শেরশাহের প্রশাসনিক সংস্কার সমূহ বর্ণনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শেরশাহের প্রশাসনিক সংস্কার সমূহ বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শেরশাহের প্রশাসনিক সংস্কার সমূহ বর্ণনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
শেরশাহের প্রশাসনিক সংস্কার সমূহ বর্ণনা কর |
শেরশাহের প্রশাসনিক সংস্কার সমূহ বর্ণনা কর
- অথবা, প্রশাসক হিসেবে শেরশাহের কৃতিত্ব লিখ।
- অথবা, প্রশাসনিক সংস্কারে শেরশাহের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর।
উত্তর : ভূমিকা : ভারতবর্ষের ইতিহাসে শেরশাহ ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা শাসক। তিনি তার প্রশাসনিক সংস্কারের জন্য ভারতের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ হয়ে আছেন।
তিনি প্রশাসনিক সংস্কার করেন আর আকবর তার উপর ভিত্তি করে প্রশাসন গড়ে তোলেন। এজন্য ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় শেরশাহকে আকবরের অগ্রদূত বলা যায়।
→ প্রশাসক হিসেবে শেরশাহ : শেরশাহের রাজত্বকালের যতগুলো কাজের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন তার মধ্যে প্রশাসনিক সংস্কার অন্যতম। নিম্নে শেরশাহের প্রশাসনিক সংস্কার তুলে ধরা হলো :
১. সাম্রাজ্য বিভক্তিকরণ : হুমায়ূনকে পরাজিত করে শেরশাহ। ১৫৪০ সালে ভারতবর্ষে ক্ষমতায় এসে সমগ্র সাম্রাজ্যকে রাজস্ব এককে বিভক্ত করেন। ফলে শাসন কার্য পরিচালনায় সুবিধা হয়।
২. রাজস্বনীতি গ্রহণ : শেরশাহের রাজস্বসংস্কার ছিল মুঘল রাজস্ব ব্যবস্থার “Starting point", রাজস্ব গ্রহণে তার নীতিগুলো ছিল-
(ক) জমি জরিপ ও মালিকানা নির্ধারণ,
(খ) উর্বরতা অনুযায়ী জমির শ্রেণি বিভাজন,
(গ) শস্য উৎপাদনের তারতম্য অনুযায়ী রাজস্ব নির্ধারণ,
(ঘ) রাজস্বের পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ নির্ধারণ করা ।
৩. যাবতি প্রথা প্রচলন : সম্রাট আকবর যে 'যাবতি' প্রথা চালু করেন তা শেরশাহের নিকট থেকে ধার করেন। এ যাবতি প্রথা শেরশাহই সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে প্রচলন করেন।
৪. আকাইভ পদ্ধতি গ্রহণ : শেরশাহ সমস্ত দলিলপত্র ও হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণের জন্য আর্কাইভ পদ্ধতি তথা ডকুমেন্ট জমা রাখার যে ব্যবস্থা চালু করেন তা আসলেই প্রশংসার দাবি রাখে।
৫. কবুলিয়ত ও পাট্টা চালুকরণ : কবুলিয়ত ও পাট্টা ব্যবস্থা চালু করে শেরশাহ ভূমিতে কৃষকদের অধিকার স্বীকৃত করেন এবং একই সাথে সরকারের রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করেন।
৬. রাজস্ব প্রশাসন গ্রহণ : ভারতীয় ঐতিহাসিক ইরফান হাবিব বলেন, মুঘল সাম্রাজ্যে যে সকল দলিল দস্তাবেজ দেখা গিয়েছিল তা শুৱি প্রশাসন থেকে নেওয়া। সুতরাং রাজস্ব প্রশাসনেও শেরশাহ অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে গেছেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শেরশাহ তার প্রশাসন ব্যবস্থায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেন তিনি সুন্দর ও সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলেন তার অনেকগুলো আজও অব্যাহত ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। সুতরাং বলা যায়, প্রশাসক হিসেবে শেরশাহের কৃতিত্ব অপরিসীম।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শেরশাহের প্রশাসনিক সংস্কার সমূহ বর্ণনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শেরশাহের প্রশাসনিক সংস্কার সমূহ বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের শেরশাহের প্রশাসনিক সংস্কার সমূহ বর্ণনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।