সুলতান মুহাম্মদ শাহ সম্পর্কে যা জান লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সুলতান মুহাম্মদ শাহ সম্পর্কে যা জান লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সুলতান মুহাম্মদ শাহ সম্পর্কে যা জান লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
সুলতান মুহাম্মদ শাহ সম্পর্কে যা জান লিখ |
সুলতান মুহাম্মদ শাহ সম্পর্কে যা জান লিখ
- অথবা, মুহাম্মাদ শাহ কে ছিলেন?
- অথবা, সুলতান মুহাম্মদ শাহের পরিচয় দাও ।
উত্তর : ভূমিকা : দিল্লি কেন্দ্রিক সৈয়দ বংশ প্রতিষ্ঠিত হয়। সৈয়দ বংশের শাসকগণ শুধুমাত্র একটি বংশ-ই-প্রতিষ্ঠান করে যান তবে শাসনক্ষেত্রে তেমন কোন অবদান রেখে যায়নি যার জন্য তাদের শাসনকে কোন ঐতিহাসিকগণ তেমন গুরুত্ব দেননি সৈয়দ বংশের অন্যতম শাসক ছিলেন সুলতান মুহাম্মাদ শাহ। তিনি সৈয়দ বংশের শাসক হিসেবে ১১ বছর শাসন করে গিয়েছেন।
→ সুলতান মুহাম্মাদ শাহ্ : সুলতান মুহাম্মাদ শাহ ছিলেন সৈয়দ বংশের অন্যতম শাসক। সুলতান মুবারক শাহের ভ্রতুষ্পুত্র খিজির খানের পৌত্র ছিলেন মুহাম্মাদ শাহ।
১৪৩৪ সালে অসুস্থ মন্ত্রী সারওয়ার উল মুলক এর নেতৃত্বে দিল্লির হিন্দু ও মুসলিম অভিজাতবর্গের ষড়যন্ত্রে মুবারক শাহ নিহত হলে মুহাম্মাদ শাহ দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। সুলতান মুহাম্মাদ শাহ (১৪৩৪-৪৫) সাল প্রায় ১১ বছর শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন।
শাসনকাল : দিল্লির শাসনক্ষমতায় আরোহণ করলেও সুলতান মুহাম্মাদ শাহ ছিলেন একজন ক্ষমতাহীন শাসক। তিনি শাসক ছিলেন কিন্তু কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারতেন না।
সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল অভিজাত বৰ্গ নেতা মন্ত্রী সারওয়ার উল মূলকের হাতে। কিছুদিন পরে সারওয়ার উল মূলক এর মৃত্যু ঘটলে তিনি ক্ষমতা পেলেন বটে কিন্তু ক্রমেই তার বিরুদ্ধে অভিজাতবর্গ তার বিদ্রোহী হয়ে উঠে।
সারওয়ারমূলকের মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দেয়। এসব বিদ্রোহের পিছনে। অনেকাংশে সুলতানের অনেক দুর্বলতা কাজ করেছে।
তিনি এসব বিদ্রোহ দমনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন।অভিজাতবর্গের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দমনে অনেকটা সচেষ্ট হন।
সুলতান মুহাম্মাদ শাহ সাম্রাজ্য বিস্তারের লক্ষ্যে মালিব ও লাহোরে অভিযান প্রেরণ করেন। মালব ও লাহোরে শাসনকর্তা বাহলুল খান লোদী দিল্লি অধিকার করার জন্য সচেষ্ট হইলেন। তিনি মালবে ও লাহোরে সৈয়দ বংশের আধিপত্য বিস্তার করতে অনেক সচেষ্ট হন।
সুলতান মুহাম্মাদ শাহের চরিত্র : সুলতান মুহাম্মাদ শাহ ব্যক্তিগতভাবে ভাল চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তার চরিত্রে দয়ালু, মনোভাব ছিল।
তিনি অনেক নরম প্রকৃতির শাসক ছিল বলেই সহজেই অভিজাতবর্গের প্রাদেশিক সুলতানগণ সুলতানের বিরুেদ্ধে বিদ্রোহ করতে সাহস পান। তিনি দয়ালু শাসক ছিলেন। তিনি তার শাসনের ১১ বছরে জনকল্যাণের জন্য অনেক পদক্ষপ গ্রহণ করেন ।
মৃত্যু : ১৪৪৫ সালে দিল্লির নিকটবর্তী রাজ্যে বিদ্রোহ দমনের সময় সুলতান মুহাম্মাদ শাহ মৃত্যুবরণ করেন। সুলতান মুহাম্মাদ শাহের মৃত্যুর পর তাহার একপুত্র “আলাউদ্দীন আলম শাহ” উপাধি গ্রহণ করেন ও অভিজাতা বর্গের সহায়তায় দিল্লি সিংহাসনে আরোহণ করে।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় সুলতান মুহাম্মাদ শাহ তিনি প্রাথমিকভাবে একজন দুর্বল শাসক ছিলেন কিন্তু তার চরিত্রের জন্য তিনি সৈয়দ বংশের ইতিহাস অনেকখানি অবদান রেখে গেছেন। তার শাসনের এগারো বছর দিল্লিতে শাসন প্রতিষ্ঠা ইতিহাসে অনেক গুরুত্ব বহন করে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সুলতান মুহাম্মদ শাহ সম্পর্কে যা জান লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সুলতান মুহাম্মদ শাহ সম্পর্কে যা জান লিখ । যদি তোমাদের আজকের সুলতান মুহাম্মদ শাহ সম্পর্কে যা জান লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।