আল মুইজের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কিরূপ ছিল
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আল মুইজের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কিরূপ ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আল মুইজের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কিরূপ ছিল । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
আল মুইজের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কিরূপ ছিল |
আল মুইজের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কিরূপ ছিল
- অথবা, আল মুইজের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : আল-মুইজ ফাতেমীয় খিলাফতের ৪র্থ খলিফা হিসেবে ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। ফাতেমীয় শাসকদের মধ্যে তিনি অন্যতম ছিলেন। শিক্ষা-সংস্কৃতির বিকাশ সাধনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন ।
→ আল-মুইজের পরিচয় : আল-মুইজ ২৬ সেপ্টেম্বর ৯৩১ সালে মাহদীযায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ছোটবেলা কেটেছে সম্পূর্ণ যুদ্ধ-বিগ্রহময় পরিবেশে। তিনি নিজেও সৈনিক ছিলেন। ৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে খলিফা হন এবং ৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন ।
→ আল-মুইজের সাংস্কৃতিক তৎপরতা : ফাতেমীয় খিলাফতের সময়ে বেশ কিছু শহর নির্মিত হয় এবং আল মুইজ বেশ কিছু বড় প্রাসাদ নির্মাণ করেন। এগুলোর মধ্যে The place of the sea, Great Fastern palace অন্যতম।
মুইজ ছিলেন একজন জ্ঞানী ও বহুভাষাবিদ । তিনি মনসুরিয়া ও কায়রোতে বৃহৎ গ্রন্থাকার নির্মাণ করেন। মুইজের কনিষ্ঠ পুত্র তামিম ছিলেন একজন বিখ্যাত কবি।
মুইজের সময়ে কায়রো উৎসবের নগরী হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতি শুক্রবার এই নগরীতে উৎসব হতো।
দুই ঈদের দিন, মহরমের দশ তারিখ শিয়া উৎসব ও নীলনদের বন্যার সময়ে এবং বসন্তকালীন উৎসব নওরোজ, মহাসমারোহে পালিত হতো।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, খলিফা আল-মুইজ একান্ত সংস্কৃতিমনা শাসক ছিলেন। তার সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই কায়রো উৎসবের নগরী হিসেবে পরিচিত পেয়েছিল। আর তাই আল মুইজ সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যে অবদান রেখে গেছে তা ভোলার নয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আল মুইজের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কিরূপ ছিল
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আল মুইজের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কিরূপ ছিল । যদি তোমাদের আজকের আল মুইজের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কিরূপ ছিল পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।