শেরশাহের রাজ্যবিস্তার আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শেরশাহের রাজ্যবিস্তার আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শেরশাহের রাজ্যবিস্তার আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
শেরশাহের রাজ্যবিস্তার আলোচনা কর |
শেরশাহের রাজ্যবিস্তার আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : মুঘল সাম্রাজ্যের সময়ে অমুঘল তথা আফগান শাসক হয়েও যিনি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি হচ্ছেন শেরশাহ।
তিনি মুঘল সম্রাট হুমায়ূনকে নিজ মেধা ও রণকৌশল দিয়ে পরাজিত করে দিল্লির সিংহাসনে বসেন। তবে শেরশাহ এখানেই থেমে থাকেন নি। তিনি পরবর্তীতে অন্যান্য রাজ্যজয় করে নিজ রাজ্যবিস্তার করেন।
→ শেরশাহের রাজ্যবিস্তার : দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করে শেরশাহ রাজ্যজয়ে মনোনিবেশ করেন। নিম্নে শেরশাহের রাজ্যবিস্তার আলোচনা করা হলো :
১. পাঞ্জাব, সিন্ধু ও মুলতান অধিকার : শেরশাহ সিংহাসনে উপবিষ্ট হয়ে প্রথমে হুমায়ূনের ভাই কামরানের রাজ্য আক্রমণ করেন।
কামরান শেরশাহের সাথে যুদ্ধে না জড়িয়ে সন্ধির মাধ্যমে পাঞ্জাব প্রদেশটি শেরশাহকে ছেড়ে দেন। পাঞ্জাবের পর শেরশাহ বার বার উপজাতীয়দের দমন করে সিন্ধু ও মুলতান অধিকার করে নেন।
২. বাংলা বিজয় : পাঞ্জাব দখলকালে ১৫৪১ সালে বাংলার শাসনকর্তা খিজির খান শেরশাহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে শেরশাহ বাংলায় অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।
এ সময় তিনি বাংলার শাসনভার তার বিশ্বস্ত কাজী ফজলুল খানের উপর ন্যস্ত করেন। শুধু তাই নয় তিনি বাংলার শাসন | ব্যবস্থার বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন ।
৩. পশ্চিম ভারত জয় : শেরশাহ পশ্চিম ভারত জয়ের জন্য | রাজপুতদের দিকে দৃষ্টি দেন। ১৫৪২ সালে শেরশাহ মালব দখল করেন।
শুধু তাই নয় একই সঙ্গে শেরশাহ বিখ্যাত রণথম্বোর দুর্গটি দখল করেন। একই বছর শেরশাহ গোয়ালিয়রদের দুর্ভেদ্য দুর্গটি অধিকার করে নেন।
৪. রায়সিন দুর্গ জয় : শেরশাহ মালব বিজয়ের সময় বিখ্যাত | রায়সিন দুর্গটি জয় করতে পারেননি। পরবর্তীতে ১৫৪৩ সালে শেরশাহ রায়সিন দুর্গ আক্রমণ করে অবরোধ করেন।
এ দুর্গের মালিক পূরণমল বিখ্যাত যোদ্ধার সঙ্গেও শেরশাহের ধোকায় তিনি পরাজিত হন। যার ফলে রায়সিন দুর্গ শেরশাহের দখলে চলে আসে।
৫. যোধপুর বিজয় : শেরশাহ মেবারের শাসনকর্তা যোধপুরের রানা মালদেবের বিরুদ্ধে ১৫৪৪ সালে অগ্রসর হন। কেননা রানা মালদেব হুমায়ূনকে সাহায্য করায় শেরশাহ তার উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
যোধপুরে রাজপুত্রগণ ও শেরশাহর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয় এবং শেষ পর্যন্ত রাজপুতগণ পরাজিত হয়। যার ফলে যোধপুর শেরশাহের হস্তগত হয়। শুধু তাই নয় এতে আজমির হতে আবু পর্যন্ত পুরো অঞ্চল শেরশাহের দখলে আসে।
৬. কালিঞ্জর বিজয় : শেরশাহ সর্বশেষ অভিযান পরিচালনা করেন বুন্দেলখণ্ডে কালিঞ্জর দুর্গের বিরুদ্ধে। প্রায় এক বছর অবরোধের পর শেরশাহ কালিঞ্জর দুর্গ জয় করেন। তবে এ যুদ্ধে আকস্মিক এক দুর্ঘটনায় শেরশাহ মৃত্যুবরণ করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শেরশাহের পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। সে লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন জায়গা দখল করে তার সাম্রাজ্য বিস্তার করেন।
তিনি মৃত্যুবরণ না করলে হয়তো তার রাজ্যবিস্তার অব্যাহত থাকত। মূলত ভারতবর্ষের বিশাল অংশজুড়ে তার রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শেরশাহের রাজ্যবিস্তার আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শেরশাহের রাজ্যবিস্তার আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের শেরশাহের রাজ্যবিস্তার আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।