ধ্রুপদী সাহিত্য কি । ধ্রুপদী সাহিত্য কাকে বলে
ধ্রুপদী সাহিত্য কি । ধ্রুপদী সাহিত্য কাকে বলে |
ধ্রুপদী সাহিত্য কি । ধ্রুপদী সাহিত্য কাকে বলে
- অথবা, প্রাচীন বাংলার ধ্রুপদী সাহিত্য বলতে কী বুঝ?
উত্তর : ভূমিকা : যুগ যুগ ধরে বহু পণ্ডিত, রচনাকার, কবি- সাহিত্যিক প্রমুখ বাংলায় আগমন করে বাংলার ইতিহাসকে অত্যন্ত আলোকিত করেছে।
তাদের রচিত অনেক মূল্যবান সাহিত্য প্রাচীন বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এসব সাহিত্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ধ্রুপদী সাহিত্য।
নিচে ধ্রুপদী সাহিত্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
ধ্রুপদী সাহিত্য : প্রাচীন হিন্দুধর্ম গ্রন্থ মহাভারত ও রামায়ণ দু'টি উল্লেখযোগ্য মহাকাব্য। এ গ্রন্থদ্বয় ভারতীয়দের সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক চিন্তাধারা সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য প্রদান করে।
আর এ দু'টি মহাকাব্যকে ধ্রুপদী সাহিত্য হিসেবে অভিহিত করা হয়। ধ্রুপদী সাহিত্যে সূর্য ও চন্দ্র রাজবংশের বিবরণ ছাড়াও উক্ত রাজবংশের রাজাদের নামসহ আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও এটিতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ পর্যন্ত উল্লেখিত আছে।- এ সাহিত্যে ব্যাকরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া ছন্দ বিদ্যাসহ আরো অনেক বিষয়ের আলোচনা এ গ্রন্থে রয়েছে।
বিশ্ব পর্যটক আল বেরুনী এ সাহিত্যের কিছু গ্রন্থের নাম উল্লেখ করেন যেগুলো হলো- ঐন্দ্রগ্রস্ত, চান্দ্র, সাকাত, পাণিনির গ্রন্থ, কাতান্তর শশীদের কৃত্তি, দুর্গবৃত্তি, শিষ্যহিত বৃত্তি প্রভৃতি। তিনি আরো বলেন যে, ব্যাকরণের পরই ছন্দের স্থান। ধ্রুপদী সাহিত্য অনেক পুরাণ লেখা আছে।
উসংহার : পরিশেষে বলতে পারি যে, ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে লিখিত উপাদান হিসেবে যে সকল সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাদের মধ্যে ধ্রুপদী সাহিত্য অন্যতম। ধ্রুপদী সাহিত্য প্রাচীন বাংলার এক অপূর্ব সম্পদ। তাই বাংলার ইতিহাসে এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া, অনেক দরকার ছিল এটা❤️