দাগ ও হুলিয়া কি । দাগ ও হুলিয়া কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দাগ ও হুলিয়া কি । দাগ ও হুলিয়া কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দাগ ও হুলিয়া কি । দাগ ও হুলিয়া কাকে বলে । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
দাগ ও হুলিয়া কি । দাগ ও হুলিয়া কাকে বলে |
দাগ ও হুলিয়া কি । দাগ ও হুলিয়া কাকে বলে
উত্তর : ভূমিকা : মুঘল শাসকরা সবাই ছিল তুর্কি। তাই তারা জাতিতে ছিল যুদ্ধবাজ । তারা তাদের শাসনামলের বেশির ভাগ সময় যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত থাকতো।
বিশেষত সাম্রাজ্য বিস্তার, শত্রুর আক্রমণ মোকাবিলা এবং বিদ্রোহ দমনে তারা ব্যস্ত থাকতো। কিন্তু এতো কিছুর পরও সাম্রাজ্যের উন্নতি বিধান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে তারা ছিল খুবই তৎপর।
তাই তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নিয়মনীতির প্রবর্তন করেন । যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সুষ্ঠুভাবে সাম্রাজ্য পরিচালনা ।
→ দাগ ও হুলিয়া : দাগ ও হুলিয়া মুঘল সেনাবাহিনীতে প্রবর্তিত দুটি নিয়মনীতি। সম্রাট আকবর মূলত সেনাবাহিনীতে দুর্নীতি দূর করার জন্য এই দাগ ও হুলিয়ার প্রবর্তন করেন ।
যখন সেনাবাহিনীতে মনসবদার প্রথা প্রবর্তন করা হয় এবং পদমর্যাদার ভিত্তিতে মনসবদারদের বেতন নির্ধারণ করা হয় তখন মনসবদাররা দুর্নীতি শুরু করেন।
তারা তাদের জাঠ বা পদমর্যাদা অনুযায়ী যত সংখ্যক সৈন্য, অশ্ব ও হস্তী প্রস্তুত রাখার বিধান ছিল তা রাখতেন না। কারণ বেশি লাভের আশায় তারা এটা করতেন।
আর এই দুর্নীতি রোধ করার জন্য সম্রাট আকবর সেনাবাহিনীর তদারকির জন্য মীরবকশ পদ সৃষ্টি করেন ।
দাগ ও হুলিয়া পদ্ধতিতে সম্রাটের আদেশ অনুযায়ী ঘোড়ার গায়ে ক্রমিক নম্বরের ছাপ পুড়িয়ে দেয়া হতো এবং সেনাদের দৈনিক বিবরণ লিখে রাখা হতো।
এগুলোকেই দাগ ও হুলিয়া বলা হতো। এতো কিছুর পরও উচ্চ পদমর্যাদার জাঠ বা মনসব থাকলেও তারা তাদের পদমর্যাদার পরিপূরক সেনাবাহিনী রাখতেন না।
মনসব বা জাঠ পদমর্যাদা ছিল আভিজাত্যের। তবে এতে মনসবরা তাদের অধীনস্ত সেনার প্রকৃত সংখ্যা কখনোই প্রকাশ করতো না। ফলে সেনার প্রকৃত সংখ্যা জানাও যেত না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সেনাবাহিনীর সঠিক পরিচর্যা ও মনসবদারদের দুর্নীতি দূর করার জন্য সেনাবাহিনীতে দাগ ও হুলিয়া বিধান চালু করা হয়।
আর এ দাগ ও হুলিয়ার মাধ্যমে মূলত মনসবদারদের নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এতো কিছুর পরও মনসবদাররা সেনার প্রকৃত সংখ্যা গোপন করতো ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ দাগ ও হুলিয়া কি । দাগ ও হুলিয়া কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দাগ ও হুলিয়া কি । দাগ ও হুলিয়া কাকে বলে। যদি তোমাদের আজকের দাগ ও হুলিয়া কি । দাগ ও হুলিয়া কাকে বলে পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।