১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি ও ফলাফল নির্ণয় কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি ও ফলাফল নির্ণয় কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি ও ফলাফল নির্ণয় কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি ও ফলাফল নির্ণয় কর |
১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি ও ফলাফল নির্ণয় কর
- অথবা, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি উল্লেখপূর্বক এর লাভের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
- অথবা, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভ লিখ। দেওয়ানি লাভের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভূমিকা : ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা দীজেন্দ্র লাল রায়। বাংলার ধনসম্পদ যুগ যুগ ধরে সমগ্র পৃথিবীকে আকর্ষিত করেছে। এদেশের ধন, ঐশ্বর্য, বিদেশি পর্যটক ও বণিকদের নিকট ছিল আকাঙ্ক্ষিত।
এরই ধারাবাহিকতায় ইংরেজরাও অন্যান্য দেশের বণিকদের ন্যায় বাংলায় আসে ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে। ব্যবসা-বাণিজ্যে তারা প্রভূত উন্নতি লাভ করে এদেশে শাসন প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
প্রথমে ১৭৫৭ সালে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করে ক্ষমতা দখলের ভিত্তি স্থাপন করে। পরবর্তীতে বক্সার যুদ্ধের পর ১৫৬৫ সালে তারা বাংলা বিহারে দেওয়ানি লাভ করে।
→ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি : কোনো জাতিরই সাফল্য রাতারাতি প্রতিষ্ঠিত হয় না; বরং এর পিছনে থাকে প্রত্যাশা, শ্রম, ভীতি এমনকি জীবনেরও অনিশ্চয়তা। আর এসব ধাপ অতিক্রম করেই ১৭৬৫ সালে ইংরেজরা দেওয়ানি লাভ করে।
নিয়ে ইস ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি তুলে ধরা হলো :
১. পর্তুগিজদের বাধা : ইংরেজরা এদেশে এসেই স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে সক্ষম হয়নি; বরং তাদের অনেক চড়াই- উৎরাই অতিক্রম করতে হয়েছিল।
প্রথম দিকে তারা পর্তুগিজ ব্যবসায়ী কর্তৃক বাধাগ্রস্ত হয় এবং তাদের এর এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অবশেষে ইংরেজরা পর্তুগিজদের সাথে জরী হয় এবং তাদের বাণিজ্য নীতিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
২. ইংরেজদের মুঘল আমলে বাংলায় আগমন : ইংরেজরা প্রথমদিকে যখন এদেশে আসে তখন এদেশে মুঘল শাসন চলছিল। রানি এলিজাবেথের অনুমতিক্রমে তারা এদেশে ব্যবসা- বাণিজ্য শুরু করে।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি হরিহরপুরে কুঠি স্থাপন করে। পরে হুগলি, কাশিম বাজার, পাটনা প্রভৃতি স্থানে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে। তারা এদেশে নানামুখী সুবিধা লাভ করে।
তৎকালীন সময়ে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন শাহ সুজা। উদারমনা সুবাদারের নিকট তারা মাত্র ৩,০০০ টাকা বাৎসরিক রাজস্বের মাধ্যমে ১৬৫১ সালে অবাধে বাণিজ্য করার অধিকার লাভ করে।
পরবর্তীতে সম্রাট আওরঙ্গজেব আরও এক ধাপ এগিয়ে তাদেরকে বিনা শুল্কে ব্যবসা-বাণিজ্য করার অনুমতি প্রদান করে।
