সুলহ ই কুল কী। সুলহ ই কুল কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সুলহ ই কুল কী। সুলহ ই কুল কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সুলহ ই কুল কী। সুলহ ই কুল কাকে বলে। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
সুলহ ই কুল কী। সুলহ ই কুল কাকে বলে |
সুলহ ই কুল কী। সুলহ ই কুল কাকে বলে
- অথবা, সম্রাট আকবরের সুলহ-ই-কুল সম্পর্কে লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক তার উদারনৈতিক নীতির জন্য সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য ছিলেন। ক্ষমতার এসেই তিনি বলেন, “আমি হিন্দু ও মুসলিম সকলেরই শাসক হতে চাই” ।
আর সেজন্যই তিনি একটি ধর্মনীতির প্রবর্তন করেন যার মূলকথা ছিল 'সুলহ-ই-কুল' অর্থাৎ পরধর্মসহিষ্ণুতা।
সম্রাট আকবর সুলহ-ই-কুল এর মাধ্যমে সকল ধর্মের মানুষকে একটি ধর্মে আনার চেষ্টা করেন এবং তার সাম্রাজ্যকে ধর্ম নিরপেক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান।
সুলহ-ই-কুল : সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আকবর একটি নতুন ধর্মমত প্রবর্তন করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল পরধর্মসহিষ্ণুতা। এ নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তিনি নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেন :
১. ইবাদতখানা প্রতিষ্ঠা : আকবর বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য ফতেহপুর সিক্রিতে "ইবাদতখানা' নির্মাণ করেন। তিনি সেখানে নামকরা পণ্ডিতদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে আলোচনা শুনতেন। যার প্রেক্ষিতে একটি নতুন ধর্মমত চালু করেন।
২. ধর্মীয় নেতৃত্ব গ্রহণ : সম্রাট আকবর ১৫৭৯ সালে প্রধান ধর্মগুরুর মর্যাদা লাভ করে ফতেহপুর সিক্রির মসজিদ থেকে একটি নতুন ধরনের খুতবা পাঠের নির্দেশ দেন। এতে করে তিনি ধর্মীয় নেতৃত্ব গ্রহণের একটি প্রয়াস চালান।
৩. দ্বীন-ই-ইলাহী : সম্রাট আকবর প্রধান ধর্মগুরুর মর্যাদা লাভ করে খ্যাতনামা ধর্মীয় পণ্ডিতদের পরামর্শে সকল ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলোর সমন্বয়ে দ্বীন-ই-ইলাহী' প্রবর্তন ও প্রচার করে।
৪. তীর্থকর ও জিজিয়াকর রহিতকরণ : উদারমনা সম্রাট | হিন্দুদের প্রতি অনেকটা সহানুভূতিশীল ছিলেন। তিনি যে ধর্মনীতি গ্রহণ করেন তার মূলকথাই ছিল পরমতসহিষ্ণু। তাই তিনি হিন্দুদের বিভিন্ন বিষয়ে সুযোগ করে দিয়ে তাদের উপর থেকে তীর্থকর ও জিজিয়াকর রহিত করেন।
৫. হিন্দুদের বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধকরণ : সম্রাট আকবর | হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সৌহার্দ বৃদ্ধির জন্য হিন্দুদের সাথে | বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হওয়াকে বৈধ করে দেন এবং তিনি নিজেও একজন হিন্দু রাজপুত কন্যাকে বিবাহ করেন।
৬. শাসন কার্যে নিয়োগ : সমগ্র সাম্রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠাকল্পে আকবর অনুধাবন করেন যে, হিন্দু রাজপুতরা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে কোনো শান্তি বিরাজ করবে না। তাই তিনি হিন্দুদেরকে শাসনকার্যের উচ্চপদে পর্যন্তও নিয়োগ প্রদান করেন।
উপসংহার : পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, সম্রাট আকবর একটি নতুন ধর্মমত চালু করে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে যে সম্প্রীতির বন্ধন চালু করতে চেয়েছিলেন তাই হলো সুলহ-ই- কুল।
সম্রাট আকবরের ইচ্ছা ছিল সুলহ-ই-কুলের মাধ্যমে তার সাম্রাজ্যের সকল ধর্মের মানুষ এক ধর্মের মাধ্যমে তার সাম্রাজ্যকে আরো শক্তিশালী করে তার শাসনকার্য আরো সুদৃঢ় করেন। তবে তিনি এ নীতি গ্রহণ করে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সুলহ ই কুল কী। সুলহ ই কুল কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সুলহ ই কুল কী। সুলহ ই কুল কাকে বলে। যদি তোমাদের আজকের সুলহ ই কুল কী। সুলহ ই কুল কাকে বলে পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।