণ্ডুলিপি বিশ্লেষণের মাধ্যমে এবং মুদ্রা ও স্থাপত্য রীতি বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ফাতেমীয় ইতিহাস পুনর্গঠন করা সম্ভব। ফাতেমীয়দের ইতিহাস আলোচনার উৎস হিসেবে এসবের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ফাতেমীয়দের ইতিহাস আলোচনার উৎস সম্পর্কে ধারণা দও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ফাতেমীয়দের ইতিহাস আলোচনার উৎস সম্পর্কে ধারণা দও । যদি তোমাদের আজকের ফাতেমীয়দের ইতিহাস আলোচনার উৎস সম্পর্কে ধারণা দও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।