সম্রাট আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা মূল্যায়ন কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সম্রাট আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা মূল্যায়ন কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সম্রাট আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা মূল্যায়ন কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
সম্রাট আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা মূল্যায়ন কর |
সম্রাট আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা মূল্যায়ন কর
- অথবা, সম্রাট আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা বিচার কর ।
উত্তর : ভূমিকা : কৃতিত্বের বিচারে মুঘল সম্রাটদের মধ্যে আওরঙ্গজেবই ছিলেন সবচেয়ে বিতর্কিত চরিত্র। ভারতের শ্রেষ্ঠ শাসকদের অন্যতম এ শেষ শক্তিশালী মুঘল সম্রাট ছিলেন অসাধারণ কূটকৌশলী ব্যক্তি যিনি যোগ্যতা ও কর্মনিষ্ঠা দ্বারা সিংহাসন দখল করেন এবং প্রায় অর্ধশত বছর ধরে প্রবল প্রতাপে রাজত্ব করেন। তার যোগ্যতা ছিল সর্বজন বিদিত।
সম্রাট আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা : শাহজাহানের তৃতীয় পুত্র আওরঙ্গজেব ছিলেন ধর্মপ্রাণ সুন্নি মুসলমান। তিনি তার যোগ্যতার বলে দীর্ঘ ৫০ বছর শাসন করেন।
নিম্নে আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা বিচার করা হলো :
১. আদর্শ রাষ্ট্রনেতা : আওরঙ্গজেব আদর্শ রাষ্ট্রনেতা ছিলেন। সম্রাটের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা বজায় রেখে ইসলামি অনুশাসনে দেশ চালানোই ছিল তার রাষ্ট্রনৈতিক আদর্শ।
তিনি সব ধর্মের মানুষকে শ্রদ্ধা করতেন। যোগ্য ও বিশ্বস্ত হিন্দুদের তিনি উচ্চপদে নিযুক্ত করেন। তবে তিনি হিন্দুদের উপর জিজিয়া কর পুনঃপ্রবর্তন করেন।
২. দক্ষ কূটনীতিবিদ : কূটনীতি বিষয়ে আওরঙ্গজেব ছিলেন অপরাজেয়। কোনোরূপ গুপ্ত ষড়যন্ত্র তাকে বিচলিত করতে পারেনি। কূটনীতির বলেই তিনি শত্রুদের অনেক ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছেন।
৩. শাসনকার্যে যোগ্যতা : শাসক হিসেবে আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা ছিল প্রশ্নাতীত। তার কর্মদক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দায়িত্বজ্ঞান ছিল। অসাধারণ। তিনিই ছিলেন মুঘল বংশের রাজমুকুট ধরে রাখতে সক্ষম।
৪. রক্ষণশীল গোষ্ঠীর সমর্থন : তিনি মৌলবাদী, সুন্নিপন্থিদের সাহায্যে দারার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। New Cambridge History of India গ্রন্থের লেখক জন রিচার্ডসের মতে, শাহজাহানের রাজত্বকালে নক্সাবন্দি সুফিসন্ত খাজা কাকী বিল্লাহ এবং শিরাহিন্দের মৌলানা শেখ আহমদ শিরাহিন্দি ও তার শিষ্যগণ মৌলবাদী মত প্রচার করেন।
শাহজাহানের দরবারের বহু মুসলিম অভিজাত এ মৌলবাদী মতকে সমর্থন করতেন। তারা আওরঙ্গজেবের সিংহাসনের দাবিকে সমর্থন করেন।
৫. যোগ্যতার মূল্যায়ন : সম্রাট আওরঙ্গজেব তার গোটা জীবন সামরিক শিবিরে অথবা সুকদারিক কাজে কাটান। হাতে কলমে রাজ্যশাসনের কাজ, যুদ্ধ পরিচালনার কাজ তার মতো কেউ জানত না।
ইউরোপীয় লেখক মানুচ্চি বলেন, আওরঙ্গজেব শাহজাহানের জীবিতকালেই সব কাজ গোপনে করতে ভালোবাসতেন এবং তার উদ্দেশ্য সর্বদা গোপন রাখতেন।
তিনি সর্বদা ব্যস্ত থাকতেন তার নিজ পরিকল্পনার জন্য। তিনি নিজেকে মুসলিম ফকির হিসেবে পরিচয় দিতেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সম্রাট আওরঙ্গজেব তার | অনন্য সাধারণ কৃতিত্ব ও চরিত্রের গুণে যে বিশাল সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হয়েছিলেন সারা জীবন সংগ্রাম করে তিনি তা রক্ষাও করেছিলেন।
কিন্তু মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের সূচনা তিনি রোধ করতে পারেননি; বরং স্বীয় জীবদ্দশায় তাকে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের আলামত দেখে যেতে হয়। ঐতিহাসিক স্মিথের মতে, “দাক্ষিণাত্য নীতি তার খ্যাতি ও দেহ উভয়েরই সমাধিস্থল।”
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সম্রাট আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা মূল্যায়ন কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সম্রাট আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা মূল্যায়ন কর । যদি তোমাদের আজকের সম্রাট আওরঙ্গজেবের যোগ্যতা মূল্যায়ন কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।