পরবর্তীতে সম্রাট পণ্য দ্রব্যের উপর শতকরা দু'টাকা এবং জিজিয়া কর হিসেবে দেড় টাকা নির্ধারণ করে তাদের সর্বত্র ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ প্রদান করেন।
৩. মুঘলদের সাথে সংঘর্ষ : মুঘল সম্রাট তাদেরকে সরলমনে অনুমতি দিলেও তারা এ সুযোগকে অন্যায়ভাবে কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে উঠে। ফলে মুঘল সাম্রাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে গোলযোগ দেখা দেয়।
১৬৮৬ সালে তারা হুগলি আক্রমণ করে। ফলে নবাব শায়েস্তা খান তার আওতাভুক্ত সমস্ত ইংরেজ বাণিজ্য কুঠি দখল করে নেন এবং তাদের হুগলি থেকে বিতাড়িত করেন।
পরবর্তীতে কূটনৈতিক বুদ্ধিতে পরিপক্ক জব চার্নক নামক ইংরেজ কর্মচারী সম্রাটের অনুমতিক্রমে সুতানটি ফিরে আসেন।
অতঃপর উইলিয়াম হিল নামক এক নৌ কমান্ডার ইংল্যান্ড থেকে ভারত এসে চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণ করলে মুঘল সম্রাট পূর্ণ শক্তিতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তাদেরকে পরাজিত করেন।
ফলে আবার ইংরেজদের ব্যবসা হুমকির মুখে পড়ে। পরবর্তীতে বোম্বাইয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেবের সাথে ইংরেজদের একটি চুক্তির মাধ্যমে আবার তারা ব্যবসা করার অনুমতি লাতে সমর্থ হয়।
৪. বাংলায় আধিপত্য সৃষ্টি : ইংরেজরা সমগ্র বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্যে একক আধিপত্য অর্জনে সক্ষম হয়। তারা ১৬৯৬ সালে তাদের নব নির্মিত সুভানটি কুঠির সুরক্ষিত রাখার অধিকার লাভ করে।
পরবর্তীতে তারা ১২০০ টাকা খাজনা প্রদান করার শর্তে ইংরেজরা ১৬৬৮ সালে কলকাতায় সুতানটি ও গোবিন্দপুরে তাদের আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হয়। যা সমগ্র বাংলা শাসনের পূর্বলগ্ন বলে মনে করা হয়।
৫. দুর্গ নির্মাণ : ইংরেজরা দিন দিন বাংলার মাটিতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। তারা নিজ স্বার্থে ১৭০০ সালে কলকাতা শহরে সুপরিকল্পিতভাবে তৎকালীন রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামানুসারে একটি দুর্গ নির্মাণ করে। পরে নামকরণ করে ফোর্ট উইলিয়াম।
৬. মুগল সম্রাট ফররুপ শিরারের অনুমোদন : মুঘল সাম্রাে পারিবারিক কলহ ছিল একটি নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা। বাহাদুর শাহের পৌত্র ফররুখশিয়ার ১৭১৩ সালে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।
জন সারমান ১৭১৪ সালে তার নিকট বাণিজ্যিক কারণে সুপারিশ করে এবং বাংলা, মাদ্রাজ ও বোম্বাইয়ে কিনা অঙ্কে ব্যবসা করার সুযোগ লাভ করে।
এভাবে ইংরেজরা একচেটিয়া- ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে যায় এবং ঐতিহাসিক এম এ ফরমানকে কোম্পানির মহাসনদ বলে বর্ণনা দিয়েছেন। এমনকি মুর্শিদাবাদ টাকশালে কোম্পানি তার নিজস্ব টাকা তৈরি করার অনুমতি পায়।
৭. আলীবর্দী খানের নীতি : নবাব আলীবর্দী খান ছিলেন উদারমনা একজন সম্রাট। তিনি রাজসভায় হিন্দুদের প্রাধান্য দিতেন। ঐতিহাসিক রবার্ট ওর্ম বলেছেন, নবাব আলীবর্দী খান রাজকার্যে ও ব্যবসার ক্ষেত্রে হিন্দুদের প্রাধান্য দিয়েছিলেন। এর ফলে শাসনকার্যে হিন্দুদের প্রভাব প্রতিপত্তি সৃষ্টি হয়।
৮. মুর্শিদকুলী খানের রীতি : মুর্শিদকুলী খানের আমলে বাংলায় ইংরেজরা তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তার আমলে | ইংরেজনের শুল্ক আদায় করে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হতো এবং তিনি শুল্ক আদায়ে হিন্দুদের বেশি বিশ্বস্ত মনে করতেন।
