ছাপাঙ্কিত মুদ্রা কী । ছাপাঙ্কিত মুদ্ৰা কাকে বলে
ছাপাঙ্কিত মুদ্রা কী । ছাপাঙ্কিত মুদ্ৰা কাকে বলে |
ছাপাঙ্কিত মুদ্রা কী । ছাপাঙ্কিত মুদ্ৰা কাকে বলে
- অথবা, ছাপাঙ্কিত মুদ্রা বলতে কী বুঝ ?
উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীন বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে অলিখিত উৎস বা উপাদান হিসেবে মুদ্রা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মুদ্রার মধ্যে আবার প্রকারভেদ আছে। যেগুলোর মধ্যে ছাপাঙ্কিত মুদ্রা অন্যতম ৷
ছাপাঙ্কিত মুদ্রা একটি বিশেষ ধরনের মুদ্রা। এটির মাধ্যমে আমরা প্রাচীনকালের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার বহু চিত্রের প্রমাণ পাই।
নিচে ছাপাঙ্কিত মুদ্রা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
→ ছাপাঙ্কিত মুদ্রা : ইতিহাস রচনার উৎস বা উপাদানকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেগুলো হলো লিখিত উপাদান ও অলিখিত উপাদান।
অলিখিত উপাদানের মধ্যে মুদ্রা অন্যতম একটি উপাদান, আবার মুদ্রার মধ্যে ছাপাঙ্কিত মুদ্রা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ছাপাঙ্কিত মুদ্রার বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যেগুলো দ্বারা আমরা খুব সহজে ছাপাঙ্কিত মুদ্রা চিনতে পারি। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : এ মুদ্রাগুলোর উভয় পাশে বা যেকোনো এক দিকে গাছ, লতাপাতা, অস্ত্র, মাছ, ত্রিমূল, ফলমূল ও মানুষের ছবি অঙ্কিত থাকত।
এ. মুদ্রাগুলো পাওয়া গেছে যথাক্রমে বগুড়ার মহাস্থানগড়ে, বানগড় ও ওয়ারী-বটেশ্বর প্রভৃতি জায়গায়। ধারণা করা হয় যে, এ মুদ্রাগুলো দ্বারা বাণিজ্যকার্য পরিচালনা করা হতো।
কেননা যেখানে এসব মুদ্রা পাওয়া গেছে সেখানে বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। ছাপাঙ্কিত মুদ্রার প্রচলন শুরু হয় মৌর্যযুগ থেকে।
ছাপাঙ্কিত মুদ্রা তৎকালীন সমাজ ও অর্থনীতির বাহন বলে মনে করা হয়। কোনো কোনো মুদ্রায় একের অধিক অঙ্কিত থাকত এবং কোন মুদ্রায় ৩-৫টি "Punch mark" থাকত ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রাচীনকালের মুদ্রাগুলোর মধ্যে ছাপাঙ্কিত মুদ্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, পালন করে। এ মুদ্রার সাহায্যে বর্তমানে আমরা প্রাচীন বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে অনেক ধারণা লাভ করতে পারি ।