ভারতবর্ষের সৃষ্টিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভূমিকা বর্ণনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ভারতবর্ষের সৃষ্টিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভূমিকা বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ভারতবর্ষের সৃষ্টিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভূমিকা বর্ণনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
ভারতবর্ষের সৃষ্টিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভূমিকা বর্ণনা কর |
ভারতবর্ষের সৃষ্টিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভূমিকা বর্ণনা কর
- অথবা, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামল ভারতের সৃষ্টিতে কী প্রভাব ফেলেছিল?
উত্তর : ভূমিকা : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষে আগমন করে। কিন্তু কালক্রমে তারা ভারতের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করে বাংলায় তথা ভারতবর্ষে ইংরেজদের শাসনের সূচনা হয়। তারপর তারা দেওয়ানি লাভ করে।
বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসলেও রাজ্য জয়ের পর তারা রাজ্য শাসনের সুবিধার্থে এখানে সমাজে ব্যাপক পরিবর্তন আনয়ন করেন । যা পরবর্তীতে ভারত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে ।
→ ভারত সৃষ্টিতে কোম্পানির ভূমিকা : নিম্নে ভারতবর্ষ সৃষ্টিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভূমিকাসমূহ বর্ণনা করা হলো :
১. সমাজ সচেতনতা সৃষ্টি : ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসন ক্ষমতা দখলের পর শাসনের সুবিধার্থে তারা বাংলা তথা ভারতবর্ষের সমাজ সচেতনতায় বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজ করে।
যা ঐ সময়ের অশিক্ষিত ও পশ্চাৎপদ ভারতীয় সমাজে সচেতনতার সৃষ্টি করে। আর এই সচেতনতায় ভারতের মানুষের মধ্যে আত্মবোধ জাগ্রত করে।
২. শিক্ষার প্রসার : ইংরেজরা ক্ষমতা দখলের পর শিক্ষাদীক্ষার প্রসারে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য এবং সর্বোপরি শিক্ষা বিস্তারে অনেক অর্থ ব্যয় করেন।
অবশ্য এতে তাদের নিজেদের স্বার্থ জড়িত ছিল। তবে ভারতীয়দের সচেতন করতে শিক্ষায় ভূমিকা ছিল অপরিসীম ।
৩. রাজনীতি বোধ জাগ্রত করা : ব্রিটিশ শাসন ভারতীয়দের মধ্যে অন্যান্য দিকের মতো রাজনীতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন আনে।
ব্রিটিশ শাসনে তাদের অনুকরণে ভারতবাসী রাজনীতি সচেতন হয়ে উঠে। রাজনীতিতে ভারতীয়দের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে। যা পরে ভারতবর্ষ সৃষ্টিতে অবদান রাখে।
৪. জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি : ব্রিটিশ শাসনে ভারতীয়রা জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। আর এ কারণেই তারা ব্রিটিশদের শোষণ হতে মুক্ত হওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করে।
ব্রিটিশ বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন ভারতে পরিচালিত হয়। যেমন- স্বরাজ আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন, সিপাহী বিদ্রোহ, ফকির বিদ্রোহ, তিতুমীরের আন্দোলন, ব্রিটিশ বিরোধী ভারত ছাড় আন্দোলন ইত্যাদি।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশ শাসনাধীনে ভারতবর্ষের মানুষ যেমন একদিকে শোষিত হয়, তেমনি সমাজ সচেতনতা, কুসংস্কার দূরীকরণ, শিক্ষার প্রসার এবং জাতীয়তাবাদী চেতনায় উন্নত হয়ে উঠে।
মানুষ সচেতন হওয়ার কারণে তারা ব্রিটিশদের শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে থাকে ফলে ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পারে ভারতে আর রাজ্য শাসন করা সম্ভব নয়। ফলে ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ সরকার পার্লামেন্টে ভারত স্বাধীনতা আইন পাস করে। এভাবে ভারত সৃষ্টি হয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ভারতবর্ষের সৃষ্টিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভূমিকা বর্ণনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ভারতবর্ষের সৃষ্টিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভূমিকা বর্ণনা কর । যদি তোমাদের আজকের ভারতবর্ষের সৃষ্টিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভূমিকা বর্ণনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।