আল মুইজের মিশর বিজয়ের ফলাফল আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আল মুইজের মিশর বিজয়ের ফলাফল আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আল মুইজের মিশর বিজয়ের ফলাফল আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
আল মুইজের মিশর বিজয়ের ফলাফল আলোচনা কর |
আল মুইজের মিশর বিজয়ের ফলাফল আলোচনা কর
- অথবা, আল মুইজের মিশর বিজয়ের ফলাফল লিখ।
- অথবা, আল মুইজের মিশর অভিযান তুলে ধর।
- অথবা, আল মুইজের মিশর অভিযান সম্পর্কে বর্ণনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : আল মুইজ ছিলেন ফাতেমীয় খিলাফতের চতুর্থ খলিফা। তিনি ফাতেমীয় খিলাফতের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন।
তিনি ভূমি ও রাজস্ব সংস্কারে মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা করেন । তিনি ছিলেন জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। তার মিশর অভিযানের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।
→ মিশর অভিযান : মিশর অভিযান আল মুইজের শাসনমলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তিনি মিশর অভিযানে জওহর আল সিকিল্লিকে সেনাপতি নিযুক্ত করেন।
সেনাপতি জওহর আল সিকিল্লি অভিযান পরিচালনা করে মিশরকে পরাজিত করে। ইখশিদিয়া শাসকরা মিশরীয়দের উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মিশরীয়রা আল মুইজের কাছে সাহায্য কামনা করে।
ফলে আল মুইজ মিশর আক্রমণের জন্য সেনাপতি জওহরের নেতৃত্বে এক বিশাল বাহিনী প্রেরণ করেন। সেনাপতি জওহর অত্যন্ত কঠোর হস্তে মিশর হস্তগত করে।
জওহর সেখানে একটি নতুন নগরী নির্মাণ করেন, যার নামকরণ করা হয় আল কাহিরা নামে। পরবর্তীতে এটি কায়রোর নামে পরিচিতি লাভ করে, যা বর্তমানে মিশরের রাজধানী। এছাড়াও সেনাপতি জওহর সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন সেখানে যার নাম দেন আল আজহার।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, মিশরে অভিযান ও জয় লাভ করা আল মুইজের কৃতিত্ব। আল মুইজ মিশরের মুসলমাদের সাহায্য করার জন্য সেনাপতি জওহর আল সিকিল্লি নেতৃত্বে এক বিশাল বাহিনী প্রেরণ করে মিশর হস্তগত করেন। মিশর অভিযানের মাধ্যমে আল মুইজ তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেন ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আল মুইজের মিশর বিজয়ের ফলাফল আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আল মুইজের মিশর বিজয়ের ফলাফল আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের আল মুইজের মিশর বিজয়ের ফলাফল আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।