শেরশাহ কিভাবে শুর বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শেরশাহ কিভাবে শুর বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শেরশাহ কিভাবে শুর বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
শেরশাহ কিভাবে শুর বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন |
শেরশাহ কিভাবে শুর বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন
- অথবা, শেরশাহ কর্তৃক শুর বংশের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : ভারতবর্ষের ইতিহাসে হুমায়ূন ও শেরশাহের মধ্যকার সংঘর্ষ এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ | সংঘর্ষের মাধ্যমে শেরশাহ দিল্লির সিংহাসন আরোহণ করেন এবং ভারতের ইতিহাসে কিছুদিনের জন্য হলেও শুর শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
→ শুর বংশের প্রতিষ্ঠা : নিম্নে শুর শাসন প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরা হলো :
১. শেরশাহের পরিচয় : শেরশাহের বাল্য নাম ছিল শেখ ফরিদ। তার পূর্বপুরুষগণ আফগানিস্তান হতে এসেছিল। তিনি এক সময় যোগ্যতাবলে সাসারাম ও খাওয়াসপুরের জায়গীরদার নিযুক্ত হন।
২. প্রাথমিক জীবন : শেরশাহ প্রথম জীবনে খুবই সাধারণ অবস্থায় ছিলেন। ধুলাবালির মধ্যে জন্মগ্রহণ করেও তিনি গৌরবের শীর্ষ শিখরে আরোহণ করেন। শেরশাহ ছিলেন জাতিতে পাঠান, বংশে শুর ও জন্মে হিন্দুস্থানী।
তার পিতামহ বাহালুল লোদীর সময়ে ভারতবর্ষে আসেন এবং নারনল অঞ্চলে বসবাস করেন। এভাবে নিচু অবস্থা থেকে আস্তে আস্তে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেন।
৩. শুর বংশ প্রতিষ্ঠা : প্রথমে শেরশাহ মুঘল সাম্রাজ্যের সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করেন। সেখান থেকে তিনি সাসারামের জায়গীর লাভ করেন।
সম্রাট হুমায়ূনকে নিজ যোগ্যতা ও প্রতিভাবলে দুইবার পরাজিত করেন। কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ূনকে পরাজিত করে শেরশাহ ভারতবর্ষে গুর শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
৪. সিংহাসন লাভ : ১৫৪০ সালে হুমায়ূনকে পরাজিত করে শেরশাহ শুর দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং নিজ নামে মুদ্রা অঙ্কন করেন। এভাবে সিংহাসনারোহণ করে শেরশাহ প্রায় ১৫ বছর ভারতে গুর শাসন কায়েম করেন।
৫. শক্তি বৃদ্ধি : নতুন বংশের শাসন শুরু করে তার স্থায়িত্ব প্রদানের জন্য শেরশাহ শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকেন। প্রথমে তিনি মুঘল রণকৌশল সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন।
আস্তে আস্তে তিনি বিহারের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং একপর্যায়ে হুমায়ূনের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ।
৬. পদক্ষেপ গ্রহণ : হুমায়ূনের সাথে যুদ্ধ করে গৌড় ও চুনার দুর্গ দখল করলে আফগান জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতিভূর, মর্যাদা লাভ করে। তিনি ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের ধারাকে নিশ্চিহ্ন করে শুর বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শেরশাহ নিম্ন শ্রেণির বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার অসাধারণ প্রতিভা ও যোগ্যতার ফলে দিল্লির সিংহাসন লাভের অধিকার অর্জন করেন।
তাইতো তিনি স্বীয় যোগ্যতায় ও কূটকৌশলে সিংহাসন লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার সিংহাসন লাভের মাধ্যমে ভারতবর্ষে এর শাসন প্রতিষ্ঠা হয় যা প্রায় পনের বছর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শেরশাহ কিভাবে শুর বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শেরশাহ কিভাবে শুর বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যদি তোমাদের আজকের শেরশাহ কিভাবে শুর বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।