সম্রাট বাবরের চরিত্র আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সম্রাট বাবরের চরিত্র আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সম্রাট বাবরের চরিত্র আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
সম্রাট বাবরের চরিত্র আলোচনা কর |
সম্রাট বাবরের চরিত্র আলোচনা কর
- অথবা, বাবরের চরিত্র বর্ণনা কর।
ভূমিকা : বিজেতা শাসক হিসেবে তিনি ছিলেন নিঃসন্দেহে সর্বশ্রেষ্ঠ। ঐতিহাসিক ভি. এ. স্মিথ বলেন, "Babur was a most brilliant Asiatic prince of his age and worthy at high place among sovereigns of India."
অর্থাৎ বাবর তার সমসাময়িক এশিয়ার যুবরাজদের মধ্যে উন্নত এবং ভারতের নৃপতিদের মধ্যে সুউচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন ছিলেন।
→ বাবরের পরিচয় ও সিংহাসন লাভ : জহির উদ্দিন মুহম্মদ ব্যবর ইতিহাসে বাবর নামেই পরিচিত। তিনি ১৪৮৩ সালে তুর্কিস্তানের ফরগনায় জানুগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল ওমর শেখ মির্জা, তিনি ছিলেন একটি ক্ষুদ্র রাজ্যের আমির।
বাবর তার পিতার দিক থেকে তৈমুর লঙ এবং মাতার দিক থেকে শেখ চেঙ্গিস খানের বংশধর। তিনি তার পিতার মৃত্যুর পর মাত্র ১১ বছর বয়সে পিতার সিংহাসনে আরোহণ করেন।
বাল্যজীবনেই শিক্ষা লাভ করার ফলে বাবর ধর্ম ভীরু, সদাচারী ও সাহসিকতার অধিকারী হন। তিনি রাজ্য শাসন করার ক্ষেত্রে যে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন তা তাকে ইতিহাসে অমর করে রেখেছে।
বাবরের চরিত্র : বাবর ছিলেন আকর্ষণীয় চরিত্রের অধিকারী।
নিম্নে তার চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. আত্মবিশ্বাসী : সম্রাট বাবর ছিলেন আত্মবিশ্বাসী ও দুর্দমনীয় ইচ্ছাশক্তির অধিকারী। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে আজীবন নানা সংকটেও মনোবল হারাননি। অবশেষে তিনি সফল হয়েছেন। তার এ সুদৃঢ় আত্মবিশ্বাস ছিল তার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
২. ধৈর্যশীল : বাবরের চরিত্রের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ নিক হলো তিনি ছিলেন ধৈর্যশীল। তিনি তার রাজ্যচ্যুত হয়েও অধৈর্য হননি। যার ফলে তিনি পুনরায় আবার নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
৩. নিরহংকারী : সম্রাট বাবর ছিলেন অহংকারহীন একজন শাসক। তিনি কখনও কোনো আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং সাধারণ কর্মচারীদের সাথেও খারাপ আচরণ করতেন না।
৪. ধর্মপরায়ণ : সম্রাট বাবর ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ শাসক। তিনি সুন্নি ইসলামের রীতিনীতি নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন। পরধর্মমতের প্রতি তিনি সহিষ্ণু ছিলেন।
৫. সাম্রাজ্যবাদী : ছোটবেলা থেকেই সম্রাট বাবর ছিল সম্রাজ্যবাদী। পিতার মৃত্যুর পর মাত্র ১১ বছর বয়সে ফরগনার সিংহাসনে আরোহণ করে তিনি তৈমুরের রাজধানী সমরকন্দ জয় করার ইচ্ছা পোষণ করেন এবং ১৭৯৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সমরকন্দ
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সম্রাট বাবর তার অসীম ধৈর্য, দৃঢ় মনোবল ও অপূর্ব রণকৌশলের জন্য তিনি সামান্য একটি রাজ্য থেকে একটি বিশাল সাম্রাজ্যে পরিণত করতে সক্ষম হন।
তিনি শুধু সাহসী যোদ্ধাই ছিলেন না তিনি ছিলেন এক উত্তম চরিত্রের অধিকারী। তিনি ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। যতদিন ভারতবর্ষ থাকবে ততোদিন শ্রেষ্ঠ সমরনায়ক ও শাসক হিসেবে তার নাম উচ্চারিত হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সম্রাট বাবরের চরিত্র আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সম্রাট বাবরের চরিত্র আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের সম্রাট বাবরের চরিত্র আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।