৯. পলাশির যুদ্ধ : রাজপরিবারের ষড়যন্ত্র স্বপ্নকাল হয়ে দাঁড়ায় বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার জন্য। এমনকি নবাবের খালা ঘষেটি বেগম এবং শওকত জঙ্গ নবাবকে সিংহাসনচ্যুতি করার ফন্দি আটে।
এ সময় ইংরেজরা নবাবকে তোয়াক্কা না করে কোনো কোনো স্থানে দুর্গ নির্মাণ শুরু করে এবং এসব ঘটনা দেখে নবাব বুঝলেন সোজা কথায় কাজ হবে না তখন তিনি কাশিম বাজার বাণিজ্য কুঠি আক্রমণ করে দখল করে নেন।
এর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ কোম্পানি কলকাতা দখল করে নেয়। নবাব তখন বাধ্য হয়ে তাদের সাথে সন্ধি করার প্রস্তাব দেয়। তখন ভিতরে ভিতরে চক্রান্ত করে ইংরেজরা নবাবকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য অমাত্যবর্গকে উসকানি দেয়।
যার ফল স্বরূপ ১৭৫৭ সালে এক ষড়যন্ত্রমূলক যুদ্ধে নবাব ইংরেজদের নিকট পরাজিত হয়। ফলে বাংলায় ইংরেজদের আধিপত্যের পথ সুগম হয়।
বক্সারের যুদ্ধ : পলাশির ষড়যন্ত্রমূলক যুদ্ধের পরে বাংলার নবাব হয় বেঈমান মীর জাফর। পরে ইংরেজরা মীর জাফরকে অপসারিত করে মীর কাশিমকে বাংলার নবাব হিসেবে নিয়োগ দেয়।
মীর কাশিম স্বাধীনচেতা হওয়ার কারণে তিনি বাংলার উপর থেকে ইংরেজদের প্রভাব কমানোর চেষ্টা করেন। তিনি তার রাজধানী মঙ্গেরে স্থানান্তর করেন।
মতের মিল না হওয়ায় ইংরেজরা মীর কাশিমের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মীর কাশিম সম্মিলিত শক্তি নিয়েও তাদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি।
ফলে মীর কাশিম ১৭৬৫ সালে ইংরেজদের হাতে চরমভাবে পরাজিত হয়। কোম্পানির এরুপ আধিপত্যের ক্ষেত্রে তাদের উপর কোম্পানির প্রভাব ছিল অসামান্য।নিয়ে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা তুলে ধরা হলো :
১. ক্লাইভের বিচক্ষণতা : রবার্ট ক্লাইভ ছিলেন অতি সুচতুর একজন সেনানায়ক। তিনি বাংলার সর্বময় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েও শাসনকাজ থেকে বিরত থাকেন।
আর রাজস্ব ব্যবস্থা পরিচালিত হতো কোম্পানির দ্বারা। তবে এদেশীয় ভাষাও ছিল তাদের নিকট অত্যন্ত কঠিন। তাই লর্ড ক্লাইভ 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি নীতি' অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নেয়।
২. বক্সারের যুদ্ধ : ১৭৬৪ সালের বক্সারের যুদ্ধ ইংরেজদের দেওয়ানি লাভের চূড়ান্ত ধাপ হিসেবে অভিহিত। কারণ এ যুদ্ধে বাংলা-বিহার ও দিল্লির সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করে।
ইংরেজরা ভারতবর্ষের এক অপ্রতিদ্বন্দ্বি ক্ষমতাধর হিসেবে শাসন ক্ষমতায় অবতীর্ণ হয়। এর পরে তাদের বাধা প্রসারের মতো আর কোনো শক্তিই ছিল না। তারা নিজেদের সুবিধাতে এদেশীয় শক্তিকে ব্যবহার করতে শুরু করে।
৩. দ্বৈতশাসন নীতি : রবার্ট ক্লাইড ছিলেন অত্যন্ত ধূর্ত তিনি সর্বদা বিচক্ষণতার সাথে মতামত গ্রহণ করতেন। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলার দ্বৈত শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
