ফাতেমীয় আমলে মিশরের সামাজিক অবস্থা আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ফাতেমীয় আমলে মিশরের সামাজিক অবস্থা আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ফাতেমীয় আমলে মিশরের সামাজিক অবস্থা আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
ফাতেমীয় আমলে মিশরের সামাজিক অবস্থা আলোচনা কর |
ফাতেমীয় আমলে মিশরের সামাজিক অবস্থা আলোচনা কর
- অথবা, ফাতেমীয় আমলে মিশরের সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : ফাতেমীয় খিলাফতে মিশরের সামাজিক অবস্থা ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এ সময় অনেক শাসকের আগমন ঘটে। আর তারা সবাই ছিল যোগ্য শাসক এবং যোগ্য যোদ্ধা। তারা মিশরের সামাজিক অবস্থার উন্নতিতে অনেক অবদান রাখেন।
→ ফাতেমীয় আমলে মিশরের সামাজিক অবস্থা : নিম্নে ফাতেমীয় - আমলে মিশরের সামাজিক অবস্থা আলোচনা করা হলো :
১. ধর্মনিরপেক্ষ সমাজব্যবস্থা : ফাতেমীয় শাসনামলে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজব্যবস্থা চালু ছিল। এখানে যে যার ইচ্ছামত ধর্ম পালন করতো। এমন কি এ সময় সমাজে আন্ত:সাম্প্রদায়িক বিবাহ প্রচলিত ছিল।
২. খলিফা ও রাজপ্রাসাদ : ফাতেমীয় খলিফাগণ খুবই জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপন করতেন। রাজকীয় পরিবারের সদস্য ও সভাসদগণ জাঁকজমকের দিক দিয়ে খলিফাকে অনুসরণ করতেন।
৩. সামাজিক আনন্দ উৎসব : ফাতেমীয় শাসনামলে আনন্দ উৎসব করা হতো শিয়ার রাজনীতির আলোকে। এ সময় আনন্দ উৎসবের জন্য বিশেষ কিছু দিন ধার্য ছিল। যেমন দুই ঈদ, শুক্রবার, ১০ মহররম, ১ রজব, নীলনদের বন্যা উৎসব, নওরোজ প্রভৃতি উৎসব উদ্দীপনার সাথে পালন করা হতো।
৪. নারীর সামাজিক স্থান': ফাতেমীয় শাসনামলে নারীদের সম্মান করা হতো। নারীরা শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অংশগ্রহণ করতেন। নারীদের জন্য শহরের প্রত্যেক অংশে সুন্দর সুন্দর গোসলখানা এবং বিশ হাজার দোকান বিশিষ্ট বাজার ছিল।
৫. হেরেম প্রথা : ফাতেমীয় খলিফাগণ তাদের আনন্দ ও মনোরঞ্জনের জন্য হেরেম প্রথা চালু করেছিল। এতে অসংখ্য সুন্দরী রমনী ও ভৃত্য অবস্থান করতো। বহুমুখী প্রতিভা ও দক্ষতা থাকা স্বত্ত্বেও নিজেদের গাফিলতির কারণে ফাতেমীয়দের পতন ঘটে ।
৬. দাস-দাসীর সামাজিক অবস্থা : ফাতেমীয় শাসনামলে খলিফা, উজির ও ধনীরা দাস-দাসী রাখতেন। দাস-দাসীদের কাজ ছিল প্রভুর জন্য কাঠ, পানি ও অর্থ সংগ্রহ করা। এছাড়া দাসিরা কখনো কখনো উপপত্নির কাজ করতেন ।
৭. খলিফা আল হাকিমের বিতর্কিত সামাজিক অবস্থান : ফাতেমীয় খলিফাদের মধ্যে আল হাকিম ছিলেন বিতর্কিত । তিনি সমাজে কিছু বিতর্কিত প্রথা চালু করেছিল।
যেমন— বোরখা ছাড়া কোন নারী ঘরের বাইরে যেতে পারবে না, সূর্যাস্তের পর মহিলাদের ঘরের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। কুকুর ও শুকর পালন নিষিদ্ধ করা হয়। রাজপ্রাসাদের সামনে খালিপায়ে হাঁটার হুকুম জারি হয় । ইত্যাদি, ইত্যাদি।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ফাতেমীয় খিলাফতে মহামারি ও দুর্ভিক্ষ থাকা সত্ত্বেও সামাজিক উন্নতি ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছিলো। সর্বোপরি, ফাতেমীয় শাসনামলে বিভিন্নমুখী সংস্কারের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বিরাজ করছিলো।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ফাতেমীয় আমলে মিশরের সামাজিক অবস্থা আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ফাতেমীয় আমলে মিশরের সামাজিক অবস্থা আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের ফাতেমীয় আমলে মিশরের সামাজিক অবস্থা আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।