আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা জান লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা জান লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা জান লিখ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা জান লিখ |
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা জান লিখ
- অথবা, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটি টীকা লিখ ৷
উত্তর : ভূমিকা : ইসলামী স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম নিদর্শন মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ফাতেমীয় খলিফা আল মুইজের সেনাপতি আবুল হাসান জওহর বিন আব্দুল্লাহ সিকিল্লি নির্মিত একটি মসজিদ।
ধীরে ধীরে মসজিদটি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠে। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে জাতীয়করণের মাধ্যমে এটি স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হয় ।
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় : আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-
নামকরণ ও নির্মাণ : ফাতেমাকে আল জহরা (অর্থাৎ ভাস্কর) বলা হতো। আর আল জহরার সম্মানার্থে তার নামে মিশরের কায়রো নগরীতে একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। যার নামকরণ করা হয় আল আজহার মসজিদ ।
ফাতেমীয় খলিফা আল মুইজের সেনাপতি জওহর আল সিকিল্লি ৯৭০ খ্রিস্টাব্দে এ মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন এবং এর নির্মাণ শেষ হয় ৯৭২ খ্রিস্টাব্দে। পরবর্তীতে ফাতেমীয় খলিফা আল আজিজ ৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে এ মসজিদটিকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর করেন।
পাঠদান : ফাতেমীয় খলিফা আল আজিজের মন্ত্রী আবু ফারাগের পরামর্শে এই মসজিদে ৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ক্লাস শুরু হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কুরআন এবং বিস্তারিতভাবে ইসলামী আইন শিক্ষা গ্রহণ করেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের অন্যান্য বিষয়াবলী হচ্ছে যুক্তিবিদ্যা, ব্যকরণ, অলঙ্কারশাস্ত্রসহ আধুনিক বিষয়াবলীসমূহ। এ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে এ বিশ্ববিদ্যালয় আরবী সাহিত্য এবং ইসলামিক স্টাডিজ শিক্ষার বিশ্বের প্রধান কেন্দ্র। বর্তমানেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান অব্যাহত রয়েছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, ফাতেমীয় শাসনের পতনের ফলে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু মুসলিম বিশ্বের পূর্বাঞ্চলে মোঙ্গলীয়দের হামলা এবং স্পেনের মুসলমানদের শক্তি হ্রাস পাবার ফলে এসব এলাকা থেকে শিক্ষানুরাগীরা আবার আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে থাকে যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় আবার প্রাণ ফিরে পায়। সর্বোপরি, বর্তমান জ্ঞান বিতরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অপরিসীম ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা জান লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা জান লিখ। যদি তোমাদের আজকের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা জান লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।