দারাজি কারা । দারাজি মতবাদ কি আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দারাজি করা । দারাজি মতবাদ কি আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দারাজি করা । দারাজি মতবাদ কি আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
দারাজি কারা । দারাজি মতবাদ কি আলোচনা কর |
দারাজি কারা । দারাজি মতবাদ কি আলোচনা কর
- অথবা, দারাজি মতবাদের আলোচনা পরিচয় দাও।
উত্তর : ভূমিকা : ফাতেমীয় খলিফাদের অন্যতম খলিফা হলো আল হাকিম। তিনি ৯৯৬-১০২১ খ্রি: পর্যন্ত খলিফার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইতিহাসে এক রহস্যময় উগ্র ও ভ্রান্ত মতবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ইতিহাসে পরিচিতি পান।
→ দারাজিদের পরিচয় : লেবাননের পার্বত্য এলাকায় ইসমাইলীয় সম্প্রদায়ের একটি অংশ অদ্ভূত বিশ্বাসে পৃষ্ঠপোষক হয়ে নিজেদের সুসংগঠিত করেন।
হাসান আল আখরাম নামক একজন পারসিয়ান মিশরে আগমন করে খলিফা আল হাকিমকে আল্লাহর গুণাবলিতে ভূষিত করেন এবং খলিফার মধ্যে ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে, এটা প্রচার করতে শুরু করে।
উক্ত ব্যক্তিটি ছিল শিয়া মতবাদের উগ্রপন্থি দলের সদস্য। সে মুসলিম ধর্ম বিশ্বাস ও আচরণের যাবতীয় পদ্ধতিকে অস্বীকার করে।
একদা উক্ত হাসান আল আখরাম পঞ্চাশ জন সদস্যর একটি ভক্তের দল নিয়ে যুক্ত াতের জামে মসজিদে উপস্থিত হয়।
সেখানে তখন কাজি বিচারকার্যে রত ছিলেন। হাসান আল আখরাম কাজিকে একটি প্রশ্নের শুরুতে “বিসমি হাকিম ক্ষার রহমানির রাহীম।
যার অর্থ-মহান খলিফা আল হাকিম দাতা ও দয়ালুর নামে আরম্ভ করছি।' একথা শুনে কাজিসহ উপস্থিত সকলে ভীষণ রাগন্বিত হন।
এবং উত্তেজিত জনতা ঐদলের কয়েকজনকে হত্যা করে কিন্তু আখরাম পালিয়ে যেত সক্ষম হন। এই দলের লোকেরা খলিফা আল হাকিমকে বিভিন্ন অবতার বা দেবতার সঙ্গে তুলনা করে তার আরাধনায় লিপ্ত থাকে ।
কিছু দিন পর এই আখরামকে এক ব্যক্তি হত্যা করে এবং আখরামের ভক্তরাও উক্ত ব্যক্তিকে হত্যা করে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।
তবে সুন্নিরা হাসান আল আখরামকে হত্যাকারী ব্যক্তিকে অত্যন্ত মর্যাদাবান ও সুকর্মের আধিকারী বলে অভিহিত করেন।
অতঃপর পারস্যের জাওজান থেকে আগত হামজা বিন আলী বিন আহমদ হাদী এ দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন। দারাজিগণ হামজাকে তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা মনে করেন।
খলিফা আল হাকিমের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করে হামজা তার দলীয় মতবাদ প্রচার করতে থাকে। হামজা দ্বারা খলিফা প্রভাবিত হতে থাকে এবং নিজেকে আধ্যাত্মিকভাবে আলোকিত ও ঐশ্বরিক শক্তিমানরূপে ভাবতে থাকেন।
খলিফা সালাত, সিয়াম পরিত্যাগসহ লোকজনকে হজব্রত পালনে নিষেধ করেন। কাবা শরীফের গিলাফ প্রেরণ বন্ধ করে দেন।
আর খলিফা রাস্তায় বের হলে দারাজিরা মাটিতে সিজদা করে তাকে সম্মান প্রদর্শন করতো এবং উচ্চারণ করতো তুমি জন্ম ও মৃত্যু দাতা ।
এছাড়াও ইসলামের কোন বিধান খলিফার নিকট পালনীয় বলে মনে হতো না । বর্তমান দারাজিরা দ্রুজ নামে পরিচিত।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, দারাজি মতবাদকে কেন্দ্র করে খলিফা আল হাকিম বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে যায়; এছাড়াও তিনি ধর্মের মৌলিক পাথকের কথা ভুলে যান।
যার ফলে সমগ্র রাজ্য নানারূপ বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এভাবে দারাজিরা খলিফাকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে। সর্বোপরি উত্তর আফ্রিকা, সিরিয়া ও মিশরসহ সমগ্র অঞ্চলে এক অদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ দারাজি করা । দারাজি মতবাদ কি আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দারাজি করা । দারাজি মতবাদ কি আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের দারাজি করা । দারাজি মতবাদ কি আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।