এভাবে তারা বাংলার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় পর্যায়ে নিয়ে যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এমনভাবে পন্থা অবলম্বন করে যাতে রাজ্য শাসন ও রাজস্ব দুই তাদের হাতে থাকে।
৪. দেওয়ানি লাভ : বক্সারের যুদ্ধকালে দ্বিতীয় সম্রাট শাহ আলম আর্থিক দিক থেকে অত্যন্ত দুর্দশার মধ্য দিয়ে যেতে থাকেন এমন সময় লর্ড ক্লাইভ তার প্রচুর উপঢৌকন প্রদান করেন এবং সম্রাটের নিকট বাৎসরিক ২৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের প্রস্তাব দেয়।
অভাবী সম্রাট তার এ প্রস্তাবে সাড়া দেয় এবং ১২ আগস্ট ১৭৬৫ খ্রি. এলাহাবাদে নবাব এ ব্যাপারে লর্ড ক্লাইভের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
→ দেওয়ানি লাভের গুরুত্ব : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ২০০ বছরের শাসনের পটভূমি যার মাধ্যমে রচিত হয় সেগুলোর মাঝে অন্যতম হলো দেওয়ানি ক্ষমতা লাভ। নিম্নে এ সম্পর্কে বিবরণ তুলে ধরা হলো:
১. বিচারের ক্ষমতা লাভ : লর্ড ক্লাইভের কূট-কৌশলের মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি ক্ষমতা লাভ করে, যা ইতিহাসের পাতায় একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
কোম্পানি দেওয়ানি ক্ষমতা লাভের ফলে রাজস্ব আদায় ছাড়াও দেওয়ানি মামলার মাধ্যমে সারা বাংলার বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় ।
২. নামমাত্র নবাব : তৎকালীন সময়ে অর্থাৎ যখন ইংরেজরা দেওয়ানি ক্ষমতা লাভ করে তখন বাংলার নবাব দায়িত্ব পালন করে ছিলেন তিনি একজন নামমাত্র নবাব ছাড়া আর কিছুই না।
৩. রাজস্ব আদায়কারীর মর্যাদা লাভ : কোম্পানি প্রথম যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কিছু ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে দেওয়ানি ক্ষমতা লাভ করার পর তারা রাজস্ব আদায়কারী হিসেবে মর্যাদা লাভে সমর্থ হন।
৪. আর্থিক প্রসিদ্ধি লাভ : দেওয়ানি ক্ষমতা লাভের মাধ্যমে কোম্পানি রাজস্ব এককভাবে ভোগ করার সুযোগ লাভ করে। ফলে কোম্পানি আর্থিকভাবে ব্যাপক সমৃদ্ধি লাভে সক্ষম হয়।
আর্থিক ক্ষতির অন্যতম কারণ ছিল তৎকালীন ইংল্যান্ডে চলমান যুদ্ধবিগ্রহ যার ক্ষতি তারা দেওয়ানি লাভের ফলে অচিরেই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিল।
উপসংহার : সর্বোপরি আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, ইংরেজরা প্রথমত ব্যবসায়িক ধ্যান-ধারণা নিয়ে বাংলার জমিতে আসলেও পরবর্তীতে তারা ১৭৫৭ সালের পলাশি যুদ্ধ ও ১৭৬৪ সালের বক্সারের যুদ্ধের মাধ্যমে তাদের সকল বাধা দূর করতে সক্ষম হয় এবং পরবর্তীতে দেওয়ানি ক্ষমতা লাভ করার মাধ্যমে তারা অঘোষিতভাবে বাংলায় আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হয়।
কেননা রাজস্ব ব্যবস্থা ছিল তাদের দখলে। ফলে দেশীয় শাসকরা দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে এবং একসময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কৌশলে সমগ্র বাংলার শাসনভার তার আয়ত্তে নিয়ে নেয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি ও ফলাফল নির্ণয় কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি ও ফলাফল নির্ণয় কর । যদি তোমাদের আজকের ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি ও ফলাফল নির্ণয় কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।